• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৪ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

তুরস্ক ও গ্রিসের মধ্যে সামরিক যুদ্ধ কি আসন্ন?

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৮ আগস্ট ২০২০, ১৪:৪৫
তুরস্ক ও গ্রিসের মধ্যে সামরিক যুদ্ধ কি আসন্ন?
তুর্কি সেনাদের গোলাবর্ষণ (ছবি : প্রতীকী)

লিবিয়ার সঙ্গে করা একটি চুক্তি অনুযায়ী দু’দেশের উপকূলের মাঝামাঝি ভূমধ্যসাগরের একটি করিডোরে খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তুরস্ক। যদিও শুরু থেকেই সেই সামুদ্রিক অঞ্চলের মালিকানা দাবি করে আসছে গ্রিস। কেননা এই অঞ্চল এখনো গ্রিসের দখলে। যা নিয়ে গ্রিক সরকার ইতালি ও মিশরের সঙ্গে বেশ কয়েকটি চুক্তি করেছে।

তুরস্কের জ্বালানিমন্ত্রী ফাতিহ দোনমেজ জানান, যখন উভয় দেশ চুক্তি অনুমোদন করবে, তুরস্কের ড্রিল জাহাজ ওই অঞ্চলে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান কাজ শুরু করবে। বিপরীতে ওই অঞ্চলে নিজেদের যুদ্ধজাহাজ প্রেরণ করেছে গ্রিস। দেশটির নৌবাহিনী এ বিষয়ে কিছু না বললেও, দক্ষিণাঞ্চলীয় ক্রিটে অবস্থিত ওই বিতর্কিত এলাকায় সামরিক নৌযান পাঠানো হয়েছে বলে জানান গ্রিসের দুই বিশেষজ্ঞ। খবরটি দিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

অবস্থা দেশে মনে হতেই পারে সশস্ত্র সংঘাতের মুখোমুখি গ্রিস ও তুরস্ক। একজন প্রবীণ গ্রিস কূটনীতিক বলেন, যদি ওই অঞ্চলে তুরস্কের ড্রিল জাহাজ যায়, তাহলে আমাদের জাহাজ ব্যবস্থা নেবে। এর ফলে সশস্ত্র সংঘাত তৈরি হতে পারে। আর এতে করে যুদ্ধও লেগে যেতে পারে।

আন্তর্জাতিক সরকারি আইনের অধ্যাপক অ্যাঞ্জেলস সিরিগসও নিশ্চিত করে জানান যে, তুর্কি খনিজ অনুসন্ধান প্রতিরোধে গ্রিস নিজেদের নৌ বাহিনীকে ওই অঞ্চলে পাঠিয়েছে। গ্রিসের শাসক দলের এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সিরিগস আরও বলেন, তুরস্কের ড্রিল জাহাজ সেখানে থাকবে না। তুরস্কের কাছে এই বার্তা পাঠানো হয়েছে যে, গ্রিস যে অঞ্চলকে নিজের দাবি করে সেখানে কোনো ধরণের অনুসন্ধান সহ্য করা হবে না।

এ দিকে গ্রিসের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নাইকোস পানায়োতোপোলাস বলেছিলেন, আমরা যে কোনো পর্যায়ে সব ধরণের সম্ভাবনার জন্য প্রস্তুত। আমরা কারও সাহায্যের জন্য বসে থাকবো না। আমরা যা-ই করি, নিজেরাই করব।

আরও পড়ুন : উত্তেজনা বাড়িয়ে ভূমধ্যসাগরে তুরস্ক-যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক মহড়া

অপর দিকে সংঘাতময় পরিস্থিতির মধ্যে বুধবার ন্যাটো সম্মেলনের সাইডলাইনে বৈঠকে বসেছিলেন গ্রিক প্রধানমন্ত্রী কাইরিয়াকস মাইতসোতাকিস ও তুর্কি প্রেসিডেন্ট রেসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। যদিও এই বৈঠক থেকে কোনো সমাধান আসেনি।

আরও পড়ুন : ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক চায় না সুদান-বাহরাইন, ব্যর্থ যুক্তরাষ্ট্র

এর আগে ১৯৮৭ সালে আজিয়ান অঞ্চলে খনিজ অনুসন্ধান নিয়ে প্রায় যুদ্ধের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল এই দুই প্রতিবেশী। এরপর থেকে বিভিন্নভাবে বিরোধ নিরসনের চেষ্টা চালায় তুরস্ক ও গ্রিস। যেমন, গ্রীষ্মের সময় উভয় দেশ সামরিক মহড়া পরিচালনা থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেয়।

আরও পড়ুন : তুরস্ককে ধ্বংস করতে মিশরের সঙ্গে চুক্তি গ্রিসের, বাড়ল উত্তেজনা

এছাড়া দুই দেশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ও সামরিক বাহিনী প্রধানদের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করে। ২০১৭-১৮ সালের উত্তেজনার পর থেকে সামরিক বাহিনী প্রধানদের মধ্যকার সরাসরি টেলিফোন লাইন অকার্যকর রয়েছে।

আরও পড়ুন : চীনে আক্রমণ চালাতে ভিয়েতনামকে বিপজ্জনক ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে ভারত

অন্যদিকে এই সংঘাতে গ্রিসের পক্ষে সংহতি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। তাছাড়া গ্রিসের সঙ্গে গ্যাস উত্তোলন নিয়ে চুক্তিতে যাওয়া ইসরায়েলও গ্রিসের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড