গ্যাবায় প্রযুক্তিগত ত্রুটি ছাপিয়ে হেডের সেঞ্চুরি

গ্যাবা টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনেই ১৪টি নো বল করেছেন ইংলিশ অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। তার মধ্যে কেবল মাত্র দুটি নো বল চোখে পড়েছে আম্পায়ারের! বাকি ১২টিতে নো বলের সিগন্যালই দেননি তিনি। ঘটনার বিশ্লেষণে গিয়ে জানা যায়, চলতি টেস্টের নো বল শনাক্তকরণ প্রযুক্তিটিতেই নাকি সমস্যা রয়েছে! আর তাই এর পূর্ণ সুবিধা নেয়া সম্ভাব হয়নি। এই প্রযুক্তিগত ত্রুটির দিনে মাত্র ৮৫ বলে সেঞ্চুরি করেছেন ট্রাভিস হেড। এতে ১৯৬ রানের লিড পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় দিন শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ সাত উইকেটে ৩৪৩ রান।

দিন শেষে ব্যক্তিগত ১১২ রানে অপরাজিত আছেন হেড। তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন ১০ রান করা মিচেল স্টার্ক। অজিদের হয়ে এদিন ইনিংসের শুরুর দিকে সাজঘরে ফেরত যান ওপেনার মার্কাস হ্যারিস। ব্যক্তিগত ৩ রানে ফিরেছেন তিনি।

এরপর ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ১৫৬ রানের জুটি গড়েন মারনাস ল্যাবুশেন। ব্যক্তিগত ৭৪ রানে জ্যাক লিচের বলে ফিরে যান ল্যাবুশেন। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি স্টিভ স্মিথও (১২)। স্মিথ ফেরার তিন ওভারের মধ্যে ফিরে যান ওয়ার্নারও।

তিনবার জীবন পেয়েও সেঞ্চুরি পাননি ওয়ার্নার। ৯৪ রানে ফিরে যেতে হয় সাজঘরে। ওয়ার্নারকে ফেরানোর পরের বলেই ক্যামেরন গ্রিনকে ফেরান ওলি রবিনসন।

এরপর হেডকে সঙ্গ দেন অ্যালেক্স ক্যারি ও প্যাট কামিন্সরা। বাজে পরিস্থিতির মাঝেও আগ্রাসী খেলতে থাকেন হেড। ক্যারি ও কামিন্স দুজনই ফিরে যান ১২ রান করে। ইংল্যান্ডের হয়ে তিনটি উইকেট নেন রবিনসন।

এদিকে দ্বিতীয় দিনের আলোচনার তুঙ্গে একটানা চারটি নো বল করা স্টোকস। চার নম্বর 'নো বল'-এ ডেভিড ওয়ার্নার বোল্ড হয়ে গেলে ভিডিও রিপ্লে দেখে আগের নো বলগুলো নিয়ে টনক নড়ে সবার! এরপর প্রথম সেশন শেষে জানা যায়, মোট ১৪টি নো বল করেছেন স্টোকস, যার মধ্যে মাত্র দুটিতে সিগন্যাল দেন আম্পায়ার!

এ নিয়ে ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। এরই মাঝে প্রযুক্তিগত ত্রুটি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করছেন অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটাররা।

এর আগে ম্যাচের প্রথম দিনে ইংল্যান্ড ১৪৭ রানে অলআউট হওয়ার পর বৃষ্টির কারণে আর মাঠে নামেনি অস্ট্রেলিয়া।

সংক্ষিপ্ত স্কোর-

ইংল্যান্ড (প্রথম ইনিংস)- ১৪৭/১০ (৫০.১ ওভার) (বাটলার ৩৯, পোপ ৩৫; কামিন্স ৫/৩৮, স্টার্ক ২/৩৫, হ্যাজেলউড ২/৪২)

অস্ট্রেলিয়া (প্রথম ইনিংস)- ৩৪৩/৭ (৮৪ ওভার) (হেড ১১২*, ওয়ার্নার ৯৪, ল্যাবুশেন ৭৪; রবিনসন ৩/৪৮)

ওডি/কেএ