আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া প্রতিনিধি
বৃক্ষরোপণ খাতে ৩২ হাজার বিদেশি কর্মী নিয়োগ দিচ্ছে মালয়েশিয়া। দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে বাগান খাতে শ্রমিকের ঘাটতি দূরীকরণে এসব কর্মীদের নিয়োগে মন্ত্রীসভা সম্মত হয়েছে। এমনকি জরুরি প্রয়োজনে উৎস দেশ থেকে বিদেশি কর্মী নিয়োগের প্রস্তুতিও চলছে।
গত শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দেশটির মানব সম্পদমন্ত্রী দাতুক সেরী এম সারভানান বিবৃতির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় (এমওএইচআর) স্ট্যান্ডিং অর্ডার অব অপারেশন (এসওপি) খসড়া করেছে এবং কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (কেএলআইএ) কাছে একটি বিদেশি শ্রমিক কোয়ারেন্টিন সেন্টার চিহ্নিত করেছে যেখানে এক সঙ্গে ২ হাজার কর্মচারী থাকতে পারবে।
সারাভানান বিবৃতিতে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে (অর্থনীতি) দাতুক সেরি মুস্তাপা মোহাম্মদের ১২ সেপ্টেম্বরের বিবৃতিতে তেল পামসহ বাগান খাতে জনবলের ঘাটতি রয়েছে। মূলত তা দূরীকরণে মানব সম্পদ মন্ত্রণালয় একমত পোষণ করেছে। রোপণ খাতে শ্রমিকের অভাব জাতীয় আয়ের ক্ষতির ঝুঁকি তৈরি করেছে যা বছরে ২০ বিলিয়ন রিঙ্গিত, বিশেষ করে তেল পাম খাতে।
এক্ষেত্রে কেএসএম স্থানীয় কর্মীদের দ্বারা শূন্য পদ পূরণে উত্সাহিত করার পরও কোনো সাড়া মিলেনি। ফলে বিদেশি শ্রম দ্বারা শূন্যস্থান পূরণ করা প্রয়োজন বলে ব্যাখ্যা দিয়েছেন এই মন্ত্রী।
গেল ১২ সেপ্টেম্বর মুস্তাপা তার রিপোর্টে বলেছেন, তেল পাম শিল্পকে বড় সমস্যার মুখোমুখি থেকে উত্তরণে তিন সপ্তাহের মধ্যে এ বিদেশি শ্রমিকের অভাবের সমস্যা সমাধান করা হবে।
আরও পড়ুন : ক্ষমতার মসনদে ফের ট্রুডো
এ দিকে পাম বাগানের শ্রমিক সংকট দূরীকরণে বিদেশি কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে দেশটির চীনা চেম্বার অব কমার্স। চীনা চেম্বার অব কমার্স এরই মধ্যে বিবৃতি দিয়ে বলেছে, গুরুত্বপূর্ণ এই পদক্ষেপ পাম অয়েল শিল্পসহ বৃক্ষরোপণ খাতকে স্বস্তি দেবে।
কমার্সের সভাপতি দাতুক লো কিয়ান চুয়ান মনে করেন, সরকার প্রয়োজনীয় এসওপি সাপেক্ষে উৎপাদন ও নির্মাণ খাতে শ্রমিকের ঘাটতি দূর করতে সহায়তা এবং অনুরূপ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের বিষয়ে বিবেচনা করতে পারে।
এর আগে কমার্সের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মানবসম্পদ মন্ত্রীকে শ্রমিক সংকটের কথা জানানো হয়েছিল। বিদেশি জনশক্তির ঘাটতি অব্যাহত থাকলে শিল্পগুলো চাহিদায় শক্তিশালী পুনরুজ্জীবনের যাত্রা থেকে বঞ্চিত হবে।
বিদেশি কর্মীদের আবেদন প্রয়োগ ও অনুমোদনের জন্য একটি স্বচ্ছ সিস্টেমের অধীনে নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি সামগ্রিক পদ্ধতির প্রয়োজন।
কমার্স বলছে, শিল্প এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একত্রে কাজ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যাতে আইন অনুযায়ী নির্ধারিত ন্যূনতম মান এবং আবাসন এবং সুবিধার পাশাপাশি ন্যায়সঙ্গত আচরণের ন্যূনতম শ্রম অনুশীলনের উপর ভিত্তি করে একটি টেকসই অভিবাসী শ্রমিক নিয়োগ ব্যবস্থা তৈরি করা যায়।
আরও পড়ুন : অর্ধেক ভোট পেয়েই নির্বাচনে পুতিনের দলের জয়
চীনা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি দাতুক লো কিয়ান চুয়ান বলেন, আমরা মার্কিন সরকার কর্তৃক দেশটিকে সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে নামিয়ে আনার পর জোরপূর্বক শ্রম দূর করার পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারের প্রতিশ্রুতিকে স্বাগত জানিয়েছি। রেটিং উন্নত করতে ব্যর্থ হলে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি এবং মালয়েশিয়ার কোম্পানিগুলোর সুনাম হুমকির মুখে পড়বে।
ওডি/কেএইচআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড