নিশীতা মিতু
সারাদিনের কাজের চাপ, জ্যাম পার হয়ে একটু স্বস্তির আশায় ঘরে ফেরেন সবাই। দিন শেষে যেখানে মিলবে প্রশান্তি। ইট পাথরের এই শহরের বুকে সবুজের বড্ড অভাব। কেমন হবে যদি আপনার ঘরের ছোট্ট বারান্দাটাকেই সবুজে ভরিয়ে ফেলেন?
নার্সারি থেকে ছোট কিছু ফুল বা সবজির চারা কিনে সাজাতে পারেন আপনার বারান্দা। এতে মনের প্রশান্তি যেমন মিলবে, তেমনি ভালোও লাগবে। অনেকে বুঝে উঠতে পারেন না ঠিক কীভাবে বারান্দা সাজাবেন। তাদের জন্য রইল কিছু টিপস-
বারান্দায় রাখুন পছন্দের ফুল গাছ; (ছবি : ফারজানা আক্তার মুনিয়া)
সাজান নানা রকম গাছে-
বাসার আশেপাশে থাকা নার্সারি থেকে নিয়ে আসুন পছন্দের কিছু গাছের চারা। তার সঙ্গে কিনুন পছন্দসই কিছু টব। এসব চারা গাছ দিয়ে সাজিয়ে ফেলুন ব্যালকনি। আপনি যদি ফুলপ্রেমী হয়ে থাকেন তবে এসব গাছের তালিকায় রাখুন মৌসুমি ফুলের গাছ। বেলি, জবা, হাসনাহেনা, রঙ্গন, গোলাপ এসব ফুল গাছ বাড়িয়ে তুলবে বারান্দার সৌন্দর্য।
একটু সময় করে ফেলনা বোতলগুলোকেও গাছ লাগানোর উপযুক্ত করতে পারেন। তাতে লাগাতে পারেন ছোট ছোট পুর্তলিকা কিংবা ঘাসফুল। গ্রিলওয়ালা বারান্দা হলে খাঁজে খাঁজে ঝুলিয়ে দিতে পারেন এসব প্লাস্টিকের টব।
বড় গামলায় রাখুন জলজ গাছ; (ছবি : ইন্টারনেট)
বানিয়ে ফেলুন জলজ বাগান-
শখের বারান্দা যদি হয় জলজ বাগান কেমন হবে ভাবুন তো? ভাবছেন তা কী করে সম্ভব। একটা বড় গামলায় পানি নিন। তাতে টব বসান। টবে দিন শাপলা, পদ্ম, ম্যাক্সিকান সোরড লিলি, স্বর্ণমুকুট, জলগোলাপের মতো জলজ গাছ। ঠিকমতো যত্ন নিলে পুরো বারান্দার চেহারাই বদলে যাবে।
জলজ বাগান করলে পানিতে ছেড়ে দিন গাপ্পি বা মলি মাছ। এতে মশার বংশবৃদ্ধি রোধ করা যাবে সহজে।
সময় নিয়ে বানাতে পারেন ছোট্ট জলপ্রপাত; (ছবি : ইন্টারনেট)
বারান্দা কোণে ছোট্ট ফোয়ারা-
যদি বারান্দায় জলজ বাগান করেন তবে কর্ণারে রাখতে পারেন ছোট্ট ফাউন্টেন বা ফোয়ারা। রঙিন মাছ পাওয়া যায় এমন দোকানে এমন ফোয়ারা পাবেন। তবে নির্দিষ্ট সময় পর পর পানি বদলের কথা ভুলে যাবেন না যেন।
গামলার ভেতর মোটর সেট করে লম্বা টিউব লাগিয়ে টিউবের অপর প্রান্ত মাটির হাঁড়ি, প্লাস্টিকের পুরনো বোতল অথবা বাঁশ ফুটো করে আটকিয়ে বিভিন্নভাবে ডিজাইন করে খুব সহজেই বানানো যায় ছোট্ট জলপ্রপাত। সঙ্গে জুড়ে দিতে পারেন ছোট বড় নুড়ি পাথর।
রাখতে পারেন ক্যাকটাস-
আপনার হাতে যদি সময় খুব কম থাকে তবে বারান্দার জন্য বেছে নিন ক্যাকটাস জাতীয় গাছ। কারণ এ গাছগুলোর জন্য খুব বেশি পানির প্রয়োজন হয় না। অতিরিক্ত পরিচর্চাও করা লাগে না।
মাটি একেবারে শুকিয়ে গেলে পানি স্প্রে করলেই হয়। খেয়াল রাখবেন এমন গাছের গোড়ায় যেন পানি না জমে থাকে। সারাদিনে ৫/৬ ঘণ্টা রোদ পেলেই নিশ্চিন্তে বেড়ে উঠবে এসব গাছ আর সাজিয়ে তুলবে আপনার বারান্দা।
ছবি : ফারজানা আক্তার মুনিয়া
বারান্দা সাজুক পাতাবাহারে-
আপনার ঘরের বারান্দা যদি এমন হয় যে সেখানে খুব একটা রোদের প্রবেশ ঘটে না তবে বারান্দা সাজান পাতাবাহার গাছে। বিভিন্ন প্রজাতির পাতাবাহার পাবেন নার্সারিতে। এই তালিকায় রাখতে পারেন মানিপ্ল্যান্ট, কয়েনপ্ল্যান্ট, লাকিব্যাম্বু, পামগাছ, ইঞ্চিপ্ল্যান্ট, স্পাইডারপ্ল্যান্ট ইত্যাদি।
এসব গাছ সপ্তাহে এক বা দুদিন খানিকটা রোদের স্পর্শে রাখলেই চলে। তবে পাতায় পোকার আক্রমণ হচ্ছে কি না, কিংবা গাছের গোড়ায় বাড়তি পানি জমছে কি না সেদিকে খেয়াল রাখুন।
কর্মব্যস্ত জীবনের ফাঁকেই খানিকটা সময় ব্যয় করে সাজিয়ে ফেলুন ঘরের বারান্দা। অবসাদ দূর করে মন ভরে থাকবে প্রশান্তিতে।
ওডি/এনএম
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড