• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

লাল কার্ডেও প্রশংসায় ভাসছেন ভালভার্দে

  ক্রীড়া ডেস্ক

১৪ জানুয়ারি ২০২০, ১২:৪৯
স্প্যানিশ সুপার কাপ
মোরাতাকে ফাউল করেন ভালভার্দে (ছবি : সংগৃহীত)

লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লেও রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যমণি এখন ফেডেরিকো ভালভার্দে। দলের শিরোপা জয় মাঠে থেকে উপভোগ করতে না পারলেও সব দুঃখ ভুলে গেছেন এ উরুগুইয়ান তারকা। কারণ, লাল কার্ড পেয়েও জিতেছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। পেয়েছেন শিরোপার স্বাদ। কুড়িয়েছেন নিজ দল ও প্রতিপক্ষ কোচের প্রশংসা।

সুপার কাপের ফাইনাল, মুখোমুখি মাদ্রিদের দুই নগর প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল ও অ্যাতলেটিকো। ম্যাচের ১১৫তম মিনিট পর্যন্ত খেলার স্কোর গোলশূন্য। শেষ বাঁশি বাজার পাঁচ মিনিট আগে অ্যাতলেটিকোর ডি-বক্সের বেশ সামনে ফ্রি কিক পায় রিয়াল মাদ্রিদ। লুকা মদ্রিচের নেওয়া শট প্রতিহত হলে পাল্টা আক্রমণে যায় অ্যাতলেটিকো। দলটির স্প্যানিশ স্ট্রাইকার আলভারো মোরাতা বল পেয়ে এক ছুটে পেছনে ফেলেন রিয়াল ডিফেন্ডারদের।

সামনে শুধু গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া। তাকে ফাঁকি দিতে পারলে নতুন ফরম্যাটের প্রথম সুপার কাপ অ্যাতলেটিকোর। প্রাণপণে চেষ্টা করে মোরাতাকে ধরতে না পেরে বাজে ট্যাকেলের মাধ্যমে নিশ্চিত গোল বঞ্চিত করে রিয়ালকে বাঁচান ভালভার্দে।

রেফারি হোসে সানচেজ লাল কার্ড দেখালে কোনো প্রতিবাদ ছাড়া মাঠ ছাড়েন দক্ষিণ আমেরিকান এ ফুটবলার। পরবর্তীকালে ট্রাইবেকারে ৪-১ গোলে জিতে সুপার কাপের শিরোপা ঘরে তোলে রিয়াল। আর লাল কার্ড পাওয়া ভালভার্দে নির্বাচিত হন ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়। ম্যাচ শেষে ভালভার্দে বলেন, ‘আমি জানি এটা উচিত হয়নি। কিন্তু এছাড়া আমার হাতে আর কোনো উপায় ছিল না। খেলা শেষে আমি মোরাতার কাছে গিয়ে ক্ষমা চেয়েছি।’

নিশ্চিত লাল কার্ড পাবেন জেনেও কেন এমন ফাউল করা। এ নিয়ে ২১ বছর বয়সী ভালভার্দে বলেন, ‘আমি দলের জন্য এটি করেছি। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই আমরা এতো কষ্ট করি। শেষ পর্যন্ত খুশি যে, আমরা শিরোপা জিততে পেরেছি।’ খুব শীঘ্রই প্রথমবারের মতো পিতৃত্বের স্বাদ পেতে যাচ্ছেন, এর সঙ্গে শিরোপার স্বাদ। সবমিলিয়ে দারুণ সময় কাটাচ্ছেন জানিয়ে ভালভার্দে বলেন, ‘আমি এখন প্রতিটা সময় খুব উপভোগ করছি। দলের সঙ্গে শিরোপা জেতার পাশাপাশি খুব শীঘ্রই আমি বাবা হতে যাচ্ছি। দারুণ ভালো মুহূর্ত যাচ্ছে আমার। আমি এসব উপভোগ করতে চাই।’

লাল কার্ড পেয়ে ড্রেসিং রুমের পথে যাওয়ার সময় অ্যাতলেটিকোর কোচ দিয়েগো সিমিওনে এগিয়ে এসে পিঠ চাপড়ে দেন ভালভার্দের। ম্যাচ শেষে এই উরুগুইয়ানের প্রশংসা করে সিমিওনে বলেন, ‘এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ছিল তার জন্য। আমি তাকে বলেছি, তোমার জায়গায় অন্য কেউ হলেও একই কাজ করত। আমি মনে করি, ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার তার প্রাপ্য। কারণ, ম্যাচটি সে জিতিয়েছে। মোরাতাকে ওভাবে না আটকালে গোলটা হতে পারত।’

রিয়াল কোচ জিনেদিন জিদানও প্রশংসায় ভাসিয়েছেন শিষ্য ভালভার্দেকে, ‘আমি তাকে নিয়ে খুশি। সে তার কাজটা করেছে। ম্যাচের সেরা হয়েছে। এখন সতীর্থদের সঙ্গে শিরোপার আনন্দ ভাগাভাগি করার সময়। তবে সবচেয়ে দারুণ ব্যাপার হচ্ছে, সে মোরাতার কাছে ক্ষমা চেয়েছে।’

ওডি/এনএ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড