• বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৩ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ইরানে আঘাত হানল আর্মেনিয়া-আজারবাইজানের বিধ্বংসী মর্টার

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৮:৩১
ইরানে আঘাত হানল আর্মেনিয়া-আজারবাইজানের বিধ্বংসী মর্টার
মর্টার বিস্ফোরণ (ছবি : প্রতীকী)

ইরানের উত্তরের দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া। বিবাদপূর্ণ নাগোরনা-কারাবাখ অঞ্চলকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী এই দুই দেশ আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে।

এক দেশের সামরিক বাহিনী অপর দেশের অবস্থান লক্ষ্য করে গুলি ও মর্টার নিক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। এমন অবস্থায় তিনটি বিধ্বংসী মর্টার আঘাত হেনেছে ইরানের ভূখণ্ডে।

সীমান্তবর্তী ‘খোদা আফারিন’ জেলায় এসব মর্টার এসে পড়েছে বলে সেখানকার গভর্নর আলী আমিরি নিশ্চিত করেছেন। যদিও এসব মর্টার আজারবাইজান থেকে আঘাত হেনেছে নাকি আর্মেনিয়া থেকে তা এখন পর্যন্ত পরিষ্কার নয়।

গভর্নরের বরাতে ইরান প্রেস.কম জানিয়েছে, তিনটি মর্টারের মধ্যে দু’টি কৃষিক্ষেত্রে এসে পড়েছে এবং বিস্ফোরিত হয়েছে। সৌভাগ্যের বিষয় এতে কেউ হতাহত হয়নি এবং কোনো ধরণের আর্থিক ক্ষতিও হয়নি।

অপর মর্টারটি পড়েছে ওই জেলারই উঁচু তৃণভূমিতে। তৃতীয় মর্টারটি বিস্ফোরিত হয়নি। কারাবাখ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই দু’দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন : ধর্মই কি মূল কারণ আর্মেনিয়া-আজারবাইজান যুদ্ধের নেপথ্যে?

আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে নতুন করে সীমান্ত সংঘাত শুরু হওয়ার পরপরই ওই দু'দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে টেলিফোনে কথা বলেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাভেদ জারিফ। তিনি আর্মেনিয়া ও আজারবাইজনকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করে আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় দু’দেশকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন।

১৯৮০’র দশকের শেষদিকে কারাবাখ অঞ্চলে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মুহূর্তে সংঘর্ষ চূড়ান্ত আকার ধারণ করে।

১৯৯৪ সালে দু’পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত এ সংঘর্ষে ৩০ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজানের ভেতরে হলেও আর্মেনিয়া সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করছে জাতিগত আর্মেনীয়রা।

আরও পড়ুন : আর্মেনিয়ার পাহাড় দখল করল আজারবাইজান, সীমান্তে উত্তেজনা

এ দিকে টানা দ্বিতীয় দিনের সংঘর্ষে দু'দেশের লড়াইয়ে অন্তত ৬৭ জনের প্রাণহানি ও আরও শতাধিক আহত হয়েছে। ২০১৬ সালের পর এবারই প্রথম এই অঞ্চলে বড় ধরনের সংঘাতের জড়িয়ে পড়েছে আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান।

ওই অঞ্চলে দুই দেশের সামরিক বাহিনী ভারী অস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ করেছে উভয় পক্ষই। অঞ্চলটির দখল ফিরে পেতে প্রয়োজনে সব ধরনের সামরিক উপায় অবলম্বনের হুমকি দীর্ঘদিন ধরে দিয়ে আসছিল দেশটি।

আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট আংশিক মার্শাল ল জারি করে সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ ঘটানোর নির্দেশ দিয়েছেন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, লড়াই শুরু হওয়ার পর ছয় বেসামরিক আজারি নিহত ও আরও ১৯ জন আহত হয়েছেন।

আরও পড়ুন : ভয়ঙ্কর ক্ষেপণাস্ত্র দেখিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে ধ্বংসের হুঁশিয়ারি ইরানের

আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বরাত দিয়ে রুশ সংবাদসংস্থা ইন্টার ফ্যাক্স বলছে, সংঘাতে ২০০ আর্মেনীয় আহত হয়েছেন। অপর দিকে নাগোরনো-কারাবাখ বলছে, তাদের আরও ১৫ জনের বেশি সৈন্য নিহত হয়েছেন। এর আগে, রোববার আজারবাইজানের বিমান এবং কামানের গোলা নিক্ষেপে ১৬ জন সৈন্য নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন বলে জানায় নাগোরনো-কারাবাখ কর্তৃপক্ষ।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড