দুই বছরে চতুর্থবার নির্বাচন দেখছে ইসরায়েল

গত দুই বছরের মধ্যে চতুর্থবার ভোট হতে চলেছে মধ্যপ্রাচ্যের ইহুদিবাদী দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েলে। মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) পার্লামেন্টে সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়, আগামী মার্চ মাসে দেশটিতে ফের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবার সমস্যার মূলে রয়েছে বাজেট। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাজেট পেশ করতে পারেননি। ফলে পার্লামেন্ট নতুন ভোটের সিদ্ধান্ত নেয়।

সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২১ সালের ২৩ মার্চ ভোট হবে ইসরায়েলে। এখন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে যে সরকার রয়েছে ইসরায়েলে তার প্রধান শরিক ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট পার্টি। এই দলের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দল লিকুদের বরাবরই প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে। খবর ডয়চে ভেলের

গত বছর এপ্রিলে বহু বিতর্কের পর এই দুইটি দল এক সঙ্গে জোট সরকার গঠন করেছিল। ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট পার্টির নেতা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেনি গ্যানটজ। ইসরায়েলের রাজনীতিতে তিনি নেতানিয়াহুর কড়া সমালোচক বলেই পরিচিত। তবু তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লক্ষ্যে জোটে অংশ নিয়েছিলেন। ঠিক হয়েছিল, ২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাবেন তিনি।

যদিও এবারের বাজেট অধিবেশনে সেই সুর কেটে যায়। গ্যানটজ চেয়েছিলেন ২০২০-২১ সালের বাজেট পেশ করুন নেতানিয়াহু। কিন্তু নেতানিয়াহু কেবলমাত্র ২০২০ সালের বাজেট পেশ করতে রাজি ছিলেন। তা নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক।

আরও পড়ুন : হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সৌদির শক্তিশালী ড্রোন ধ্বংস (ভিডিয়ো)

শেষ পর্যন্ত দুইটি দলই পার্লামেন্টে একটি বিল নিয়ে আসে। যা তাদের বাজেট পেশ করার জন্য আরও সময় দেবে। কিন্তু পার্লামেন্ট তা খারিজ করে দেয়। ফলে ফের নির্বাচনের পরিস্থিতি তৈরি হয়।

মার্চ মাসে নির্বাচন হলে তা নেতানিয়াহুর পক্ষে যথেষ্ট চিন্তার। এখনো তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা চলছে। ফেব্রুয়ারিতে বিচার শুরু হবে।

আরও পড়ুন : মোদীর কাছে কৃষকদের রক্তে লেখা চিঠি

অন্যদিকে নেতানিয়াহুর সবচেয়ে বড় সহায় ডোনাল্ড ট্রাম্প আর প্রেসিডেন্ট থাকবেন না। তার মধ্যেই করোনাকালে অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। স্বাস্থ্যের পরিকাঠামোর গলদ সামনে চলে এসেছে। সব মিলিয়ে নেতানিয়াহুর অবস্থা খুব ভালো নয়।