• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

পারমাণবিক কেন্দ্র থাকায় টাইম বোমায় পরিণত আর্মেনিয়া

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৪ ডিসেম্বর ২০২০, ১৫:৫২
পারমাণবিক কেন্দ্র থাকায় টাইম বোমায় পরিণত আর্মেনিয়া
আর্মেনিয়ার পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (ছবি : ইউরো নিউজ)

বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে আজারবাইজানের সঙ্গে যুদ্ধে চরমভাবে হেরেছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র আর্মেনিয়া। যদিও দেশটির জনগণ কোনোভাবেই এটা মেনে নিতে পারছে না। কেউ কেউ তো আবার আজারবাইজানের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারেরও দাবি তুলেছে। খবর ডেইলি সাবাহর।

আর্মেনিয়ায় অবশ্য পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। তবে সেগুলো সোভিয়েত যুগের নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর। এই টাইম বোমা শুধু আর্মেনিয়াই নয়, তাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্যও হুমকিস্বরূপ।

তুরস্কের সীমান্ত থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মেটসামোর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র। এটি বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মধ্যে একটি। ১৯৭৬ সালে দুটি ভিভিইআর-৪৪০ মডেলের ভি২৭৯ নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর ব্যবহার করা হয় বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে। এখনো ব্যবহার হচ্ছে এমন মডেলের রিঅ্যাক্টরের মধ্যে এটি সবচেয়ে পুরনো এবং কম নির্ভরযোগ্য হিসেবে পরিচিত।

এছাড়াও ভূমিকম্প প্রতিরোধে যথেষ্ট সক্ষমতাও নেই বিদ্যুৎকেন্দ্রটির। ওই অঞ্চলটিতে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে। যেখানে ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র সর্বোচ্চ ৭ মাত্রার ভূমিকম্প সহনশীল।

আরও পড়ুন : যুক্তরাষ্ট্রকে বিনাশর্তে পরমাণু চুক্তিতে ফিরতে বলছে ইরান

এসব কারণে ১৯৮৮ সালে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ করে দেয় সোভিয়েত কর্তৃপক্ষ। তবে জ্বালানি সংকটের কারণে ১৯৯৫ সালে এটি আবারও চালু করে আর্মেনিয়া। এখন আর্মেনিয়ার জ্বালানি চাহিদার প্রায় ৪০ শতাংশ পূরণ করে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। তাই নিরাপত্তা ঝুঁকি প্রায়ই এড়িয়ে যাওয়া হয়।

সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সোভিয়েত যুগের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বন্ধে তোড়জোড় শুরু করে। বিশেষ করে বুলগেরিয়া ও স্লোভাকিয়ার বিদ্যুৎকেন্দ্র এই তালিকায় ছিল। কিন্তু এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত মেটসামোরের ক্ষেত্রেও একই চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তা ব্যর্থ হয়।

আরও পড়ুন : ইরানে ৩০ শতাংশ গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল মওকুফ!

এমনকি এই বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের বিনিময়ে দেশটির জ্বালানি খাতের চাহিদা পূরণে ২০০ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে সাহায্য করার আগ্রহ প্রকাশ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তবে আর্মেনিয়া সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। পরে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নিরাপত্তার মান বাড়াতে অর্থায়ন করে সংস্থাটি।

এ দিকে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) বলছে, গত ২০ বছরে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নিরাপত্তা বেশ বাড়ানো হয়েছে। তাদের মতে, ভিভিইআর-৪৪০ রিঅ্যাক্টরের কাঠামো কুখ্যাত চেরনোবিল পারমাণবিক চুল্লির মতো নয়। তারপরও নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই থাকছে। কেননা অনেক বিশেষজ্ঞই এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক পরমাণু ফ্যাসিলিটি মনে করে।

আরও পড়ুন : ইসরায়েলই ফখরিজাদেহকে হত্যা করেছে, পশ্চিমারা চুপ কেন?

যদিও ২০১৬ সালে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ করে দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু সংস্থা রসাটমের সঙ্গে এক চুক্তির পর সেটি পিছিয়ে ২০২৬ সাল করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড