• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

লোহাগাড়া চুনতির সম্ভাবনাময় পর্যটনকেন্দ্র

  আরিফুল ইসলাম রিফাত

২০ জানুয়ারি ২০১৯, ১৩:০০
বন্যপ্রাণি অভয়ারণ্য
চুনতি বন্যপ্রাণি অভয়ারণ্য (ছবি : সংগৃহীত)

বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম থেকে পর্যটন সিটি কক্সবাজারমুখী চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ৭৫ কিলোমিটার পথে লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি। ১৯৮৬ সালে ঘোষিত হওয়া এখানে ৭৭৬৪ হেক্টর আয়তনের রয়েছে চুনতি বন্যপ্রাণি অভয়ারণ্য। এটি বাংলাদেশের একটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল এবং বন্যপ্রাণি অভয়ারণ্য।

অভয়ারণ্যটির আশপাশ যেন পর্যটনকেন্দ্রের অপার সম্ভাবনাময় এলাকা। অভয়ারণ্যটি চারদিকে সবুজের সমারোহ মুখরিত। পুরো অভয়ারণ্যের আশপাশ জুড়ে পাখপাখালির অবাধ বিচরণ এবং কিচিরমিচির আওয়াজে মিষ্টি সুরে মুখরিত। এ অভয়ারণ্যটি ২০১২ সালের ২০ জুন ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরলো ভিভো রিও কনফারেন্সে জাতিসংঘ ইকুয়েটর পুরস্কারে ভূষিত হয়।

এখানে যথাযথ কতৃপক্ষের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে গড়ে ওঠতে পারে একটি ইকোপার্ক এতে করে সরকারের রাজস্ব আয়ের যেমন সুযোগ রয়েছে তেমনি বিনোদন প্রেমীর খোরাক মিটবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

অভয়ারণ্যটি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হিসেবে গড়ে তোলার জন্য অভয়ারণ্য এলাকায় বনপুকুর প্রাকৃতিক গর্জন বনাঞ্চল, এশিয়া বন্যহাতির বিচরণ ক্ষেত্র, গয়ালমারা প্রাকৃতিক হৃদ, বনপুকুর ফুটট্রেইল, জাঙ্গালিয়া ফুটট্রেইল, পর্যটন টাওয়ার, গোলঘর, স্টুডেন্ট ডরমিটরি, নেচার কনজারভেশন সেন্টার, গবেষণা কেন্দ্র, ইকোকর্টেজসহ বিভিন্ন প্রতিবেশ পর্যটন বা ইকোট্যুরিজম স্থাপন করা হয়। দক্ষিণ চট্টগ্রামে এটি হতে পারে আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র ও প্রকৃতি গবেষণাগার-যা থেকে বছরপ্রতি কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের সুযোগ রয়েছে সরকারের।

সম্প্রতি, আরণ্যক ফাউন্ডেশনের গবেষণামতে এ অভয়ারণ্যে রয়েছে ২২ প্রজাতির স্থন্যপায়ী, ১৬০ প্রজাতির পাখি, ২৩ প্রজাতির উভচর এবং ৩৩ প্রজাতির সরিসৃপ। এশিয়ান হাতি ছাড়াও এ অভয়ারণ্যের উল্লেখযোগ্য প্রাণি বানর, কয়েক ধরনের বিড়াল, বন্য শুকর, হনুমান, মায়া হরিণ, সাম্বার প্রভৃতি। এছাড়াও কাঠঠোকরা, ছোট বসন্ত বৌরি, বনস্পতি, কানাকুয়া, আবাবিল, টিলাঘুঘু, বনময়না প্রভৃতি এ বনের উল্লেখযোগ্য পাখি। এছাড়া, গর্জন, রাতকান, জাম, উড়িআম, চাপালিশসহ ১০৭ প্রজাতির সুসজ্জিত বৃক্ষরাজির সমন্বয়ে গঠিত এ অভয়ারণ্য। পাহাড়ের উপরিভাগে বৃক্ষের সৌন্দর্য, উচু-নিচু পাহাড়ে সৃজিত বাগান আর পাখ পাখালীর কিচিরমিচির মিষ্ঠি সুরে মুখরিত অভয়ারণ্যটি।

পর্যবেক্ষণ টাওয়ারের মাধ্যমে সহজে অভয়ারণ্যের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যসহ বনের অন্যতম আকর্ষণ এশিয়ান হাতি ও অন্যান্য বন্যপ্রাণি ও পাখপাখালির অবাধ বিচরণ উপভোগ করা যায়। এত কিছু থাকার পরও অভয়ারণ্যটি এখনও পর্যন্ত পর্যটন কেন্দ্রের আওতায় আনা হয়নি।

ইন্জিনিয়ার আবু নাছের বাবলু বলেন, অনিন্দ্য সুন্দর এ অভয়ারণ্যের সৌন্দর্য উপভোগ করতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজের শিক্ষার্থীরা ও স্থানীয়রা পিকনিকসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

স্থানীয়রা জানান, যথাযত সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এখানে একটি ইকোপার্ক গড়ে তোলে পর্যটন কেন্দ্রের আওতায় আনা হোক এবং এর মাধ্যমে সরকারেরও রাজস্ব আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড