দ্বিতীয় সেশনে টাইগারদের প্রাপ্তি শূন্য, আবিদের হাফ সেঞ্চুরি

চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশের বোলারদের হতাশায় ডুবিয়ে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিলেন পাকিস্তানের ওপেনার আবিদ আলী। ৫২ রানে অপরাজিত আছেন তিনি। আরেক ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক অপরাজিত আছেন ২৭ রান করে।

এর আগে বাংলাদেশকে ৩৩০ রানে অলআউট করে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। কোনো উইকেট না হারিয়ে সফরকারীদের সংগ্রহ ৭৯ রান। দ্বিতীয় সেশনে একটি উইকেটও তুলে নিতে পারেনি মুমিনুল বাহিনী।

বাংলাদেশের জন্য ছিলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ দ্বিতীয় দিনের সকালটা। প্রথম ঘন্টা দেখে শুনে পার করে আরো বড় সংগ্রহের আশা নিয়েই দিনের খেলা শুরু করেছিলেন ২০৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়া লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। আগের দিনে করা ৮২ রানে ব্যাট করতে নামা মুশফিকও চেষ্টা করছিলেন আর একটি সেঞ্চুরির।

কিন্তু দিনের খেলার দ্বিতীয় ওভারে হাসান আলীর বলে লিটনের এলবিডব্লু দিয়ে শুরু। ১১৩ রান নিয়ে দিন শুরু করা এই ব্যাটার আর ১ রান যোগ করেই আউট হয়েছেন ১১৪ রানে। এতে পঞ্চম উইকেটে তাদের রেকর্ড জুটি ভাঙে ২০৬ রানে। মড়ক লাগে তখনই। এরপর একে একে বাংলাদেশ ৭৭ রান তুলতেই হারিয়েছে শেষ ৬ উইকেট।

অভিষেক রাঙাতে পারেননি ইয়াসির আলী রাব্বি। ৪ রান করে হাসানের বলে বোল্ড হয়েছেন তিনি। আর ৯ রানের আক্ষেপে পুড়েছেন ক্যারিয়ারের ৮ম সেঞ্চুরির আশায় ব্যাট করা মুশফিক।

ফাহিম আশরাফের বলে আম্পায়ারের দেয়া লেগ বিফোরের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন আছে। রিভিউও নিয়েছিলেন মুশফিক, তাতে দেখা যায় বল যখন ব্যাট ছাড়িয়ে যাচ্ছিল ঠিক সেসময় ব্যাটের কানা স্পর্শ করেছিল প্যাডেও। কিন্তু আল্ট্রা এজে কম্পন দেখা দেয়ায় আউট দিতে বাধ্য হন আম্পায়ার।

এদিন মুশফিক আক্ষেপে পুড়লেও দারুণ ব্যাট করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৮ নম্বরে নেমে ৬ চারের সাহায্যে ৩৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। কিন্তু তাইজুল ইসলাম, রাহী-এবাদতরা দ্রুত আউট হয়ে গেলে সঙ্গীর অভাবে আর ইনিংস বড় করার সুযোগ হয়নি তার।

তাইজুল ১১ রান করে এবং ৮ রান করে রাহী আউট হয়েছেন স্লিপে ক্যাচ দিয়ে। আর এবাদতকে বোল্ড করে ৫ উইকেট শিকারের কৃতিত্ব অর্জন করেছেন হাসান। দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের ৬ উইকেটের ৪টিই তার। ২টি করে উইকেট শাহীন এবং আশরাফের।

ওডি/কেএ