অধিকার ডেস্ক
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানের স্ত্রী শেহেলা পারভীনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সনদ বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত।
সুনির্দিষ্ট অভিযোগে সাইবার নিরাপত্তা আইনের মামলায় শনিবার তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
ডিবি সূত্র বলছে, রোববার (২১ এপ্রিল) সকাল ১১টায় এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।
গত ১ এপ্রিল একই অভিযোগে গ্রেপ্তার হন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামান। শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদে শেহেলা পারভীনের নাম উঠে আসে।
এ ছাড়া গত ৪ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান গ্রেপ্তার শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে বলেন, সনদ বাণিজ্যের নানা প্রক্রিয়ায় তার কাছে গ্রাহক নিয়ে আসতেন দেশের আনাচে কানাচে গড়ে ওঠা কারিগরি স্কুল ও কলেজের প্রধান শিক্ষক ও প্রিন্সিপালেরা। যেসব প্রধান শিক্ষক ও প্রিন্সিপাল মধ্যস্থতা করে গ্রাহক নিয়ে আসতেন, তাদের নামের দীর্ঘ তালিকা এসেছে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে। সনদ বাণিজ্যের বিষয়ে বোর্ডের ছোট–বড় সব কর্মকর্তা জানতেন বলেও উল্লেখ করেন এ গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
এর আগে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের অপকর্ম নিয়ে অধিকারসহ অন্যান্য গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেসকল সংবাদে বলা হয়, সরকারের নজর যখন কারিগরি শিক্ষার উন্নয়ন, বোর্ডের চেয়ারম্যান তখন ব্যস্ত নিজের উন্নয়ন নিয়ে। 'চেয়ারম্যান' পদটি তার কাছে এখন টাকা কামানোর মেশিন। খাত যাই-ই হোক সেটাকে টাকার উৎস্য বানাতে পটু এ চেয়ারম্যানের রেট করাও আছে নির্দিষ্ট কিছু কাজে। বোর্ডের নিয়োগে তার একচ্ছত্র আধিপত্য থাকবেই, তবে আত্মীয়-অনাত্মীয়ের তফাৎ করেই উৎকোচ গ্রহণ করেন। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা পরিবর্তন, অনুমোদন, পাঠের বিষয় খোলা এ ধরণের কাজে রেট আছে। তবে কোনো অনুষ্ঠানে নিতে গেলেও দামদর করেও টাকা দেওয়া যাবে। বোর্ড চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানের হাতে এখন অনিরাপদ সম্ভাবনাময় কারিগরি শিক্ষা।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড