• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

প্রবাসী

  সায়েম

১০ মে ২০২০, ২২:৪৫
আইসোলেশন

প্রথমাংশ

আজ প্রায় আটাশ দিন পরে সাংবাদিক মোঃ মঈনুল হাসান বাড়ি থেকে বের হতে যাচ্ছেন। এই লম্বা কোয়ারেন্টাইনের দিনগুলোতে তার অর্জন- স্বল্প সময়ে ওজন প্রায় দ্বিগুণ হওয়ার পথে,ঘরে একটি লম্বাটে দইয়ের সরা ছিল যা এখন সিগারেটের ফিল্টারে টইটুম্বুর করছে,ইতিমধ্যে চুল-দাড়িতে ঢাকা পড়ে গেছে তার সত্যিকারের চেহারাটা। লক-ডাউন এখনও উঠে যায়নি তবু তাকে একটা ইন্টারভিউ করার জন্য আজ বের হতে হবে। এখন বিছানায় বসে সে ভাবছে কোন শার্টটা পড়ে আজকের দিনের খোলা পৃথিবীতে বের হওয়া যায়। যদিও পোশাকের ব্যাপারে সে এতটা সৌখিন কখনও ছিল না তবুও দীর্ঘদিনের বস্তুগত অভাব মানুষের স্বভাবে টুকটাক পরিবর্তন এনেই থাকে। চারপাশে এখন বাড়ি বাড়ি ঝুলছে অদৃশ্য তালা। জীবন্ত রক্ত-মাংসের মানুষগুলো বাঁচার লোভে আলো-বাতাসের পৃথিবী ছেড়ে এখন আত্মরক্ষা করছে ইট-সিমেন্ট এর ছোট ছোট খুপরিগুলোর কারাবাসে। তাতে কি?বাঁচার লোভ মানুষের থাকবেই। লোভ মানেই তা চরিত্রগত ত্রুটি এমনটা ভাবা ঠিক হবেনা। কিছু কিছু লোভ মানুষের জীবনে সিদ্ধহস্ত। বাঁচার লোভ, সম্মানের লোভ, সুনামের, পুণ্যের, ভালবাসার, নিরাপত্তা ইত্যাদি ও ইত্যাদি।

মঈনুল হাসান বিগত কয়েক বছর যাবত দৈনিক শেষ আলোয় নিয়মিতভাবে কিছু প্রতিবেদন করে আসছেন। আসলে সত্যি বলতে কি আজকালের দিনে সবধরনের পেশাতেই ব্যাপক প্রতিযোগিতার ভেতর দিয়ে যেতে হয়। তাই ব্যতিক্রম কিছু মানে আউট অফ দ্যা বক্স না ভাবলে কাজ চলে না। মঈনুল তাই আজ ঠিক করেছে একজন প্রবাস ফেরত কভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির ইন্টারভিউ করবে। তার নিউরো-সার্জন ফুপার তদবিরের সুফলে অনেক ঝামেলার ভেতরেও সাক্ষাৎকারের একটা ব্যবস্থা করা গেছে। লোকটার নাম সিরাজুল ইসলাম। শোনা যায় আজ থেকে প্রায় ১৭ বছর আগে তার মা মারা যাওয়ার পরপর তিনি ইতালিতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর তিনি আর কখনও দেশে ফেরত আসেন নি। এবারই তার প্রথম দেশে আসা। দুইদিন আগে গুপ্ত খবর পেয়ে সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশ তাকে আটক করে আনে তার পিতৃ-আবাস ময়মনসিংহের ভালুকা থানা থেকে এবং করোনা পরীক্ষার পর পজিটিভ ফলাফল আসে। এখন তাকে মহাখালীর IDH হসপিটালে আইসুলেটেড করে রাখা হয়েছে। লোকটার ব্যাপারে মোটা দাগে একটা খোঁজ নিয়েই যাচ্ছে মঈনুল আর কথোপকথনের একটা ড্রাফ্ট-ও সে মনে মনে করে ফেলেছে। লোকটাকে যাচ্ছেতাই বলতে হবে তাহলেই প্রতিবেদন হিট। সে গতরাতে রিহার্সও করেছে। প্রথমে তাকে কিছু বুদ্ধিদীপ্ত প্রশ্ন করে বেকায়দায় ফেলে দেয়া হবে যার মাধ্যমে আসলে মঈনুল জাহির করবে নিজের চৌকসতা। এরপর মানবিক গুণাবলীর কষাঘাতে প্রশ্নবিদ্ধ করে শেষমেশ তাকে চরম অনুশোচনায় টেনে হিঁচড়ে নিয়ে আসতে হবে। এসব বিষয়ে পাবলিক সেন্টিমেন্ট খুব ফেভার করে। যখন তাকে বলা হবে কেন আপনি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরেও দেশে ফিরলেন? কেন আপনি রোগের কথা গোপন করে অন্য আট-দশ জন মানুষের ভেতর চোরের মত মিশে গেলেন? প্রশ্নের প্রবল ধাক্কায় গুম গুম শব্দে কেঁপে উঠবে সমষ্টিগত মানবতাবোধের সামাজিক দেয়াল। ভাবতেই ভাল লাগছে মঈনুলের। যেখানে পাল্টা আঘাতের কোন সুযোগ নেই সেখানে আঘাত তার স্বভাব ধর্মেই হয়ে ওঠে প্রবল হিংস্র।

ঘর থেকে বের হয়ে IDH হসপিটালের দিকে টানা একঘণ্টা হেঁটে চললেন মঈনুল। গাড়ি-ঘোড়া পাওয়া যাবেনা সুতরাং হাঁটতে হবে। দীর্ঘ পথ হাঁটার সহজতম পন্থা হল প্রতিদিনের চলমান সংকটগুলো নিয়ে ভাবতে ভাবতে হাঁটা। পদ যুগল হেঁটে যাবে আর তার তালে তালে অবিরাম মগজে ছুটবে সংকট। এতে মানসিকভাবে পথের দূরত্ব বোধ কমে আসে। খালি মাথায় হাঁটা যায় না। অথচ আবার রাস্তা পার হতে গেলেই আমাদের সমস্ত চিন্তা থেমে যায়। কেননা মানব জীবনে আত্মরক্ষা শ্বাস- প্রশ্বাসের মতই সহজাত। মঈনুল ঘামতে লাগল। হয়ত গরমের দিনে এই মাস্ক,গ্লাভস এসবের চাপে। নাকি অন্য কিছু? হসপিটালের কাছাকাছি এসে তার মনে হল সে ঘামছে আশঙ্কায়। কেন জানি তার মনে হচ্ছে আজ তার গোছানো প্রশ্নপত্র ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে যাবে।

শেষাংশ

হাসপাতালের দোতলায় সবচেয়ে পশ্চিম পাশের ঘরটাতে সিরাজুল ইসলাম-কে রাখা হয়েছে। থাই ডোরগ্লাসে বন্ধ একটা ঘর। দরজা পেরিয়ে ছোট করে একটা কাউন্টার কাটা আছে যেদিক দিয়ে হয়ত সব দেয়া-নেয়া হয়। হঠাৎ মঈনুলের আত্মা কেঁপে উঠল। শুধুমাত্র ক্যারিয়ার কথা ভেবে এই মৃত্যুকূপে পা দেয়াটা কি ঠিক হল? সামনে একটা ছোট টেবিল দেখা যাচ্ছে কাউন্টার বরাবর। তার উপর রাখা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে নিজের হাত পরিষ্কার করতে করতে মঈনুল বলতে লাগল-আপনি নিজেও জানেন সিরাজুল সাহেব এই বৈশ্বিক সংকটে মানুষ তার সার্বিক শক্তি কাজে লাগিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করছে। সরকার ফোর্স লাগিয়ে মানুষকে ঘরে থাকতে বাধ্য করছে, ঘরে ঘরে ত্রান দেয়া হচ্ছে, দেশের ইকোনমি আজ একটা পয়েন্টে থেমে আছে। জানেন কেন এসব করা হচ্ছে? মঈনুল কাউন্টারের ভেতর দিয়ে দেখতে পেল গৌড় বর্ণের বেশ লম্বা একটা লোক চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়াল। লোকটা তার সাথে কথা না বলে দৃঢ় কণ্ঠে গাইতে লাগল-

“ভাইয়ের মায়ের এত স্নেহ কোথায় এমন পাবে কেহ? মাগো তোমার চরণ দুটি বক্ষে আমার ধরি ও আমার এই দেশেতে জন্ম যেন এই দেশেতেই মরি...”

মঈনুল তাকে সময় দিলেন। লোকটা গান শেষ করে আপন মনে ঘরের একটা কোণায় চলে গিয়ে শুন্য দৃষ্টিতে সিলিঙের দিকে তাকিয়ে রইল। মঈনুল আবার বলে চলল-এই যে হোম কোয়ারেন্টাইন, আক্রান্তদের জন্য আইসোলেশন, কিট আনা হচ্ছে, মাঠ পর্যায়ে যারা সেবা দিচ্ছেন তাদের পিপিই, কেন এসব বলতে পারেন? আপনার মত মানুষেরা বোঝেন কেন এসব করা হচ্ছে??কথা বলুন সিরাজ সাহেব। এমন সময়ে আপনি কীভাবে পারলেন এমন কাজ করতে? বলুন। কিছু বলছেন না কেন?

-এজন্যই লালন কাউকে কিছু বলেন নি। -মানে? -কিন্তু লালন কি বলেছিল জানেন?বলে গেল- “কারে বলিব আমার মনের বেদনা এমন ব্যথায় ব্যথিত কেউ মেলে না”

বুঝলাম এখন আপনিই বলুন আপনি কি ঠিক করেছেন? -না ঠিক হয় নাই। -নিজের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করুন এটা কি উচিত হয়েছে? নিজেই উত্তর পাবেন। -হ্যাঁ প্রশ্ন করলে উত্তর হয়ত পেতাম তাই প্রশ্ন করিনি কখনও। -কেন এমন করলেন? সাধারণ মানুষ আপনার নাগাল পেলে আস্ত ছিঁড়ে খাবে এটা বোঝেন? -হুম বুঝি। -তাহলে। কেন করলেন এসব? লোকটা আবার হেঁটে হেঁটে চেয়ারে এসে বসে বলতে লাগল - মরণের পাড়ে বড় অন্ধকার, এসব আলো, প্রেমও নির্জনতার মত। কার কথা বলতে পারবেন? -জীবনানন্দ দাশ। কিন্তু সিরাজ সাহেব কেন?? -করলাম। আসলে ভেবেছিলাম দেড় যুগ ইউরোপে থাকার পর মৃত্যুর আগে একটু বাংলায় গড়বড় করে কথা বলব। আগে-পিছে না ভেবে খোলা মনে বাংলায় ভাসব। মৃত্যুর আগে দিয়ে একটু বাংলা খাবার খাব। এই যেমন ধরেন আস্ত আস্ত টমেটো, ফুলকপি, পটল দিয়ে রুই মাছের ঝোল। কিংবা উত্তরবঙ্গের হাগরায় আলুর ভর্তা, ডাল-ভাত অথবা বড় বড় চিংড়ির দোপেয়াজা, মিঠা পানির আঁশটে ইলিশ মাছ ভাজা। ভাবলাম কবরটা এইখানেই হোক। দেশের বাড়ির পৈত্রিক ভিটায় চিরচেনা মাটিতে। সেই লালচে ভেজামাটি মুঠোভর্তি দলায় দলায় হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ দেখব,নাকের কাছে এনে গন্ধ শুঁকবো। সেই হাত থেকে গলিয়ে পড়া মাটির ছন্দে ছন্দে আনমনে ভেসে উঠবে শৈশবের বিকেল বেলার ছোটাছুটি, কৈশোরের লুকোচুরি প্রেম। ভাবলাম যদি কপালে থাকে তাহলে গ্রামের মেঠো পথ ধরে দুই-একবার ঝুমবৃষ্টিতে কাক ভেজা হয়ে হাঁটতে হাঁটতে গুনগুন করে গাইব হাসনের গান। চায়ের দোকানে অপরিচিত কারও সাথে রাজনীতি নিয়ে তুমুল ঝগড়া করব। এর-ওর কাছে যাব চেনা মুখগুলোকে বলব-চিরবিদায়। এসবই। -আর এসব করতে গিয়ে যে আরও দশটা মানুষকে বিপদে জড়িয়ে ফেললেন শুধু আপনার কারণে সেটা আপনি একবারও ভেবে দেখবেন না? শুধু নিজেরটা দেখবেন অন্যদের কথা ভাববেন না? -না ভাবি নি। অন্যরা তো আমার কথা ভাবছে না। আপনি ভাবছেন আমার কথা? আপনি এসেছেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একটা সাহসিক দুর্দান্ত ইন্টার্ভিউ করতে ক্যারিয়ারে নিজের কিছু নাম কামাবেন বলে। আমার একমাত্র জীবনের শেষ কয়টা দিন নিয়ে আমি কেমন আছি সেটা তো কেউ ভাবছে না। মানুষ ততক্ষণ নিজেকে অন্যের জায়গায় দাঁড় করিয়ে ভাবতে পারে যতক্ষণ না সেই ভাবনা তার ব্যক্তি স্বার্থে আঘাত না করে। সবাই নিজেরটা ভাবছে। একই বাড়িতে থেকেও আপনি ভাবছেন আপনারটা, পাশের ঘরে আপনার বউ ভাবছে তারটা তার মত করে। এভাবেই চলে। আমিও তাই করেছি। এটা যায়। এভাবেই আপনি আমি বাঁচি। -দেখেন আপনার আবেগটা আমি বুঝি। কিন্তু সত্য এটাই বৃহৎ স্বার্থে ক্ষুদ্র আত্মত্যাগ করতে হয়। যখন কোন বৈশ্বিক দুর্যোগের কবলে পড়েছি এভাবেই আমরা সামলে উঠেছি। ঐক্যবদ্ধ চেষ্টায়, সম্মিলিত আত্মত্যাগে। এত যখন বাংলাকে ভালবাসেনরে ভাই তবে সারাজীবন ইউরোপে কেন পড়ে থাকলেন? -ঐ যে মা মারা গেল। পারুলের বিয়ে হয়ে গেল। এরপর চলে গেলাম। জানা আছে তো বোধহয় আমরা বাঙ্গালীরা ঠিক ভেবেই ভুলটা করি আর ভুলটা করেই ঠিকটা বুঝতে পারি এটাও বাঙ্গালীপনার অংশ হয়ে গেছে। -হুমম। আপনাকে শুধু এটুকুই বলার আছে আপনার যখন মৃত্যু নিশ্চিত তখন শেষটায় আপনার কারণে যেন আর দশজনের ক্ষতি না হয় এটা ভাবা উচিত ছিল। এই জাতি, মানুষগুলো, সমাজ-সংস্কৃতি, পরিবার, ছোট ছোট শিশু-বৃদ্ধ এদের সবার প্রতি একটা দায়বোধ আমাদের চিরকালের। বিবেকের নীতি অন্যের স্বার্থ রক্ষা করা। অস্তিত্বের ধর্ম স্বজাতিকে আরেকধাপ এগিয়ে দেয়া। শুধু আমি কিছুই না। আর যদি শুধু আমিই আমার কাছে সবকিছু হয়ে থাকি,তবে ধরে নিতে হবে সভ্যতার আলো এখনও সেখানে পৌঁছায়নি। -হ্যাঁ। এসব কথা বেঁচে থাকার ঐ পাড়ে বসে অগণিত শ্বাস-প্রশ্বাস ছাড়তে ছাড়তে বলতে-শুনতে বেশ ভালই লাগে। কিন্তু এপাড়ের অন্ধকার বলে আমি নেই তো কিছুই নেই। যা কিছু দিয়ে নিজেকে এতদিন ভুলিয়ে রেখেছি তা কেবল মায়াজাল,মিথ্যা, ছেলেখেলা। -ঠিক আছে তবে উঠি। আপনার এই ইন্টার্ভিউটা আমি পত্রিকায় করছি না, তাই আর কথা বাড়িয়ে লাভ নেই। আপনি মৃত্যু পর্যন্ত এই কয়দিন আইসোলেশনে এখানেই থাকবেন। কিছু প্রয়োজন হলে আমাকে বলতে পারেন আমি ব্যবস্থা করে দেয়ার চেষ্টা করে দেখব। -সাংবাদিক সাহেব যাওয়ার সময় আরেকটি জীবনানন্দ নিয়ে যান- “তবুও তো প্যাঁচা জাগে গলিত স্থবির ব্যাঙ আরও দুটি মুহূর্তের ভিক্ষা মাগে আরেকটি প্রভাতের ইশারায় অনুমেয় উষ্ণ অনুরাগে।“ কি পারবেন নাকি দিতে আরও দুটি মুহূর্ত? -না পারবনা। -তাহলে কিছু বাংলা গান দিতে বলুন এই যেমন হেমন্ত, মান্না দে বা কিশোর দা। বুদ্ধদেব, অমিয়, জীবনানন্দের কতগুলো কবিতা দিলে ভাল হত আর হ্যাঁ সাথে কবিগুরুর গীতাঞ্জলীটাও। কিছু বাংলা সিনেমা পাওয়া গেলে ভাল হয় যেমন ধরুন সত্যজিৎ কিংবা মৃণাল সেন কিংবা উত্তম-সুচিত্রার যে কোনটা হলেই চলবে। আর অবশ্যই সাথে কিছু বাংলা মদ। -এসবের বেশিরভাগই আপনি পাবেন না। -হুম। পাবনা জেনেও নিরন্তর খুঁজে চলা ব্যাপারটা জীবনের একটা বড় অংশ।

লেখক: সায়েম

ইমেইল: [email protected]

নবীন- প্রবীন লেখীয়োদের প্রতি আহ্বান: সাহিত্য সুহৃদ মানুষের কাছে ছড়া, কবিতা, গল্প, ছোট গল্প, রম্য রচনা সহ সাহিত্য নির্ভর আপনার যেকোন লেখা পৌঁছে দিতে আমাদেরকে ই-মেইল করুন [email protected]
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড