জোবাইদা ইসলাম জবা
১ পড়শী যখন যাবে ছেড়ে আরশিনগর তোর থেকে, কৃষ্ণগহ্বর ডাকবে সেদিন নিতেই নদীর ঐ বাঁকে। এই কথাটিই বলে ডেকে রাত্রি হলেই সেই দরবেশটা; কেউ আর জানবে নাতো, বাজনা বাজে কোন শাঁখে।
২ একপেয়ালা আয়ু নিয়ে বড়াই কেন করিস তুই, পয়গম্বরেরও হয়নি সাহস, একটিবার আয়ু ছুঁই! শরাব পিয়ে সাকি খুঁজে দিন পার করেছে অনন্ত; কোন সাহসে দিগন্ত খুঁজিস, মরি যে ভেবেই মুই।
৩ আঙ্গুররসে মাটির পাত্র দেখি খুব সাজালো কুম্ভকার, তুচ্ছ ভেবে হঠাৎ একদিন মাথায় তুলে দেবে আছাড়। পোষ মানা এই ময়নাপাখি,তোর ঘরে আর থাকবে না; দিনকানা তুই বুঝলি না, ঐ কঠিন কুম্ভকারের ব্যবহার।
৪ জন্মস্থান তোর কুমোরবাড়ি সেখানেই তোর ভবিষ্যত, যেখান থেকে যাত্রা শুরু, সেখানেই তোর থামবে রথ। তুই কি জানিস কী জিনিস, কোন রসায়ন তোর দেহে? কেন জপিস আবোলতাবোল, যত পিতৃহীনা মতামত।
৫ যে কুম্ভকার করল তৈয়ার, দেখতে তারে কেমন বল, আস্তিক নাস্তিক ঝগড়া করে, আমার বাড়ে মনোবল। আমার মাঝে আমি’র বাস, শ্বাস রূপে সেই কুম্ভকার; সত্য! আমিত্বটা একেশ্বর, আমি জপি তাকে অনর্গল।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড