হাসানুজ্জামান হাসান
বাবা মানে নির্ভরতার জায়গা। বাবা মানে বটবৃক্ষের ছায়া। বাবা নামটা উচ্চারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যে কোনো বয়সী সন্তানের হৃদয়ে শ্রদ্ধা কৃতজ্ঞতা আর ভালোবাসা অনুভব হয়।
সন্তানের মাথার উপর বাবার স্নেহচ্ছায়া বটবৃক্ষের দীর্ঘ শীতল ছায়ার মতো, তিনি মঙ্গল কামনায় নির্দ্বিধায় সবকিছু ত্যাগ করেন। তাই বাবা সন্তানের কাছে এক পরম নির্ভরতার প্রতীক, একটি দীর্ঘ সম্পর্কের নাম, আদর-শাসন আর বিশ্বস্ততার জায়গা। বাবা হচ্ছে পথ চলার অনুপ্রেরণা।
যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম ভার্জেনিয়ার ফেয়ারমন্টের এক গির্জায় ১৯০৮ সালের ৫ জুলাই সর্বপ্রথম ‘বাবা দিবস’ পালিত হয় বলে ধারণা করা হয়ে থাকে। প্রাথমিকভাবে এ দিবস নিয়ে এতটা আগ্রহ দেখা যায়নি। কালের পরিক্রমায়, সংস্কৃতির পালাবদলে, মনুষ্য মনের ভাবাবেগে বাবা শব্দটির বিস্তৃতিই দিনটিকে গুরুত্ব এনে দিয়েছে। উদ্দেশ্য একটাই- প্রতিটি সন্তানদের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার অনুভূতিগুলো এক সুতোয় গেঁথে বাবার জন্য তৈরি হোক দায়বদ্ধতার মালা।
বাবা আছো তুমি ছায়া হয়ে সর্বদা আমার সাথে।চলার পথে পাই অসীম সাহস,সমাজে কেউ করেনা অবজ্ঞা-কেউ করেনা আমায় অবহেলা। বাতাসেতে খুঁজে পাই নির্মলতা। সুখের মত স্বপ্ন আজও আছে আমার কল্পনার সাতরং রংধনু মিশে অদূরে।বহুদূরে হেঁটে যেতে চাই তোমার পাশাপাশি।তোমার আঙ্গুল ধরে লাফালাফি করে নানা রকম বায়না করে, সেই ছোটবেলার মত যখন যেতাম বাজারে তোমারি সাথে, কখনও যদি বলতে নেবে না আমায় চিৎকার করে কেঁদে কেঁদে ছুটে যেতাম তোমার পিছু পিছু শুনতাম না মায়ের কোন বাধা উদ্দেশ্য শুধু তোমার সাথে আমি বাজারে যাবো ঘুরতে।
কতটাই না উৎফুল্লতা ছিল তখন। কখনও ছোট ছোট পায়ে দৌড়ে যেতাম তোমারি আগে আবার আসতাম পিছনে ফিরে তোমার কাছে ভয় ছিল যদি বাজারে গিয়ে কোন দুর্ঘটনা ঘটে যায়, দুই হাত শক্ত করে ধরে রাখতাম তোমার হাতে যতই গাড়ি জাম-জাট ছিলো ছাড়তাম না কখনও। ঠিক তেমনি করে আজও ইচ্ছে করে তোমার হাত ধরে সামনে এগিয়ে যেতে।অনেক উচ্চতায় নিজেকে নিয়ে যেতে অনেকের মাঝে নিজেকে উপস্থাপন করতে সফলতার সিঁড়ি বেয়ে চুড়ায় উঠতে।
তোমাকে সবার মাঝে তুলে ধরতে,সবার সামনে মুখ উজ্জ্বল করতে একজন সফল পিতা হিসেবে পরিচয় দিতে গর্বে যেন তোমার বুক ভরে যায়। বাবা আজও মনে পড়ে যায়,রাতে যখন বাড়ি ফিরতেআমি দৌড়ে এসে লাফ দিয়ে চড়ে বসতাম তোমার কোলে দুইহাতে তোমার গলায় ধরতাম আদরে কি যেনো আমার জন্য তুমি নিয়ে এসেছো,তুমি জড়িয়ে নিতে আমায় অতি মমতায়।
আরও পড়ুন : বাবা আমার হিরো
বাবা, আজও মনে পড়ে যায় তোমার বুকে মাথা রেখে ঘুমাতাম কাটিয়ে দিতাম সারাটি রাত। কতটাই না আনন্দের ছিল সেই দিনগুলো কোন প্রকার দুশ্চিন্তা নেই মনে কোন কিছুতে ভয় পাওয়ার অবকাশ নেই, তুমিতো আছো আমার সাথে আমার ছিলো না কোন ভয়।
‘বাবা’ বলে সম্বোধন করতে আমায়, কত না স্বপ্নের কথা বলতে একদিন বড় হবো নামি দামি হবো সমাজের সকলের কাছে পরিচিতি পাবো তখনই তোমার মুখ গর্বে উজ্জ্বল হবে। আমি যেন সব সময় থাকতে পারি তোমাদের মনের গহীনে অতি আদরের সন্তান হয়ে। যেন নিজেকে রাখতে পারি তোমাদের সেবায় সর্বদা নিয়োজিত।যেন কভু তোমাদের মনে কষ্ট না দেই যেন না হই কভু তোমাদের অবাধ্য। সব সময় যেন থাকতে পারি তোমাদের সকলকে সাথে নিয়ে,কাটিয়ে দিতে পারি সারাটি জীবন।
লেখক : শিক্ষার্থী, সরকারি কালীগঞ্জ কলেজ, লালমনিরহাট
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড