ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা ম্যাচের উপাধি পেয়েছিল ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল। ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ হয়েছিল টাই। এরপর সুপার ওভারও হলো টাই। শেষ পর্যন্ত বাউন্ডারির হিসেবে ইংল্যান্ডকে জয়ী ঘোষণা করেছিল আইসিসি।
যে নিয়মে ইংল্যান্ডকে বিশ্বচ্যাম্পিয়নের মুকুট পরানো হয়েছিল, সেই নিয়মটা মোটেও পছন্দ হয়নি বিশেষজ্ঞদের। এ নিয়ে শুরু হয়েছিল তুমুল সমালোচনা। যে কারণে, বাউন্ডারির নিয়মটাই পাল্টে ফেলা হয়।
রবিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে আইপিএলের ইতিহাসেই নয় ক্রিকেট ইতিহাসেই অন্যতম সেরা ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স আর কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের মধ্যে। যেখানে হলো দুটি সুপার ওভার। টান টান উত্তেজনার মধ্যে দুই সুপার ওভারের পর নিষ্পত্তি হলো ম্যাচের। এই প্রথম ক্রিকেট ইতিহাসে একই ম্যাচে দুটি সুপার ওভারের রেকর্ড সৃষ্টি হলো।
তবে অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠেছে, যদি টাই হতো দ্বিতীয় সুপার ওভারও সেক্ষেত্রে ম্যাচের পরিণতি কী হতো? আইসিসির নতুন নিয়ম অনুযায়ী, যদি দ্বিতীয় সুপার ওভারটিও টাই হতো, তবে আরেকটি সুপার ওভারে নামতে হতো দুই দলকে। এভাবে এক ওভার করে খেলা চলতে থাকতো বিজয়ী নির্ধারণ হওয়ার আগ পর্যন্ত। অনেকটা ফুটবলের পেনাল্টি শুটআউটে সাডেন ডেথের মতো।
যদি সুপার ওভারে ফল আসার আগেই কোনো ঝামেলায় পড়ে যেত ম্যাচ? বৃষ্টি বা অন্য কোনো সমস্যা হতো, তখন? তখনও কোনো দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হতো না। বরং টাই হিসেবেই ধরা হতো ম্যাচটিকে, দুই দলকে ভাগ করে দেয়া হতো পয়েন্ট।
আরেকটি ব্যাপার। যদি ম্যাচটি তৃতীয় সুপার ওভারে গড়াতো, তবে প্রথম সুপার ওভারের বোলার এবং ব্যাটসম্যানরা এতে অংশ নিতে পারতেন। সেক্ষেত্রে মুম্বাইয়ের জাসপ্রিত বুমরাহ এবং কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের মোহাম্মদ শামি আবারও বল করতে পারতেন। ব্যাটিংয়ে নামতে পারতেন রোহিত শর্মা, কুইন্টন ডি কক, লোকেশ রাহুল, নিকোলাস পুরান আর দীপক হুদা।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড