ফিরোজ আহমেদ
আত্মহত্যা
আমরা যারা আত্মহত্যার বয়স পেরিয়ে এসেছি তাদের বৃদ্ধাঙ্গুলিতে লেখা আছে ভীরুদের নাম গান শুনতে শুনতে আত্মহত্যা পছন্দ ছিলো আমার জরাগ্রস্ত জীবন তবু বসে থাকে হামাগুড়ি-সন্ধ্যায়।
একটি বোতলের ছিপি খুলে বসে আছি দুপুরকে রাত্রি ভেবে একজন নারী ভালো না বেসেও আমার জন্য অপেক্ষা করে অথচ আমি সারারাত জেগেছিলাম অবিশ্বাসী বিভীষণ হয়ে।
আত্মহত্যার বয়সেই চলে যাওয়া ভালো মানুষের চলে যাওয়ার পূর্বে বৃদ্ধ হতে নেই।
ইডিপাসের প্রতি
কোরাস গাইতে পারি না ইডিপাস কিছু কিছু ভাবনা ফুল হয়ে ফুটবার আগেই হারিয়ে যায় অপ্রকাশিত প্রেমের মতো নিয়তি তোমাকে ছাড়েনি পিতৃঘাতী হওয়া থেকে ছাড়েনি মাতৃগামী হওয়ার নিষিদ্ধ ভক্ষণে।
কিন্তু আমাকে দেখো, ইডিপাস বুকের ভেতর কোরাস উঠলে আমিও মাতাল হই নিয়তি মানিনি, তবু পরিণতি ঠ্যাকাতে পারিনি যখন তোমাকে খুব মনে পড়েছে আমার।
ইডিপাস, জীবনের কোনো আধুনিক ভার্সন নেই, হেরে গেলে সবাই বলে হেরেই গিয়েছি অথচ তোমার ধাঁধা বিজয়ের ভেতরেই-- পরাজয় ছিলো, সে কথা সময় বলেছে।
আমিও ত্রিকালদর্শী হতে চাই ইডিপাস আকাশের ঠিকানাটা জানা খুব প্রয়োজন।
কারুকলা
নরম পালকের পাখি আঁখি মেলে আর একবার চাও পাও যদি এই বুকে শ্রাবণের মেঘবাড়ি আড়ি তবে এবার থামাও।
উপবাসী সাপ মানে না জলে ভেজা মাঠের কথন গঠনের ইতিহাস জানা আছে ঢের আষাঢ়ের বীজতলা ফেলে রাখা পাপ সাপ তাই নিতে চায় লাঙলের স্বভাব।
মানুষ শস্যবীজ ঈশ্বরের কণা খনা কি বলে গ্যাছে ভুলে যাও, শস্যবতী নারী-- তোমাকে শেখাবো বাকল খোলার কারুকলা।
কবিদের কাছে এসো না মধ্যরাতে না ঘুমানো নারীরা কবিদের কাছে এসো না কবিতার শব্দের নাড়িভুঁড়ি ব্যবচ্ছেদ করতে এসো না বরং স্বামীর পাঁজরের হাড়গুলো গুণে দেখো ক্রমশ কমেই চলেছে বামের সারিটা।
এ শহরে শিশির ঝরছে তুষারের মতো মরা-ঘোড়ায় চেপে বসে আছেন রাজকুমার তোমাকে পেলেই নিয়ে যাবেন শ্মশানের ঘাটে তুমি জ্বলে যাবে নারী! পালাও হজমবিহীন শব্দরা তোমাকে গর্ভপাতের বেদনা দেবে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড