মো. রিয়াজুল ইসলাম
রাজনৈতিক উত্তেজনা বৈশ্বিক দিক থেকে শুরু করে চলছে সাধারণ মানুষের রন্ধ্রে। বলা হয়ে থাকে পৃথিবী বাচতে পারে প্রেম, ভালোবাসা আর স্নেহ মমতায়, একে অপরের ভ্রাতৃপ্রেমে। কিন্তু আদতে তার সত্যতা নিয়ে আমার সংশয় হয়।
পৃথিবী টিকে থাকে তীক্ষ্ণ রাজনীতির চালে। বহির্বিশ্বের রাজনীতির উত্তাপ ছাড়িয়েছে প্রত্যন্ত অঞ্চলে। রাজনীতির বাইরে কিছুই না এই কথার সত্যতা ফলতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই।
বাংলাদেশের মানুষের রাজনৈতিক চেতনা আমার মনে হয় অন্যান্য সকল দেশের মানুষের তুলনায় একটু হলেও বেশি। এরা রাজপথে নামে, স্লোগানের তালে স্লোগান দেয়, মিলিয়ে যায় বিশাল জনতার জোয়ারে। এরা জানে না এদের মূল উদ্দেশ্য কি। এরা বুঝে ওঠার আগে কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে আগাতে হয়।
তরুণ প্রজন্মের রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া, রাজনীতির প্রতি তাদের উন্মাদনা সহসাই আমার মধ্যে একটা ভাল লাগা কাজ করায়। কিন্তু এটা নিয়ে চিন্তা হয় যে এই প্রজন্মের রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য কি! অধিকাংশ তরুণ সমাজ রাজনীতিতে যুক্ত হয় কারো না কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে অথবা জোরপূর্বক।
বিষয়টি এমন যে পিঠ বাচাতে হোক বা শো ডাউনের লোক দেখানো হোক, রাজনীতিতে লোক লাগবে। প্রত্যক্ষ করেছি যে, বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা সমাবেশে যেসব তরুণেরা আসেন তারা অনেকেই জানে না সেখানে উপস্থিতি আসলে কি কারণে, কি উদ্দেশ্য।
আসছে আগামী সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা কেমন জমবে সেদিকে মুখ চেয়ে বসে আছে তরুণ সমাজের একাংশ। প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতিতে জড়িত না থাকা তরুণেরা অপেক্ষায় আছে সর্বশেষ ফলাফলের।
ক্ষমতাকে কেন্দ্রীকরণের খবর লিখিত না থাকলেও মৌখিক ভাবে বেশ প্রচলিত। সেদিক থেকে বিরোধী পক্ষের রাজনীতিতে যুক্ত কর্মীদের মাঝে ভীতির ছাপ ও বিশেষভাবে লক্ষণীয়।
শুধু যে বিরোধী দলের কর্মীরা সংশয়ে আছে এমন ও না। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের বিশেষ অংশের কিছু কর্মীদের সম্প্রতি সম্মুখ সারিতে ততটা দেখা যাচ্ছে না। কয়েকজনের সাথে কথা বলে যতটা জানা যায় তার সারমর্ম হলো এই যে, যদি কোনো অঘটন ঘটে যায় তবে রক্ষণশীল রাজনৈতিক মতে বিশ্বাসী হয়ে রাজনীতি ছেড়ে যাবে।
অনেকেই চাইছেন যদি রাজনীতিতে কোনো ফল না আসে তবে বইমুখী হয়ে চাকরি জীবনে প্রবেশ করবে। তবে সেখানে খুব বড় সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষমতাসীন বা বিরোধী পক্ষের উভয় তরুণদের মধ্য থেকে যে কোনো একাংশ কর্তৃত্ব হাতে নেবে। তৃণমূল পর্যায়ে কোনো কিছুর শেষ অথবা উঠন্ত অবস্থায় ফেলে দেয়ার মতো কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটবে।
যদিও নিরাপত্তা বলয়কে আরও শক্তিশালী করতে স্নায়ু যুদ্ধ চলছে সকলের। কারো অপেক্ষায় আর কারো প্রতীক্ষায়!
লেখক : মো. রিয়াজুল ইসলাম, তরুণ লেখক ও সাংবাদিক।
(মতামত পাতায় প্রকাশিত লেখা একান্ত লেখকের মত। এর সঙ্গে পত্রিকার সম্পাদকীয় নীতিমালার কোনো সম্পর্ক নেই।)
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড