ক্রীড়া ডেস্ক
সদ্যপ্রয়াত আর্জেন্টিনার ফুটবল কিংবদন্তী দিয়েগো ম্যারাডোনার ব্যক্তিগত ডাক্তার লিওপোল্ডো লুকের বাড়ি এবং প্রাইভেট ক্লিনিকে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। ম্যারাডোনার চিকিৎসায় কোনো অবহেলা ঘটেছিল কিনা পুলিশ তা বের করার চেষ্টা করছে।
দিয়েগো ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সের কাছে তার নিজ বাড়ীতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান চার দিন আগে। তার বয়স হয়েছিল ৬০। ম্যারাডোনাকে কী ওষুধ দেওয়া হচ্ছিল- তা তার দুই মেয়ে জানতে চেয়েছিলেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
নভেম্বর মাসের প্রথম দিকে ম্যারাডোনার মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার কারণে এক সফল অস্ত্রোপচার করা হয়। এর পর তার এ্যালকোহল পানের ওপর নির্ভরশীলতা কাটানোর জন্য চিকিৎসা শুরু হবার কথা ছিল।
ম্যারাডোনাকে বিশ্ব ফুটবলের সেরা তারকাদের একজন বলে গণ্য করা হয়। ১৯৮৬ সালে তাঁর নেতৃত্বে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপের শিরোপা জেতে।
তার মৃত্যুতে আর্জেন্টিনায় যেরকম শোকের দৃশ্য দেখা গেছে, তা ছিল অভূতপূর্ব। তাকে সমাহিত করার আগে সারাদিন রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সের রাস্তায় হাজার-হাজার মানুষ জড়ো হয়ে ম্যারাডোনার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য হাজার হাজার মানুষ প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে আসলে এক পর্যায়ে মানুষের সারি এক কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ হয়। শোকার্ত মানুষ যখন কফিনের কাছে আসতে চেয়েছিল তখন তাদের সামাল দিতে পুলিশকে শক্তি প্রয়োগ করতে হয়েছে। এসময় পুলিশ টিয়ার গ্যাস এবং রাবার বুলেট ছুঁড়েছে।
আরও পড়ুন : কাভানির জোড়া গোলে জিতল ম্যান ইউ
একপর্যায়ে ম্যারাডোনার কফিন জনসম্মুখে যে জায়গায় রাখা হয়েছিল সেখান থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। এরপর মোটর শোভাযাত্রায় ম্যারাডোনার মরদেহ বুয়েন্স আয়ার্স শহরের উপকণ্ঠে বেল্লা ভিস্তায় কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে ম্যারাডোনাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড