• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

গরমে সেদ্ধ হয়ে মারা গেল ৫ লক্ষ ঝিনুক

  অধিকার ডেস্ক

২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৫:৩৪
ঝিনুক
ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে পড়ছে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব। কোথাও হাড় কাঁপানো শীতে কাঁপছে মানুষ, কোথাও গরমে সেদ্ধ হওয়ার জোগাড়।

সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ুজনিত কারণে মারা গেছে লক্ষাধিক ঝিনুক। আরও অনেক জীববৈচিত্র্য রয়েছে যা সেদ্ধ হওয়ার মতো অবস্থা। জানা যায়, অস্বচ্ছ পানিতে গরমে সেদ্ধ হয়ে মারা গেছে প্রায় পাঁচ লাখ ঝিনুক। সমুদ্র বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই এমনটা হয়েছে।

নিউজিল্যান্ডের উত্তরের দ্বীপ মাউনগানুই ব্লাফ উপকূলে মৃত এসব ঝিনুক পাওয়া গেছে। অকল্যান্ডের বাসিন্দা ম্যান ব্র্যানডন এই মৃত ঝিনুকের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করলে তা ভাইরাল হয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, গরমে সেদ্ধ হয়ে এসব ঝিনুক মারা গেছে।

নিউজিল্যান্ডের ওয়াইকাটো বিশ্ববিদ্যালয়ের সামুদ্রিক বাস্তু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ক্রিস বাটারসিহিল এই মৃত্যুর জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ঝিনুকের এমন অস্বাভাবিক মৃত্যু এবারই প্রথম নয়। গত কয়েক বছরে বিপুল টুয়াটুয়া ককলস ও ক্লামস (এক ধরনের ঝিনুক) মরেছে।

আরও পড়ুন : করোনার ভয়ে প্লাস্টিক মুড়ি দিয়ে বিমানে দুই যাত্রী

পানিতে কীভাবে এত সংখ্যক ঝিনুকের মৃত্যু হলো তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা অনুসন্ধান করছেন। শেগল, পলি– এমনকি ভারী ধাতবগুলোকে ফিল্টার করার দক্ষতার জন্য ঝিনুক নদীগুলোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

অধ্যাপক ক্রিস বাটারসিহিল গণমাধ্যমে জানান, অত্যধিক গরম ও স্থায়ী পানিতে অক্সিজেনের অভাবের ফলে শামুক-ঝিনুকগুলো মারা যাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন, দিন দিন তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে তাদের সংখ্যাও কমে আসবে।

ওডি/এনএম

আপনার চোখে পড়া অথবা জানা অন্যরকম অথবা ভিন্ন স্বাদের খবরগুলোও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তাই সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড