ক্রীড়া প্রতিবেদক
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের একমাত্র টেস্টের তৃতীয় দিন শেষ হয়েছে। ২৮৬ রান পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দিন শেষ করল জিম্বাবুয়ে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংস : ২৬৫ বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস : ৫৬০/৬ (ইনিংস ঘোষণা) জিম্বাবুয়ে ২য় ইনিংস : ৪ ওভারে ৯/২ (মাসভাউরে ০, কাসুজা ৮*, তিরিপানো ০, টেইলর ১*; নাঈম ৩-০-৪-২, তাইজুল ২-০-৫-০)
তৃতীয় দিন শেষেই জয়ের সুবাতাস পাচ্ছে বাংলাদেশ
বাংলাদেশকে পুনরায় ব্যাটিংয়ে পাঠাতে হলে জিম্বাবুয়েকে আগে টপকে যেতে হবে বাংলাদেশের দেওয়া ২৯৫ রানের লিড। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মাত্র স্কোর বোর্ডে কোনো রান যুক্ত করার আগেই ২ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। এখনো বাংলাদেশ থেকে ২৮৬ রান পিছিয়ে তারা। জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার আর মাত্র ৮ উইকেট। ২ উইকেটে ৯ রানে তৃতীয় দিন শেষ করেছে জিম্বাবুয়ে। কাসুজা ৮ ও টেইলর ১ রানে ব্যাট করছেন।
প্রথম ওভারেই নাঈমের জোড়া আঘাত
২৯৫ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা একদমই ভালো হলো না জিম্বাবুয়ের। বাংলাদেশ শুরু করেছে স্পিন দিয়ে। দ্বিতীয় বলেই উইকেট নিয়ে আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন নাঈম হাসান। দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন প্রিন্স মাসভাউরেকে। মাসভাউরের পর নাইটওয়াচম্যান হিসেবে তিরিপানোকে পাঠায় জিম্বাবুয়ে। কিন্তু তৃতীয় বলেই ফিরেন তিনি।
স্কোর বোর্ডে কোনো রান যুক্ত করার আগেই ২ উইকেট হারায় সফরকারীরা। পরের বলে হ্যাটট্রিক করার সুযোগ ছিল নাঈমের। কিন্তু বলটি ঠেকিয়ে দিয়েছেন ব্রেন্ডন টেইলর।
২৯৫ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করল বাংলাদেশ
মুশফিকুর রহীমের তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরির অপেক্ষায় ছিল বাংলাদেশ দল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মুশফিকের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরির পরপরই নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ দল। তৃতীয় দিনের তৃতীয় সেশনে ৫৬০ রানের ইনিংস ঘোষণা দেয় স্বাগতিকরা। এতে ২৯৫ রানের লিড পায় মুমিনুল হকের দল। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছে জিম্বাবুয়েও।
হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়েই সাজঘরে ফিরলেন লিটন
আগের ওভারেই তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের পঞ্চম হাফসেঞ্চুরি। মুশফিকের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে দুর্দান্ত ব্যাট করতে থাকা লিটন হুট করেই ভুল করে বসলেন। সিকান্দার রাজার ওভারের প্রথম বলে লিটনের লেট কাট আটকে যায় চাকাভার শরীরে। ফলে ভাঙে মুশফিকের সঙ্গে তার ১১১ রানের জুটি। লিটন আউট হলেও সুবিধাজনক অবস্থানেই আছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যেই তারা ২৭৬ রানের লিড নিয়েছেন।
এই রিপোর্ট লেখা অব্দি বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৫০ ওভারে ৬ উইকেটের খরচায় ৫৪১ রান। উইকেটে রয়েছেন মুশফিক (১৯০) এবং তাইজুল (৮)।
৬ টেস্ট পর বাংলাদেশের ৫০০
অল্প সময়ের ব্যবধানে মুমিনুল ও মিঠুনের উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে টাইগাররা। তবে সব চাপ দূর করে ষষ্ঠ উইকেট বড় জুটি গড়ে তুলেছেন লিটন ও মুশফিক। এ জুটিতে এখন পর্যন্ত এসেছে ৯৬ রান। আর এ দুইজনের ব্যাটেই স্কোরবোর্ডে ৫০০ রানের বেশি জমা করেছে বাংলাদেশ।
দীর্ঘ ৬ টেস্ট পর ৫০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করল বাংলাদেশ। এছাড়া সর্বশেষ ১০ ইনিংসে ২৫০ রানও করতে পারেনি টাইগাররা। আর সে বাংলাদেশই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ছোটাচ্ছে রানের ফোয়ারা। ইতোমধ্যেই এ ইনিংসে করা ৫১৭ রান টাইগারদের সর্বোচ্চ ইনিংসের তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে জায়গা করে নিয়েছে।
বৃষ্টি নামেনি, চা-বিরতির পর খেলা আবার শুরু
চা-বিরতিতে যাওয়ার পর মিরপুরে ফ্লাডলাইট জ্বলে উঠেছিল। ঘনিয়ে আসছিল আঁধার। কাভার নিয়ে প্রস্তুত ছিলেন গ্রাউন্ডসম্যানরা। সতর্কতা হিসেবেই ঢেকে রাখা হয়েছিল উইকেট, তবে সরিয়ে ফেলা হয়েছে সেটি। বৃষ্টি নামেনি, চা-বিরতির পর নির্ধারিত সময়ে আবার শুরু হয়েছে খেলা।
প্রথম সেশনটি দুর্দান্তভাবে কাটিয়েছিলেন মুশফিকুর রহীম ও মুমিনুল হক। তবে দ্বিতীয় সেশনে এসে দুটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এনডিলোভুর বলে আউট হয়ে ফিরে যান অধিনায়ক মুমিনুল হক (১৩২)। এরপর দ্রুতই ফেরেন মোহাম্মদ মিঠুন। তার উইকেটিও নেন এনডিলোভু। এরপর লিটন কুমার দাস ও মুশফিক মিলে সেশন শেষ করে বিরতিতে যান।
মিরপুরে ঘনিয়ে আসছে আঁধার
বাংলাদেশ এই মুহূর্তে বৃষ্টি চাইবে না কোনোভাবেই। কারণ ইতোমধ্যে স্বাগতিকদের লিড বেড়ে চলছে। দিনের শেষ সময় পর্যন্ত ব্যাট করে গেলে বড় লিড পাবে টাইগাররা। বাংলাদেশের কাজটা অবশ্য সহজ করে দিয়েছেন মুমিনুল-মুশফিক। যদিও ১৩২ রানে ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি করে ফিরেছেন অধিনায়ক। তবে এখনো টিকে আছেন মুশি। দেড়শ রানের কাছকাছি পৌঁছে গেছেন।
জিম্বাবুয়ের করা ২৬৫ রানের জবাবে বাংলাদেশ ৩ উইকেট হারিয়ে ২৪০ রান তুলে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল। আজ সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সেখান থেকে তৃতীয় দিন শুরু করেছে স্বাগতিকরা। এরই মধ্যে সফরকারীদের টার্গেট ছুঁয়ে ১৭৭ রানের লিড নিয়েছে বাংলাদেশ।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বড় লিডের পথে এখন বাধা হতে পারে বৃষ্টি। আঁধার ঘনিয়ে আসছে মিরপুরে, জ্বলে উঠেছে ফ্লাডলাইটও। ১৪৩ রানে মুশফিক এবং ৯ রান লিটন গেছেন চা বিরতিতে।
বেশিক্ষণ থাকলেন না মিঠুন
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিঠুনের চারেই বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪০০ পেরিয়েছে। মুশফিকুর রহীমের সঙ্গে খেলছিলেন ভালোই, কিন্তু এনডিলোভুর বলটা কাট করতে গিয়ে হলো বিপদ, ক্যাচ জমা পড়ল কিপারের গ্লাভসে। মিঠুন সাথে সাথেই রিভিউ নিলেন, মুশফিককে বলছিলেন বল ব্যাটে লাগেনি তার। কিন্তু রিপ্লেতে বল ব্যাট ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সামান্য এজ দেখা গেল। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বহাল থাকল। ২৩ বলে ১৭ রানে ফিরলেন মিঠুন।
ধৈর্য হারিয়ে ফেললেন মুমিনুল
কাপ্তান মুমিনুল হক ফিরে গেলেন ধৈর্য হারিয়ে। বলা যায় উইকেট তুলে দিয়েছেন তিনি। ফুল লেন্থের বলটা টেনে মারতে গিয়েছিলেন মুমিনুল, বেশ ভালো রিটার্ন ক্যাচ নিয়েছেন মাথার ওপর থেকে এনডিলোভু। ২৩৪ বলে ১৩২ রানে করে ফিরে গেলেন মুমিনুল। সেই সঙ্গে মুশফিকের সঙ্গে ভাঙে ২২২ রানের জুটি।
তামিম-ইমরুলকে ছাড়িয়ে মুমিনুল-মুশফিক
এত দিন টেস্টে দুটি করে দুইশ রানের জুটি ছিল দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস এবং মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহীম জুটির। তামিম-ইমরুল জুটিকে এবার ছাড়িয়ে গেলেন মুমিনুল-মুশফিক।
মুমিনুল-মুশফিকের তিনটি দুইশ রানের জুটির দুটি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ২০১৮ সালে মিরপুরেই চতুর্থ উইকেটে গড়েছিলেন ২৬৬ রানের জুটি। এর আগে সেই বছর জানুয়ারিতে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় উইকেটে গড়েন ২৩৬ রানের জুটি।
২০০ রান পেরিয়ে মুমিনুল-মুশফিক জুটি
৫০তম ওভারে দলীয় ১৭১ রানের মাথায় নাজমুল হোসেন শান্ত আউট হওয়ার পর দলের হাল ধরেন মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম। সেই থেকে এখন পর্যন্ত (১০৭ ওভার) এই জুটি অবিচ্ছিন্ন রয়েছে। ইতোমধ্যে তারা দুজন চতুর্থ উইকেটে ২১৭ রান সংগ্রহ করেছেন। যেখানে মুশফিকের অবদান ১২৬। আর মুমিনুলের ৮৪।
টেস্টে সপ্তম সেঞ্চুরি মুশফিকের
৯৯ রানে আটকে ছিলেন বেশ কিছুক্ষণ। কোনো ঝুঁকি নেননি, শেষ পর্যন্ত এনডিলোভুর অফ স্টাম্পের বাইরের বলটা কাট করে চার মেরেই পৌঁছালেন সেঞ্চুরিতে। ১৬০ বল খেলা তার এই ইনিংসে ১৮টি চারের মার রয়েছে। ক্যারিয়ারে সপ্তম টেস্ট সেঞ্চুরি পেলেন মুশফিকুর রহীম।
স্বস্তি নিয়ে লাঞ্চে বাংলাদেশ
মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহীমের ব্যাটে ১৭৯ রানের জুটি পেয়েছে বাংলাদেশ। ৩ উইকেটে ২৪০ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে টাইগাররা। দিনের শুরুতেই আগের দিনের অপরাজিত মুশফিকুর রহীম তুলে নেন ক্যারিয়ারের ২২তম অর্ধশতক। সঙ্গে থাকা মুমিনুলও থেমে থাকেননি। ব্যাট চালাতে চালাতে তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি। মুশফিক এখন অবশ্য সেঞ্চুরি থেকে এক রান দূরে।
৯৯তম ওভারের এনডিলোভুর শেষ বলে এক রান নিলেই সেঞ্চুরি পেয়ে যেতেন মুশফিক। কিন্তু সেটি না করে ৯৯ রানে থেকেই লাঞ্চে গেলেন। তার সঙ্গে ওপরপ্রান্তে আছেন সেঞ্চুরিয়ান মুমিনুল ১১৯ রানে। এই সেশনে বাংলাদেশের এসেছে ১১১ রান।
এই সেশনে বাংলাদেশের অর্জন মুমিনুলের সেঞ্চুরি। টেস্ট ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি করেছেন এই টেস্ট স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান। তবে অধিনায়ক হিসেবে এটিই তার প্রথম সেঞ্চুরি। এই সেঞ্চুরির মধ্য দিয়ে মুমিনুল ছুঁয়েছেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবালকে। টেস্টে ৯টি সেঞ্চুরি করা তামিমের পাশে এখন মুমিনুল।
এ দিকে ৯৯ রানে লাঞ্চে যাওয়া মুশফিক বিরতির পর এসে শতক হাঁকালে এটি হবে তার টেস্ট ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি। ১৫৩ বলে ৯৯ রান করতে মুশি খেলেছেন ১৭টি বাউন্ডারি।
মুমিনুলের সেঞ্চুরি
টেস্ট ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক। অধিনায়ক হিসেবে এই তার প্রথম শতক। তিরিপানোর করা ৮৩তম ওভারের তৃতীয় বলটিকে বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগার স্পর্শ করেন মুমিনুল। ১৫৬ বলের এই ইনিংসে ১২টি চারের মার ছিল। মুশফিককে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে ইতোমধ্যে ১৩২ রান সংগ্রহ করেছেন তিনি।
৩ উইকেটে ২৪০ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে টাইগাররা। দিনের শুরুতেই আগের দিনের অপরাজিত মুশফিকুর রহীম তুলে নেন ক্যারিয়ারের ২২তম অর্ধশতক। সঙ্গে থাকা মুমিনুলও থেমে থাকেননি। ব্যাট চালাতে চালাতে তুলে নেন সেঞ্চুরি।
তৃতীয় দিনের খেলা শুরু
জিম্বাবুয়ের করা ২৬৫ রানের জবাবে বাংলাদেশ ৩ উইকেট হারিয়ে ২৪০ রান তুলে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল। আজ সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সেখান থেকে তৃতীয় দিন শুরু করেছে স্বাগতিকরা।
ওডি/এসএম
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড