• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩২ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

পাহাড়পুরে একদিন

  মো. সোয়াদুজ্জামান সোয়াদ

১৮ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:০০
ভ্রমণ
এগ্রিকালচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে শিক্ষার্থীদের ভ্রমণ (ছবি : সংগৃহীত)

স্নাতক পর্যায়ে অধ্যয়নরত প্রতিটি শিক্ষার্থীর জীবনে সুন্দর মূহুর্ত গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে শিক্ষা সফর। মনের যত জড়া, ক্লান্তি, হতাশা সব ঝেড়ে ফেলে আবারো নতুনভাবে, নতুন আঙ্গিকে উৎফুল্ল মনে নিজেকে মেলে ধরার জন্যই এ আয়োজন। উদ্দেশ্য জ্ঞান আহরণ, ঐতিহাসিক কিংবা অপরূপ সৌন্দর্যে ভরপুর কিছু স্থানের সাথে পরিচিতি এবং সেই স্থানের আশেপাশের মানুষের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য আর ধ্যান-ধারনা পর্যবেক্ষণ।

উত্তরবঙ্গের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ হাজী মোহাম্মাদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) এগ্রিকালচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ইতিহাস থেকে জানা যায় সবচেয়ে জুনিয়র ব্যাচদের তাদের ইমেডিয়েট সিনিয়ররা প্রতি বছরই শিক্ষা সফর নিয়ে গেছে। এবারো তার ব্যতিক্রম হয় নি। দশম ব্যাচকে নিয়ে শিক্ষা সফরে বের হয় নবম ব্যাচ।

পৃথিবীর সব স্থানেই শিক্ষা সফরের কথা উঠলেই ভেন্যু নির্ধারণ নিয়ে শুরু হয় জল্পনা কল্পনা। বিভাগেও এই বাছাই চলে দীর্ঘ দুই মাস। বিভাগের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে ভেন্যু হিসেবে নির্ধারণ করা হয় বগুড়ার মহাস্থানগড়। পরে ভেন্যু পরিবর্তন করে ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার নির্ধারণ করা হয়।

শিক্ষা সফরে যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর শিক্ষার্থীরা সকাল ৯ টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস স্টপেজে এসে উপস্থিত হন। ফুড প্রসেস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মাদ আব্দুল মোমিন শেখ গাড়িতে ওঠার পরেই আমাদের যাত্রা শুরু। দিনাজপুর শহরে প্রবেশ পথেই এগ্রিকালচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান জনাব ড. মোহাম্মাদ আব্দুল কামাল স্যার বাসে উঠেন এবং দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য দিয়ে নেমে যান। আর তারপরই শুরু বিরামহীন যাত্রা।

দীর্ঘ সাড়ে তিন ৩ ঘণ্টায় গান বাজনার তালে ফুলবাড়ি, বিরামপুর, হিলি, জয়পুরহাটের বুক চিরে দুপুর ১ টায় শিক্ষার্থীদের বাস পৌঁছে ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারে। আব্দুল মোমিন শেখ স্যারের নির্দেশনায় দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে ঘুরতে বের হয় শিক্ষার্থীরা। এক দল যায় মিউজিয়ামের দিকে আর অন্য দল পাহাড়পুর মূল ফটক দিয়ে ভিতরে। ঘুরে ঘুরে সৌন্দর্য উপভোগ এর সাথে চলতে থাকে ক্যামেরার শাটার।

এরপর মেয়েদের বালিশ খেলা এবং ছেলেদের বেলুন ফাঁটানোর খেলার ব্যবস্থা করেন। খেলা শেষে বিকেল ৪টায় শুরু হয় আহার পর্ব। এ সময় দশম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের আপ্যায়ন করে খাওয়ান নবম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।

এবার বাড়ি ফেরার পালা। ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে বাস রওনা দেয় সন্ধ্যা ছয়টায়। বাসে উঠেই শুরু হয় র‍্যাফেল ড্র। এরপর নবম ব্যাচ বনাম দশম ব্যাচের গানের কলির প্রতিযোগিতা শুরু হয়। রাত সাড়ে ৯ টায় বাস ক্যাম্পাসে পৌঁছায়। শিক্ষকদের সহযোগিতা এবং আন্তরিকতায় শিক্ষার্থীরা নিরাপদে নিজ নিজ মেস এবং হলে ফিরে যান।

লেখক : শিক্ষার্থী, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড