• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩১ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

দেশেই পিএইচডির সুযোগ

  শিক্ষা ডেস্ক

২৭ জানুয়ারি ২০২০, ১৬:০৯
উচ্চশিক্ষা
দেশেই উচ্চশিক্ষা অর্জন (ছবি : সংগৃহীত)

স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি পর্যায়ে গবেষণা করতে প্রতি বছর বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন কয়েক হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। শুধু দেশের বাইরেই নয় দেশেও বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল ও পিএইচডি পর্যায়ে গবেষণা ও ডিগ্রি লাভের সুযোগ রয়েছে।

কিন্তু সঠিক তথ্যের অভাবে অনেকেই এ বিষয়ে সেভাবে অবগত নন। চলুন আজকে জেনে নেওয়া যাক দেশে পিএইচডির আদ্যোপান্ত।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ সুবিধা : প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত পর্যায়ে এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি লাভের সুযোগ রয়েছে। এখানে দুই বছরের এমফিল ও পিএইচডি মিলিয়ে চার বছরের প্রোগ্রাম। এমফিল কোর্সের পড়াশোনাকে পূর্ণকালীন কোর্স হিসেবে গণ্য করায় চাকরিজীবীদের ছুটি নিয়ে এমফিল করতে হয়। এই দুই কোর্সে ভর্তি হতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসের এমফিল ও পিএইচডি শাখা থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে।

এমফিলের আবেদনপত্র সংগ্রহে শিক্ষার্থীর চার বছর মেয়াদি স্নাতক ডিগ্রি, তিন বছর মেয়াদি স্নাতক ও এক বছর মেয়াদি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি কিংবা দুই বছর মেয়াদি স্নাতক ও দুই বছর মেয়াদি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হয়। শিক্ষাজীবনের সব পরীক্ষায় ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগ বা শ্রেণিসহ ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে। মাধ্যমিক থেকে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পর্যন্ত সব পরীক্ষায় জিপিএ–৫-এর মধ্যে কমপক্ষে ৩.৫ অথবা সিজিপিএ–৪-এর মধ্যে ৩ থাকতে হবে। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, স্বীকৃত যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণরা ভর্তির জন্য এখানে আবেদন করতে পারবেন।

এছাড়াও পিএইচডি গবেষণার জন্য প্রার্থীকে এমফিল পাস করতে হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা এমফিলে আবেদনের মতোই। এ ছাড়া প্রার্থীকে স্নাতক পর্যায়ে ন্যূনতম দুই বছরের শিক্ষাদানের অভিজ্ঞতা কিংবা দুই বছরের গবেষণার অভিজ্ঞতা বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানে দুই বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে ও দেখাতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছাড়া চাকরিরত প্রার্থীরা কর্মস্থল থেকে কমপক্ষে এক বছরের ছুটি নিয়ে পিএইচডি প্রোগ্রামে যোগ দিতে পারবেন। প্রতিবছর পিএইচডি গবেষকদের বিভাগীয় অ্যাকাডেমিক কমিটির সামনে একটি সেমিনারে বক্তব্য দিতে হয়। দুটি সেমিনার রিপোর্ট ছাড়া পূর্ণাঙ্গ থিসিস জমা নেওয়া হয় না। প্রতিবছর পিএইচডির আবেদনপত্র গ্রহণের জন্য বিজ্ঞপ্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা বিদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।

সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পিএইচডি করতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ও এমফিল করার সুযোগ আছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্ষেত্রে ভর্তির যোগ্যতা ভিন্ন হয়।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রার্থীদের অবশ্যই এমফিল বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। তবে কোনো প্রার্থীর যদি এমফিল ডিগ্রি না থাকে, সে ক্ষেত্রে স্বীকৃত কোনো জার্নালে তিনটি গবেষণা প্রকাশনা বা পাঁচ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা অথবা গবেষণা প্রতিষ্ঠানে ছয় বছর গবেষণার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজেও (আইবিএস) দুই বছর মেয়াদি এমফিল এবং তিন বছর মেয়াদি পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া যায়। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিভাগের অধীনে যারা এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তি হতে চান, তাদের চার বছর মেয়াদি স্নাতক ও এক বছর মেয়াদি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। যারা পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হতে চান, তাদের অবশ্যই এমফিল বা সমমানের ডিগ্রি নিতে হবে। যাদের স্নাতক পর্যায়ে চার বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা আছে অথবা কোনো প্রতিষ্ঠিত গবেষণা প্রতিষ্ঠানে দুই বছরের গবেষণার অভিজ্ঞতা আছে, তারা এই প্রোগ্রামে ভর্তি হতে পারবেন। ভর্তির যোগ্যতা এমফিলের শর্তগুলোর মতোই। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল করার ক্ষেত্রে প্রার্থীদের যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস হতে হবে। এ ক্ষেত্রে তিন বছরের স্নাতকসহ স্নাতকোত্তর অথবা চার বছরের স্নাতকসহ স্নাতকোত্তর হতে পারে। এ ক্ষেত্রে প্রার্থীকে শিক্ষাজীবনের সব পর্যায়ে দ্বিতীয় বিভাগসহ অবশ্যই ৫০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য এমফিল ডিগ্রি থাকতে হবে। এমফিল ডিগ্রি না থাকলে প্রার্থীকে ৪ বছরের স্নাতকসহ (সম্মান) স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এবং থিসিসসহ ৬০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।

এছাড়াও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে এমফিল ও পিএইচডি পর্যায়ে গবেষণার সুযোগ রয়েছে। বছর জুড়ে বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য আবেদন গ্রহণ করা হয়।

আরও পড়ুন : শেকৃবিতে ৫ বহিরাগতসহ আটক ২০

খরচ ও বৃত্তি এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কম খরচে পড়া যায়। এক্ষেত্রে আবেদনের ফরম ও ভর্তির জন্য ফি গ্রহণ করা হয়। সব বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল ও পিএইচডি পর্যায়ে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা মাসিক বৃত্তি পেয়ে থাকেন। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্নভাবে অনুদান ও বৃত্তির সুযোগ পান শিক্ষার্থীরা।

ওডি/এমএ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড