আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে হামলা চালাতে দেশটির বিরোধপূর্ণ উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তে নিজেদের জঙ্গি বিমানের সংখ্যা দ্বিগুণ করেছে এশিয়ার পরাশক্তি চীন। এবার এমনটাই দাবি করেছেন মার্কিন বিশ্লেষকেরা।
গত ২৮ জুলাই চীন ভারতের লাদাখ সীমান্তের কাছে তার জিনজিয়াং অঞ্চলের হটান বিমান ঘাঁটিতে ৩৬টি যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার মোতায়েন রেখেছিল। ইউএ এয়ার ফোর্সের চায়না অ্যারোস্পেস স্টাডিজ ইনস্টিটিউটের হিসাবে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়।
এসব বিমানের মধ্যে ছিল- ২৪টি রুশ-ডিজাইনে নির্মিত জে-১১ বা জে-১৬ ফ্লানকার জঙ্গি বিমান। তাছাড়া এখন সেখানে ছয়টি আরও পুরনো জে-৮ জঙ্গিবিমান, দুটি ওয়াই-৮জি পরিবহন বিমান, দুটি কেজে-৫০০ বিমানবাহী আগাম সতর্কতা বিমান, দুটি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার ও কয়েকটি সিএইচ-৪ স্ট্রাইক/রিকনসাসনেন্স ড্রোন রয়েছে।
আরও পড়ুন : বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত লেবাননকে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিল ইসরায়েল
প্রতিবেশী ভারত ও চীনের মধ্যে সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘাতের আগে ওই এলাকায় চীনা বিমান বাহিনীর মাত্রা ১২টি ফকনার বিমান মোতায়েন ছিল। আর কোনো সাপোর্ট বিমান ছিল না। সিএএসআই ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির সেন্টিনেল-২ আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে এই হিসাব উপস্থাপন করেছে।
ছবি অনুযায়ী, বিমানগুলো যুদ্ধের জন্যই প্রস্তুত রাখা হয়েছে, প্রদর্শনীর জন্য নয়।
আরও পড়ুন : চীনে হামলা চালাতে পুরনো রাফাল বিমান কিনেছে ভারত!
অবশ্য লাদাখে চীনা বিমান শক্তি মূলত আত্মরক্ষামূলক অবস্থানেই রয়েছে। তারা ভারতীয় বিমান বাহিনীর হামলা থেকে তাদের স্থল সৈন্যদের রক্ষার মিশনকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে। তবে চীনা বিমানগুলো ভারতীয় বিমানশক্তিকে দমন করতে পারবে বলে মনে হচ্ছে। তবে চীন যেভাবে তাদের বিমানগুলোকে মোতায়েন করেছে, তাতে মনে হয় না তারা ভারতীয় সৈন্য, তাদের সরবরাহ রেখা বা অবকাঠামোতে হামলা করার কোনো পরিকল্পনা করছে।
আরও পড়ুন : গাজায় ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল
য[দিও ভারতও এরই মধ্যে তাদের বিমান শক্তি বৃদ্ধি করেছে। সম্প্রতি ভারত ফ্রান্স থেকে ৫টি রাফাল জঙ্গি বিমান সংগ্রহ করেছে। তাছাড়া তাদের হাতে আছে আধুনিক মিগ-২৯ কে জঙ্গি বিমান। ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাফাল বিমান চীনা বিমানগুলোর চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। চীনের জে-২০ বিমান কোনোভাবেই রাফালের মোকাবেলা করতে পারবে না।
আরও পড়ুন : ভুলে নিজেদের ড্রোন ভূপাতিত করল ইসরায়েল
দুই দেশের বিরোধপূর্ণ লাদাখের বাইরেই উভয় দেশ তাদের বিমানগুলো মোতায়েন রেখেছে। তবে লাদাখে এগুলো সহজেই প্রবেশ করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে চীনের চেয়ে ভারত কিছুটা এগিয়ে রয়েছে। লাদাখ থেকে চীনের সবচেয়ে কাছের বিমান ঘাঁটিটি কাশগড়ে অবস্থিত, সেটি ৩৫০ মাইল দূরে। আর জিনজিয়াং ও তিব্বতের বিমান ঘাঁটিগুলো ৬০০ মাইল দূরে।
সূত্র : ফোর্বেস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড