নৈরিৎ ইমু
জন্ম
চোখের ভেতর ঢুকে পড়ি। গুল্মগন্ধের পথে বেরিয়ে পড়েছে কেউ, পায়ের তলায় মাটি ও ঘাসের স্নেহদাগ বয়ে, বেরিয়ে পড়েছে কেউ গৌরবর্ণ দিনে। অদূরে আগুন আছে, জল ও ফলের রঙ। তাজা পাতা— পোকাখাওয়া, নীল পাথরের দেশ। জনঅরণ্য ঘিরে মেঘের বিজলি ছাওয়া গান, অনেক পঙতির মতো সারিসারি বসতির দিকে কান্নার আয়োজন। চোখের ভেতর আরও গোরস্তানের জোনাক ঘুরে, অন্ধকারের দিকে বক্র হয়েছে কামাতুর চাঁদ। পাখির হৃদয় কোনো গান, ঘুমন্ত পাপড়ির মতো নিষ্পাপ মন নিয়ে সেইদিকে বেরিয়ে পড়েছে কেউ যন্ত্রণার যোনীদ্বার ফেটে। তাকে পৌঁছাতে হবে, নাভি কর্তনের পর ক্রন্দিত সমাচারে, মায়ের দুহাতে সে উজ্জ্বল হবে সাত আকাশের তারা।
একা’র জানাজা শেষে
একা’র জানাজা শেষে— শশকের রূপ নিতে পারো।
মুকুল-গৃহ থেকে— উড়ে যায় বাগদত্তা পাখি, ভাবতে পারো, সিনেমেটিক কথা আরও বেশি।
একা’র জানাজা শেষে— দীর্ঘ ঘুমের পরে— কফি খেয়ে বলতেও পারো, দারুণ।
ধোঁকা খাওয়া লোক
ধরো, তুমি এক ধোঁকা খাওয়া লোক হেসে হেসে বললে— এইতো হবার ছিলো মানুষ রেণু-মাখা প্রজাপতি নয়, নয় কোন মার্জনা ফুল।
তারা রোদ পোহায়, হাওয়া খায় তাও তো সুন্দর।
ভাগ্য
আমি আমার ভাগ্যকে একটি পোকার আধখাওয়া পাতা ভেবেছিলাম। দেখলাম, সেটি শুধুই পোকা, পাতাটি পোকার পেটেই বিলীন।
ঘুমিয়ে যাও খোকা
বিকেলের কাঁধে মাথা রেখেছে দুপুর গাছগুলো, বোনের মতো শান্তিপ্রিয় পাহাড়ের চূড়া হতে পাখিরা আকাশের দিকে ছুঁড়ে দিলো নিজেদের মায়ের শাড়িটি কোথাও পুরনো দিনের দিকে শুকিয়ে গিয়েছে আমলকি পাতার ছায়ায় ভ্রমণ বৃত্তান্ত পেরিয়ে, শুয়ে আছে বাবার ক্লান্ত সাইকেল মৃতের মতো খাঁ খাঁ উঠোনের কোণে বয়স্ক নারীটির পিঠে রোদমাখা মমতা পুকুরে নিঃশব্দ সাঁতার দিয়েছে শাদা হাঁস এখন জ্বিনের ঘুরপাক এখন অবশ্যম্ভাবী বিপদ এখন সুখী লাটিম ও বিমান ঘুড়ি মন্দ এখন ঘুমিয়ে যাও খোকা।
ওডি/এসএন
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড