অধিকার ডেস্ক
সোরিয়াসিস ত্বকের একটি প্রদাহজনিত রোগ। অনেক সময় বংশের কারও থাকলে ও এই সমস্যা হয়। এটি বেশ জটিল একটি রোগ। নারী ও পুরুষের এ রোগে আক্তান্ত হতে পারে। তেত্রিশোর্ধ্বরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। বংশের কারও থাকলে হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
সোরিয়াসিস হলে যা করবেন, যা করবেন না-
গ্রিক দার্শনিক সেলসাস খ্রিস্টিয় দ্বিতীয় শতকে প্রথম এই রোগের বর্ণনা দেন। এর আগে সোরিয়াসিস ও কুষ্ঠরোগকে একই রোগ বলে ধারণা করা হতো। শুধুমাত্র ত্বকে হয় তা নয় শরীরের অন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গেও হয়ে থাকে।
* মানসিক অবসাদ, টেনশন, মানসিক চাপে সোরিয়াসিস বাড়তে পারে। ফলে রোগের জন্য বেশি দুশ্চিন্তা করার দরকার নেই। তাতে রোগ আরও জটিল আকার নিতে পারে।
* মদ্যপান, ধূমপানের অভ্যাস এই রোগ বাড়িয়ে দেয়। এগুলো থেকে দূরে থাকা দরকার।
* গোসলের পরে ত্বক কিছুটা নরম থাকে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ময়েশ্চারাইজার, নারকেল তেল ইত্যাদি চামড়ার ঘায়ের উপরে লাগালে উপকার পাবেন।
* রোগ কিছুটা কমে যাওয়ার পরেও নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা দরকার। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দিবেন না।
* কম ক্যালরিযুক্ত খাবার, কম তেল-ঘি-ভাজাভুজি খেতে হয়। ঘন ডালের পরিবর্তে পাতলা ডাল খেতে হবে। ভুলেও ফ্রাইড রাইস, পরোটা, লুচি, পুরি খাবেন না।
* সিদ্ধ ভাত, রুটি, পাঁউরুটি ও তাজা ফল খান।
শুকিয়ে যাওয়া চামড়ার বিভিন্ন জায়গায় মলিন রুপোলি আঁশযুক্ত ছোপ দেখা যায় যা উঠে যাওয়ার পর লালচে আভা বা সামান্য রক্তক্ষরণ হতে পারে। সোরিয়াসিস রোগীদের এ কোষ ৪-৫ দিনে উপরে উঠে আসে। ফলে কোষ পরিপূর্ণতা লাভ করে না এবং সিলভারি স্কেল তৈরি করে। সোরিয়াসিসের ক্ষতস্থানগুলো শুকনো, গোলাকৃতি বা এবড়োখেবড়ো হয়, ক্ষতস্থানে চুলকানি বা জ্বালাপোড়াও থাকতে পারে। তবে রোগীর ত্বক থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায় না। নখ দিয়ে চুলকালে ওই স্থান থেকে রক্তক্ষরণ হয় এবং সোরিয়াসিস বেড়ে যায়। এ রোগীদের কোথাও কেটে গেলে ওই স্থানে নতুন করে সোরিয়াসিস হতে পারে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড