শব্দনীল
আগামীকাল প্রভাতের আলোর সাথে শুরু হবে ভাষার মাস ও বাংলাসাহিত্যের প্রাণের মাস ফেব্রুয়ারি। ফেব্রুয়ারি জুড়ে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে শুরু হচ্ছে বইমেলা-২০১৯। মেলাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে সেজে উঠেছে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দি উদ্যান। নিজেদের স্টলে শেষ সময়ের প্রলেপ দিতে ব্যস্ত প্রকাশনীগুলো।
বইমেলাকে বলা হয় বাঙালির প্রাণের মেলা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাসহ পুরো বইমেলায় সকল স্তরের মানুষের আগমনে হয়ে ওঠে সরগরম। অনেক লেখকই বইমেলাকে উপলক্ষ্য করে বই বের করে থাকেন। বইমেলা হয়ে ওঠে লেখকের সাথে পাঠকের মেলবন্ধনের স্থান। মেলাতে প্রবীণদের পাশাপাশি প্রকাশিত হয় তরুণদেরও বই। এদের মাঝে অনেক নবীন লেখকের বই প্রথমবার প্রকাশিত হয়। আর তাই অন্যদের চাইতে তাদের উচ্ছ্বাসও কিছুটা আলাদা হয়। এই তরুণ লেখকরা প্রথমবার তাদের প্রকাশিত বইয়ের অনুভূতি জানিয়েছেন 'দৈনিক অধিকার'র কাছে।
চলুন জেনে নিই এবার বইমেলায় প্রকাশিত নবীন লেখকদের বই সম্পর্কে আর সেই সাথে তাদের অনুভূতির কথাও:
১। রুদ্রাক্ষ রায়হান
প্রথম বই প্রকাশের জন্য বইমেলাকে বেছে নেয়ার মূল কারণ বই বিক্রির সিংহভাগ দায়িত্ব প্রকাশকের কাঁধে ছেড়ে দেয়া, বইমেলা যতটা আবেগের, যতটা উৎসবের ততটাই বাণিজ্যের একথা এখন অনস্বীকার্য।
আর এটা আমার প্রথম বই, প্রথম বইয়ের অনুভূতি বলতে এতটুকুই, বইটা কত কপি চলবে? কারণ বইটা করতে প্রকাশকের একটা বড় অংকের বিনিয়োগ করতে হয়েছে। আর যদি নিজেকে প্রকাশের কথা বলা হয় তবে আমি আমার লেখা সম্পর্কে নিশ্চিত, নিশ্চিন্ত। আমি জানি আমার কবিতা মধ্যবিত্ত চিন্তার শহুরে ভদ্র সমাজের জন্য নয়। আর যেহেতু তালি কিংবা গালির কোনটাই আমাকে খুব একটা বিচলিত করেনা তাই প্রথম বইয়ের অনুভূতি ও মূলত ঘোড়া ঘোড়া।
কাব্যগ্রন্থ : বহুগামী ঘোড়া প্রকাশনী : পরিবার পাবলিকেশন বইমেলায় স্টল নম্বর : ২১৩
২। জুলফিক'র রবিন
আমার লেখার সাথে যারা পরিচিত, তারা বেশ কদিন ধরেই বই প্রকাশের তাগাদা দিচ্ছিলেন। গত বইমেলায় পাণ্ডুলিপি প্রস্তুত করলেও নিজেকে যাচাই করার জন্য আরও কিছুটা সময় নিলাম। অবশেষে এবারের বইমেলায় প্রথম কাব্য প্রকাশের সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।
সত্যি কথা বলতে প্রথম বই প্রকাশের অনুভূতি আমার কাছে অভূতপূর্ব এবং রোমাঞ্চকর। সাথে রয়েছে পাঠকের প্রত্যাশাজাত সুখকর মানসিক চাপ। বই প্রকাশ নতুন লেখকের জন্য বরাবরই চ্যালেঞ্জিং। তবুও এখন পর্যন্ত যে সাড়া পাচ্ছি তা আশাজাগানিয়া। অমর একুশে গ্রন্থমেলা লেখক-পাঠক তথা চিন্তাশীল বাঙালির প্রাণের উৎসব। জাতির বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের পথে এটি এক অনন্য আয়োজন। এবারের মেলা সুষ্ঠু এবং উৎসবমুখর হোক- এই আমার মনস্কামনা।
কাব্যগ্রন্থ : বিরহের তসবি প্রকাশনী : বেহুলাবাংলা প্রকাশন বইমেলায় স্টল নম্বর : ১২৩-১২৪
৩। দিদার মুহাম্মদ
যখন ভারতের বিভিন্ন রাজ্য ঘুরে বেরানোর নেশা আমাকে চেপে বসেছিল কিন্তু হাত-পা ছিল বাঁধা ঠিক তখনই হাতে পাই উড়িষ্যার কিছু লোককথা। আমার ভাললাগার অংশ কাকে ভাগ করে দেবো, কীভাবেই বা দেবো এই চিন্তা থেকেই ওগুলোকে বাংলা করা। বাংলাট্রিবিউনে প্রকাশিতও হলো।
নির্বাণের আবেদীন পুশকিন ভাই বেশকিছু পড়ে ২০১৯ এর বইমেলায় একে মলাটবন্দী করতে আগ্রহ জানালেন। প্রচ্ছদ করেছেন সাদাত আহমেদ। এই প্রথম আমার কোন বই বাজারে যাচ্ছে। এই অনুভূতি ঠিক বলে বুঝানো যাচ্ছে না। বুকের মধ্যে কেমন শিরশির করছে। দিন যত যাচ্ছে ততই শিরশিরটা বাড়ছে আর সেটা বেশ উপভোগও করছি। কিশোর পাঠকের মনে সাড়া ফেলবে আশা করছি। বই মেলায় সবার নজর কেড়ে নিবে নিশ্চয়ই।
গ্রন্থ : উড়িষ্যার লোককথা প্রকাশকনী : নির্বাণ প্রকাশ
৪। মিঞা শোভন
‘মিঞা শোভনের পাঠশালা’ বইটা গেলো দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা জ্ঞানের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টির ধারাবাহিক প্রচেষ্টার নাম।
আমি চেয়েছি আমাদের এই সংগ্রাম এর কথা পাঠককে জানাতে। আমার মনে হয়েছে এটা জানানো উচিৎ৷ কারণ পাঠকের জানার উপরই নির্ভর করছে আমাদের এই ধারাবাহিক প্রচেষ্টার সফলতা।
গ্রন্থ : মিঞা শোভনের পাঠশালা প্রকাশনী : পেন্ডুলাম প্রকাশনী
৫। জাহিদ হাসান তুহিন
প্রথমবারের মত একক বই প্রকাশ হতে যাচ্ছে। তাই অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করছে। তবে আফসোস হল এই মুহূর্তে আমি বাংলাদেশে নেই। পড়ালেখার জন্য অবস্থান করছি চায়নায়। নতুন বই হাতে নিয়ে বইয়ের গন্ধে বিভোর থেকে বই পড়ার এবং পাঠকদের হাতে তুলে দেওয়ার মুহূর্তটা মিস করলাম।
পাঠকদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই প্রবীণ ও গুণী লেখকদের পাশাপাশি নবীন লেখকদের বইও সংগ্রহ করুন। নবীনদের উৎসাহিত করবেন।
কাব্যগ্রন্থ : উপকূল প্রকাশনী : প্রিয় বাংলা প্রকাশন বইমেলায় স্টল নম্বর : ৩৫০
৬। আলেয়া আক্তার আঁখি
গ্রামে থাকার কারণে পত্রিকা পড়া, বই কেনা কিংবা মেলায় যাওয়া কোনটাই তেমন হয়ে উঠেনি। কিন্তু বাবা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সিনিয়র বুকসর্টার হওয়ায় বই পড়ার সুযোগ হয়েছে প্রচুর। টিভিতেই শুধু বইমেলা দেখতাম। আর নিজের লেখাগুলো পোস্ট করতাম ঠিকই কিন্তু পত্রিকার অভাবে, আর অনেকটা লজ্জায় কখনো জানাই হয়নি আমার লেখা ছাপা হয়েছে কিনা।
২০১৬ তে প্রথম আমার লেখা ছাপার অক্ষরে দেখতে পাই। ২০১৭ ও ১৮ তে একদিন করে বইমেলায় যাওয়ার সুযোগ হয় কিছু বই কেনা হয় তবে পুরোটা দেখা হয়নি। ২০১৯ এ নিজের একক কবিতার বই ‘মৃত্যুলীন জীবন’ দেখবো মেলায়।
নতুন মলাট আর ছাপার অক্ষর, অনুভূতিটা সত্যিই অবর্ণনীয় ভালোলাগার। একজন লেখক হিসেবে দায়বদ্ধতার জায়গায় কতটুকু সফল হবো তা নিয়ে অনেকটা ভয়ও কাজ করছে। বইমেলায় লেখক পাঠক মেলবন্ধনের আমিও একটা অংশ হবো, বই কিনবো,আড্ডায় যোগ দিবো।
কাব্যগ্রন্থ : মৃত্যুলীন জীবন প্রকাশনী : জেব্রাক্রসিং প্রকাশন
৭। জাকির হোসেন
‘পোলাওপাতা ও অন্যান্য’ শিরোনাম খচিত বইটি মূলত একটি গল্পগ্রন্থ। বইটিতে মোট আটটি গল্প ঠাঁই পেয়েছে। গল্পগ্রন্থটিতে আছে ভালোবাসার ইরেজার এর মতো জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠে’র নির্বাচিত সেরা গল্পের তকমা পাওয়া গল্প। প্রত্যেকটি গল্পরই আছে কাহিনীর স্বতন্ত্রতা। আমি কুসংস্কার এবং পরিচিত মন্দ মানুষদের নিয়ে লিখতে পছন্দ করি।পরিচিত মন্দ বলতে আমি তাদের বোঝাতে চাচ্ছি। যারা আমাদের আশেপাশে থেকে আমাদের সাথে মিশে ঠিক আমাদেরই সাথে সুযোগ নিয়ে ক্ষতি করে থাকে।
‘পোলাওপাতা ও অন্যান্য’ আমার প্রথম বই। বইটিতে মিশে আছে আমার আবেগ,প্রেম,স্বপ্ন ও শ্রম। আশা রাখি,বইটি পাঠক সাদরে গ্রহণ করবেন। বইটি পাওয়া যাবে ঢাকার বইমেলায় সমতট প্রকাশনীর স্টলে। চট্টগ্রামে পাওয়া যাবে বাতিঘর ও আউটার স্টেডিয়ামের বইমেলায় নালন্দার স্টলে। তাছাড়া অনলাইনে পাওয়া যাবে রকমারিতে।
গল্পগ্রন্থ : পোলাওপাতা ও অন্যান্য প্রকাশনী : সমতট প্রকাশনী বইমেলায় স্টল নম্বর : ২৭৪
৮। সাইয়েদা আক্তার কবিরানী
‘বইমেলা’ এ নামটি শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে অসংখ্য সাজানো স্টল। যেখানে রঙিন মোড়কে বৈচিত্র্যময় অনুভূতি জড়ানো শব্দের চাদরে লেখকদের সন্তানসম লেখাগুলো পুতুলের মতো সাজিয়ে রাখা হয়েছে!
বাঙালি উৎসব প্রিয় জাতি। তাদের স্বত্তায় সাহিত্য, সংস্কৃতি,কৃষ্টি-কালচার, ঐতিহ্য যেনো আষ্টেপৃষ্ঠে লেপন করা। মেলা মানেই মিলন আর তা যদি হয় বই, লেখক ও পাঠক তবে তো আনন্দের বাঁধ ভাঙ্গা উৎসব ছড়িয়ে পড়ে প্রাণে প্রাণে।
প্রথম বলতেই একটু বেশি চিন্তা, বেশি আনন্দ, আর বেশি উত্তেজনা। ঠিক তেমনি জীবনের প্রথম জিনিসগুলো মনের অজান্তেই হৃদয়ের পাড়ায় তুমুল ইতিবাচক সাড়া দিয়ে যায়। ‘কবিরানী’ আমার প্রথম একক কাব্যগ্রন্থ।
‘কবিরানী’র প্রতিটি লেখাই আমার সন্তানের মতো মনে হয়। আর সাহিত্য বলতে আমি প্রকৃতি আর মানুষকে আবিষ্কার করা বুঝি। আমি সৃষ্টিতে বিশ্বাস করি,আমি মনে করি সৃষ্টিতে কোনো পাপ নেই। পরিশেষে বলতে চাই আমার লেখা প্রথম বইটি মলাটবদ্ধ হওয়ায় আমি এক গভীর সমুদ্রানন্দে ভাসছি, যে সাগরের কোনো তীর, কূল-কিনারা নেই।
কাব্যগ্রন্থ : কবিরানী প্রকাশনী: ঘাসফুল বইমেলায় স্টল নম্বর : ৬১২ (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান)
৯। হাফেজ আশরাফুল ইসলাম
হৃদয়ে লালন করা সকল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্বপ্নরাশী প্রতিটি পাতার পরতে পরতে কলমের খোঁচায় আঁকতে শুরু করি, তবে কখনো ভাবতাম না তা গ্রন্থ আকারে প্রকাশ করতে পারবো।
সত্যি বড় আনন্দিত আজ যেমন কোন মায়ের উদর থেকে কোন সন্তানের জন্ম হবার পর হয়ে থাকেন তেমনি। সকলের দোয়া কামনা করছি!
কাব্যগ্রন্থ : আঁধারের সুখ আলোর কান্না প্রকাশনী : হরিৎপত্র প্রকাশন
১০। অপরাজিতা অর্পিতা
‘যখন তুমি প্রথম স্বপ্ন দেখতে শুরু করবে, তখন স্বপ্নগুলো ছাড়া ছাড়া আর সাদাকালো থাকবে, যখন তুমি স্বপ্নগুলোকে ভালোবাসতে শুরু করবে তখন খন্ড খন্ড বর্ণহীন স্বপ্নগুলো আস্তে আস্তে রঙিন আর পূর্নাঙ্গ হয়ে উঠবে......’
এই কথাগুলো আমার বিশ্বাস, আমার প্রেরণা। সেই ছোটবেলায় দেখা ছোট ছোট স্বপ্নগুলো ‘জিগস পাজল’ এর মতো একটু একটু করে জুড়তে শুরু করেছে, ধুসর পাতায় জেগে উঠছে বিন্দু বিন্দু রঙের স্পর্শ। আলহামদুলিল্লাহ। খুব সৌভাগ্যবতী মনে হচ্ছে নিজেকে। লেখালেখিটা কিছুটা স্বভাবজাত। স্কুলের ডায়রিতে লিখতে লিখতেই যার শুরু। বড় হবার সাথে সাথে লেখাগুলোও বড় হয়ে যায়। স্বপ্ন দেখতে শুরু করে কাঁচা হাতের লেখা থেকে ছাপার অক্ষরে প্রাণ পাবার। ২০১৯-এ অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশ পেতে যাচ্ছে আমার দুটি বই। অনুগল্প সংকলন ‘অব্যক্ত হৃৎকথন’ ও কাব্যগ্রন্থ ‘শব্দের বেখেয়ালি আঁচড়’।
এইসব প্রাপ্তির অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যাবেনা। এগুলো তিল তিল করে জমানো ভালোবাসার এক একটি অমূল্য সম্পদ। প্রথম সপ্তাহ থেকেই আশা করা যাচ্ছে বই দুটি মেলাতে থাকবে আর আমিও থাকবো আমার বই নিয়ে আপনাদের সাথে। বই দুটির জন্য সকলের মন থেকে দোয়া, আশীর্বাদ, সহযোগিতা, অনুপ্রেরণা ও ভালবাসা একান্ত কাম্য।
অনুগল্প সংকলন : অব্যক্ত হৃৎকথণ প্রকাশনী : আগামী প্রকাশন বইমেলায় স্টল নম্বর : ২১
১১। হুসাইন আল হাফিজ
প্রথম বই নিয়ে অনুভূতি আসলে ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আমি বই এবং বইয়ের লেখক সম্বন্ধে সংক্ষেপে যা বুঝি সেটা হচ্ছে ‘একজন লেখক একজন মা, বই তার সন্তান’।
নানাবিধ কষ্ট সহ্য করেও মা চান সন্তান, মায়ের সন্তান পাবার সুখ কী আর মা কাউকে বুঝাতে পারেন?
ছড়াগ্রন্থ : ইচ্ছেপাখির গান প্রকাশনী : পায়রা প্রকাশ বইমেলায় স্টল নম্বর : ৩৩৭
১২। হাবিবা মীম
বইমেলা বলতে বাংলা একাডেমী কর্তৃক মাসব্যাপী একাডেমী প্রাঙ্গণের বইমেলাটি একটি গর্বের বিষয়। আমরা যে ধীরে ধীরে শিক্ষিত হচ্ছি, সাংস্কৃতিক মনা সাথে সম্পৃক্ত হচ্ছি, জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায় এগিয়ে যাচ্ছি এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ এই বইমেলা।
আর লেখক হিসেবে আমার তখন মনে হয় আমি নিঃসঙ্গ নই- আমার মনে হয় আমাদের সাথী অনেক। এভাবে চলতে থাকলে আমার বিশ্বাস, জাতি হিসেবে আমরা নিশ্চয়ই বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করতে পারবো। আর আমাদের ভাষাও বিশ্বের অন্যতম ভাষা হিসেবে বেঁচে থাকবে। আমাদের সাহিত্যও আন্তর্জাতিকতা লাভ করবে অবশ্যই।
উপন্যাস : পূণ্যবতী প্রকাশনীর নাম : চৈতন্য প্রকাশন বইমেলায় স্টল নম্বর : ৫৩৫-৫৩৬
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড