আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বিরোধপূর্ণ নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যকার যুদ্ধে তৃতীয় দিনে হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে। রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) শুরু হওয়া এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত উভয় পক্ষের অন্তত শতাধিক সেনা নিহত হয়েছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইরান ও ইউরোপীয় শক্তিগুলো লড়াই থামিয়ে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ১৯৮০-এর দশকের শেষদিকে কারাবাখ অঞ্চলে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মুহূর্তে
সংঘর্ষ চূড়ান্ত আকার ধারণ করে। ১৯৯৪ সালে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত এ সংঘর্ষে ৩০ হাজার মানুষ নিহত হয়।
আরও পড়ুন : আর্মেনিয়াকে ধ্বংসে আজারবাইজানের হয়ে সেনা পাঠাল তুরস্ক
কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজানের ভেতরে হলেও ইয়েরেভান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করছে আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। মূলত এ নিয়েই সংঘাতের সূত্রপাত।
নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে দীর্ঘ বিবাদের জেরে ২৭ সেপ্টেম্বর রবিবার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে দুই দেশ। আজারবাইজানের ভূখণ্ড হলেও আর্মেনিয়া সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ করে আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। নতুন করে সংঘাতের জন্য আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান একে অপরকে দায়ী করেছে।
নিহতের সংখ্যা বেড়ে শতাধিক
বেসামরিকসহ সংঘাতে লিপ্ত পক্ষগুলোর নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০০ জন ছাড়িয়েছে। বিচ্ছিন্নতাবাদী নিয়ন্ত্রিত কারাবাখের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধে তাদের আরও ২৭ জন সেনা নিহত হয়েছে। এর আগে ২৮ জন নিহতের কথা জানানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন : আজারবাইজানের ভূখণ্ড ছাড়তে আর্মেনিয়াকে হুঁশিয়ারি এরদোগানের
এছাড়া আজারবাইজান ও আর্মেনীয় পক্ষের ৯ বেসামরিক নিহত হয়েছেন। এদের আজারবাইজানের ৭ জন ও আর্মেনিয়ার ২ জন।
আজারবাইজানের কোনো সেনা নিহতের কথা জানা যায়নি। তবে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রকাশ করা একটি ভিডিওতে জ্বলন্ত সাঁজোয়া যান থেকে দগ্ধ ও রক্তাক্ত সেনাদের নামতে দেখা গেছে। বলা হয়েছে, এরা আজারবাইজানি সেনা।
বিচ্ছিন্নতাবাদীরা জানিয়েছে, তাদের আহতের সংখ্যা শতাধিক এবং আর্মেনীয় কর্তৃপক্ষ দুই শতাধিক আহতের কথা কথা জানিয়েছে।
ইউরোপীয় আদালতে আর্মেনিয়া
আজারবাইজানকে বেসামরিক নাগরিকদের হামলা ও বেসামরিক স্থাপনায় সামরিক অভিযান বন্ধে নির্দেশনা জারির জন্য ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতের শরণাপন্ন হয়েছে আর্মেনিয়া। সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) আদালতের পক্ষে এই আহ্বানের বিষয়টি জানানো হয়।
আরও পড়ুন : ইরানে আঘাত হানল আর্মেনিয়া-আজারবাইজানের বিধ্বংসী মর্টার
আদালত বলছেন, তারা অনুরোধটি যাচাই করছে। আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান উভয়পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করার অভিযোগ করে আসছে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড