অলক চন্দ্র দাশ
আমাকে যদি আপত্তি করতে কখনোই অতিক্রম করতাম না আকাশের সীমা! আমাকে যদি অপেক্ষাই দান করতে রাত্রিও পারতো না চোখের পাতা ঝরাতে!
আমাকে যদি সত্য সুর শুনাতে ধ্যানমগ্ন থাকতাম সুমেরু পর্বতে! আমাকে যদি জন্ম-মৃত্যুর পূর্ণতা শেখাতে কখনোই ভুল বর চাইতাম না ঈশ্বরের কাছে! রাবণের মতো দুই হাত পেতে নিতাম না অপরাজেয় খড়গ না হয় আমিও হয়ে উঠতাম মহারথী অর্জুনের মতো!
মূর্খ আমি মূর্খতায় ভরা প্রত্যাশার খাতা শক্তিকে কে আহুতি দিয়েছি অভিশাপের অভিমুখে কর্মকে ছলনার অন্ধকূপের তলাতলে- শকুনির যুদ্ধ চর্চায় নিমগ্ন অভিযাত্রা মহারথী কর্ণের জন্ম- মৃত্যুর সমুদ্র নীল অভিমানকে শুকিয়ে জ্বালিয়েছি আগুন; ধুঁয়ার অস্পষ্টতায় তাকেও পক্ষে নেবো! গুঁড়ো মেঘ, গুঁড়ো সিমেন্টের মাটি গলিয়ে যাচ্ছি আত্মরূপ মুখস্থই করেছি শুধু অনুভব আর অনুমানের মাঝে দূরত্ব গড়েছি নিজের।
আমাকে যদি রাধাকৃষ্ণের অনন্ত লীলার জ্ঞান দান করতে দুল পূর্ণিমায়, ঝুলনযাত্রায়.... আমিও আত্মসমর্পণ করতে যেতাম অর্জন করতাম শ্মশানে যাবার না জানা জ্ঞান।
আমাকে যদি নিরেপক্ষ রোদ্র-প্রহরে তাকাতে বলতে প্রজাপতি যে প্রেমের কুটির নির্মাণ বার্তা নিয়ে আসে কোকিল যে প্রেমকে আকার দিতে আসে বছরে বছরে তাড়িয়ে তাড়িয়েই রাখতাম না.... আঁকতাম বিশুদ্ধ উপযোগ গুঞ্জনে গুঞ্জনে!
আমাকে যদি প্রতিজ্ঞা ছুঁতে আহবান করতে তোমার চুলের খোপয় আর সিঁদুরের সিঁথিতে আমার যে শ্বাশত গভীরতা নদী হয়ে গেছে তাতে ছুঁয়েই, সূর্যের রোদে, সন্ধ্যার শিউলির তলে, রাত্রি ভোরে পৌঁছাতে পৌঁছাতে চোখে চোখে শুভ্রতা তুলে রাখতাম ফুলদানিতে যেমন মুঠো ভরে ফুল তুলে রাখে!
না হয় প্রিয় জীবনান্দের কবিতাটাই শুনাতাম চুল তার অন্ধকার কবেকার বিদিশার নিশা, মুখ তার শ্রাবন্তীর কারুকার্য; অতিদূর সমুদ্রের'পর হাল ভেঙে যে নাবিক হারিয়েছে দিশা সবুজ ঘাসের দেশ যখন সে চোখে দেখে দারুচিনি- দ্বীপের ভেতর, তেমনি দেখেছি তারে অন্ধকারে; বলেছে সে, ‘এতদিন কোথায় ছিলেন?’
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড