• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

পাল্টে যাচ্ছে ক্রিকেটারদের উদযাপন

  ক্রীড়া ডেস্ক

২৩ মে ২০২০, ১৭:২৪
করোনা
ছবি : সংগৃহীত

করোনাভাইরাসে বন্ধ রয়েছে ক্রিকেট বিশ্বের সব খেলা। কবে মাঠে খেলা ফিরবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত নয় ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলও (আইসিসি)। তবে যখনই খেলা মাঠে ফিরুক, তার জন্য প্রত্যেক দেশকে নির্দেশিকা বা গাইডলাইন দিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। গত দুই মাস মেডিক্যাল টিমের সঙ্গে বারবার বৈঠক শেষে আইসিসি তৈরি করেছে এই গাইডলাইন।

কোনও দেশে ক্রিকেট শুরুর সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে সেই দেশের সরকারের ওপর। আইসিসিও সেটা জানিয়েছে প্রকাশিত গাইডলাইনে। তবে সরকারের সবুজ সংকেত পাওয়ার পর দেশটি অনুশীলন শুরু করলে এরপর থেকে তাদের কী করতে হবে, সেটাই বিস্তারিত জানিয়েছে আইসিসির চিকিৎসা উপদেষ্টা কমিটি।

তাদের গাইডলাইন অনুযায়ী, প্রত্যেক বোর্ডকে একজন করে প্রধান চিকিৎসক কিংবা বায়োসেফটি কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে হবে। নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মকর্তা নিশ্চিত করবেন, নিজ দেশের সরকারের দেওয়া স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলনে খেলায়াড়রা ঠিকমতো মেনে চলছেন কিনা।

এরপর বলা হয়েছে ১৪ দিনের আইসোলেশনের কথা। কোনও দল সফরে যাওয়ার আগে অন্তত ১৪ দিনের আইসোলেশন ক্যাম্প করবে। যাতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিশ্চিত হয়ে তারপর তারা সফরে যেতে পারে। আইসোলেশন ক্যাম্পে নিয়মিত হবে তাপমাত্রা ও কোভিড-১৯ পরীক্ষা।

অনুশীলনে নিরাপদ দূরত্বে থাকার কথা বলা হয়েছে গাইডলাইনে। প্রত্যেক খেলোয়াড়ের একে অন্যের সঙ্গে দূরত্ব থাকবে দেড় মিটার (কিংবা সেই দেশের সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী দূরত্ব)। খেলোয়াড়দের অনুশীলনের জন্য মাঠে পুরোপুরি তৈরি হয়ে আসতে বলা হয়েছে। ব্যক্তিগত বাদে অন্য কারও জিনিস ভাগাভাগি করার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে অনুশীলনে এসে গোলস করতে ও ড্রেসিং রুম ব্যবহারে।

অনুশীলন হবে চার ধাপে এবং প্রত্যেকটি ধাপ হবে নিজ নিজ দেশের সরকারের নির্দেশনা মেনে। প্রথম ধাপে প্রত্যেক খেলোয়াড় একা অনুশীলন করবেন। দ্বিতীয় ধাপে অনুশীলন হবে দুই থেকে তিনজনের, তবে অবশ্যই তাদের মধ্যে থাকবে সামাজিক দূরত্ব। তৃতীয় ধাপে গ্রুপটা বড় করে (১০ জনের কম) হবে অনুশীলন, সেখানে খেলোয়াড়দের সঙ্গে থাকতে পারবেন একজন কোচ। আর চতুর্থ ধাপে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পুরো দল নিয়ে শুরু করতে পারবে অনুশীলন।

লম্বা সময় মাঠের বাইরে থাকার প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ছে পেসারদের ওপর। তাই অনুশীলনে ফাস্ট বোলারদের জন্য রয়েছে আইসিসি আলাদা নির্দেশিকা। টেস্টে ক্রিকেটে ফেরার জন্য একজন পেস বোলার ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের অনুশীলন প্রয়োজন প্রস্তুত হতে। ওয়ানডের জন্য যেটি ৬ সপ্তাহ, আর টি-টোয়েন্টির জন্য ৫ থেকে ৬ সপ্তাহ।

অনুশীলনের পর রয়েছে মাঠের ক্রিকেটের গাইডলাইড। যেখানে আইসিসি প্রতিটি ম্যাচে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা রাখতে বলেছে। খেলার সময় অন্তত একজন চিকিৎসক থাকবেন, যিনি সবসময় তৎপর থাকবেন। ইতিমধ্যে আইসিসি ক্রিকেট কমিটি বলে লালা ব্যবহার নিষিদ্ধের সুপারিশ করেছে। বল সম্পর্কে রয়েছে আরও কিছু গাইডলাইন। বল ধরার পর নিয়মিত হাত স্যানিটাইজার করতে হবে এবং কোনোভাবেই হাত মুখে কিংবা নাকে লাগানো যাবে না। তছাড়া দুই ওভারের মাঝে আম্পায়ারকে ক্যাপ, তোয়ালে, সোয়েটার ইত্যাদি জিনিসপত্র দিতে পারবেন না খেলোয়াড়রা। আর বল ধরার ক্ষেত্রে আম্পায়ার ব্যবহার করবেন গ্লাভস।

উইকেট পাওয়ার পর বোলারের সঙ্গে সতীর্থরা উৎসবে মেতে উঠেন। এই দৃশ্য হয়তো সামনে আর দেখা যাবে না। কারণ আইসিসির গাইডলাইনে উদযাপনে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে অপ্রয়োজনীয় স্পর্শ এড়িয়ে চলার কথা বলা হয়েছে। যেটা ইতিমধ্যে ফুটবলে শুরু হয়েছে, গোল করলেও উদযাপন করছেন সবাই দূরত্ব বজায় রেখে।

আইসিসি জানিয়েছে, অনুশীলন কিংবা ক্রিকেটীয় কার্যক্রমের এই গাইডলাইনের পুরোটাই নির্ভর করছে সদস্য দেশগুলোর ক্রিকেট বোর্ড ও সরকারের নির্দেশনার ওপর।

ওডি/

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড