লাইফস্টাইল ডেস্ক
সময়টা এখন গরমের। তাপ বাড়ছে, সাথে বাড়ছে ত্বকের নানা সমস্যাও। এ সমস্যার মাঝে প্রায়শই দেখা যায় ঘামাচি। ত্বকের মৃত কোষ এবং স্টেফ এপিডারমাইডিস নামের জীবাণু ত্বকের লোমকূপের সঙ্গে থাকা ঘামগ্রন্থির মুখ বন্ধ করে দেয়। আর এ কারণে উষ্ণ আবহাওয়ায় প্রতিনিয়ত শরীরে তৈরি হয় ঘাম। কিন্তু ঘামগ্রন্থির মুখ বন্ধ থাকায় সেই ঘাম বের হতে না পেরে লাল ফুসকুড়ি বা দানার আকারে ফুলে ওঠে। এটিই মূলত ঘামাচি। এই সমস্যা হলে শরীরে জ্বলুনী ভাব অনুভূত হয় খুব বেশি, সেই সাথে বেড়ে যায় চুলকানি। ঘামাচির সমস্যা রোধে অনুসরণ করতে পারেন ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি:
নিমপাতার পেস্ট
ঘামাচির কারণে শরীরে জ্বালাপোড়া হয়। এ সমস্যা রোধে এক মুঠো নিমপাতা গুঁড়া করে পেস্ট বানিয়ে ঘামাচি আক্রান্ত জায়গায় লাগান। কয়েক মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ৪/৫ দিন এটি ব্যবহার করলে ঘামাচির সমস্যা কমে যাবে অনেকখানি।
ঘামাচি রোধে বেশ কার্যকর নিম পেস্ট (ছবি: সংগৃহীত)
মূলতানি মাটির পেস্ট
ঘামাচির সমস্যা কমাতে চার চামচ মূলতানি মাটির সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে ঘামাচির অংশে লাগিয়ে রাখুন। কয়েক ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন।
বরফের টুকরা
বরফের টুকরায় ঘামাচি অপসারণ হয় দ্রুত। সকালে ও রাতে একবার করে ঘামাচি আক্রান্ত স্থানে বরফ লাগান। আরামবোধ হবে।
ঘামাচি সমস্যায় আরাম মিলবে বরফে (ছবি: সংগৃহীত)
বেসনের পেস্ট
বেসনের সঙ্গে পরিমাণ মতো পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ঘামাচি আক্রান্ত স্থানে লাগান। ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ঘামাচির সমস্যা দূরীকরণে এটি বেশ সহায়ক।
অ্যালোভেরা
ঘামাচি আক্রান্ত স্থানে অ্যালোভেরার রস লাগিয়ে নিন। কিনে আনা বিশুদ্ধ অ্যালোভেরা জেলও লাগাতে পারেন।
অ্যালোভেরাতেও আছে ঘামাচি সমস্যার সমাধান (ছবি: সংগৃহীত)
আলু
ঘামাচির অংশগুলিতে আলু পাতলা করে কেটে লাগিয়ে রাখুন। ঘামাচি আর চুলকানি দুইই কমাতে এটি বেশ কার্যকর।
তরমুজ
তরমুজের বীজ ছাড়িয়ে শাঁসটি সরাসরি ঘামাচিতে লাগান। কয়েকদিন এমনটি নিয়মিত করলে ঘামাচির সমস্যা অনেকখানি কমে যাবে।
বেকিং সোডা
এক কাপ পানিতে আধা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। একটি পরিষ্কার কাপড় বা তুলা এতে ভিজিয়ে ঘামাচির জায়গায় লাগান। এটিও ঘামাচি কমাতে সহায়ক।
এছাড়াও যে কাজগুলো করতে হবে :
- গরমে হালকা ও ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হবে।
- অতিরিক্ত পোশাক পরিধান থেকে বিরত থাকতে হবে।
- রোদ যতটা সম্ভব এড়িয়ে ঠাণ্ডা ও ছায়াযুক্ত স্থানে থাকতে হবে।
- অতিরিক্ত মলম ও ক্রিম পরিহার করতে হবে।
- ঠাণ্ডা পানিতে শুষ্ক নয় (Non-drying) এমন সাবান দিয়ে গোসল করতে হবে।
- গোসল শেষে তোয়ালে দিয়ে ভেজা শরীর মুছে নিয়ে বাতাসে শরীর শুকিয়ে নিতে হবে।
- ঘামাচির মাত্রা অতিরিক্ত হয়ে গেলে এবং ব্যথা অসহনীয় হয়ে গেলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
ওডি/এএন
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড