অধিকার ডেস্ক ১৮ নভেম্বর ২০১৮, ০৯:৪৩
প্রতিদিনের শহুরে জীবনে আমরা নিজেদের সাথে বন্দি করে ফেলছি শিশুদেরকেও। ছোট বয়স থেকেই শহুরে জীবনে অভ্যস্ত হয়ে যায় শিশুরা। বাইরের প্রকৃতির সাথে তাদের সাহচর্য থাকে না বললেই হয়। বাসায় চার দেয়ালের মাঝে বন্দি শিশুদের বিনোদনের প্রধান উপকরণ হয়ে ওঠে স্মার্টফোন, কম্পিউটার, ট্যাবলেট, ল্যাপটপসহ নানা ধরনের ইলেকট্রনিকস সামগ্রী। আর এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে শিশুদের চোখ এবং দেহে।
দূরের জিনিস দেখতে না পারার সমস্যা এখন প্রকটভাবে দেখা দিচ্ছে এই সকল ডিভাইস ব্যবহারের কারণে। এই সমস্যাটিকে বিজ্ঞানের ভাষায় 'মায়োপিয়া' বলা হয়।
চক্ষু গবেষণায় দেখা গেছে, এশিয়ার ১৮ বছরের কম বয়সী তরুণদের ৯০ শতাংশই চোখের সমস্যায় ভুগছে। আর এই সমস্যাটি ৫-২৫ বছর বয়সীদের মধ্যে প্রায় চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ শতাংশ হয়ে থাকে। গবেষণা থেকে জানা যায়, শিশুদের ক্ষেত্রে এই রোগটি মূলত ঘরে বেশি সময় কাটানো থেকে হয়ে থাকে। চার দেয়ালের ভেতর থাকে বলে তারা দৃষ্টি প্রসারিত করতে পারে না আর এটাই মূলত এই সমস্যা হওয়ার জন্য দায়ী।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সমস্যাগুলো পূর্ব এশিয়ার শিশুদের মাঝে বেশি দেখা দেয়। কারণ হিসেবে জানানো হয় ছোটবেলা থেকেই তারা অতিরিক্ত পড়ার চাপে থাকে, তাদের শৈশব আটকে যায় সকল ধরনের ইলেকট্রনিকসের মাঝেই। অভিভাবকরা সন্তানদের প্রতিযোগিতার দৌড়ে প্রথম রাখতে বেশিরভাগ সময় পড়ায় ব্যস্ত রাখতে চান। দিনের বেশি সময় পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকে বলে তারা বাইরে যেতে পারে না। শহরের শিশুদের খেলার জায়গার সংকট থাকায় ঘরের প্রযুক্তি নির্ভর খেলায় তারা অভ্যস্ত হতে বাধ্য হয়। যার ফলে প্রাকৃতিক আলোর অভাবে শিশুদের চোখে মায়োপিয়া দেখা দিতে পারে।
তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো, দিনে অন্তত দুই ঘণ্টা বাইরের আলোতে থাকতে দিতে হবে শিশুদের। প্রকৃতির সবুজের সাথে মিশতে দিতে হবে। খেলাধুলা, হাঁটাহাঁটি যাই হোক না কেন শিশুদের ঘরের বাইরে রাখতে হবে কিছুটা সময়। ছোটবেলা থেকে এই অভ্যাস করালে এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তবে শুধু এটিই নয়, একই সাথে পুষ্টিকর খাবার, মাছের তেল, কডলিভার, ওমেগা ফ্যাটি এসিড, ভিটামিন 'এ', ভিটামিন 'সি', ভিটামিন 'ই' সহ শাকসবজিও খেতে হবে নিয়মিত।
তাই শিশু অথবা তরুণদের চোখকে মায়োপিয়া থেকে রক্ষা করতে স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশাপাশি বাইরের আলো চোখে লাগাতে ভুলবেন না।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড