• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

রোহিঙ্গাদের দেখামাত্রই গুলির নির্দেশ মিয়ানমার সেনাদের!

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৮:২৮
রোহিঙ্গাদের দেখামাত্রই গুলির নির্দেশ মিয়ানমার সেনাদের!
সীমান্তে টহল দিচ্ছেন মিয়ানমারের সেনা সদস্যরা (ছবি : রয়টার্স)

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর অভিযানের সময় রোহিঙ্গাসহ যে কোনো লোককে দেখামাত্রই গুলির নির্দেশ ছিল সেনা সদস্যদের প্রতি। এক্ষেত্রে শিশু থেকে বৃদ্ধ, কেউ যেন বাদ না যাওয়ার নির্দেশনা ছিল বলে দাবি সেনা কর্মকর্তাদের।

রাখাইনে রোহিঙ্গা গণহত্যা জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) মামলায় মিয়ানমারের দুই সেনা সদস্য এ স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নির্দেশেই রাখাইন রাজ্যের বেশ কিছু রোহিঙ্গা গ্রামে তারা হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের দ্য নিউইয়র্ক টাইমস এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, মিয়ানমারের সেনা সদস্য জো নাইং তুন বলেন, আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশনা ছিল শিশু বা প্রাপ্তবয়স্ক যাকেই দেখবে মেরে ফেলবে।

এ বিষয়ে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করলেও নিরপেক্ষ কোনো সূত্র থেকে এ স্বীকারোক্তির সত্যতা নিশ্চিত হতে পারেনি। গত মাসে ওই দুই সেনা সদস্য মিয়ানমার থেকে পালিয়ে যান। এরপর গত সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) তাদের নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে নেওয়া হয়। এ শহরেই জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত অবস্থিত। ওই দুই সেনা সদস্যকে গ্রেপ্তার দেখানো না হলেও তাদের এ আদালতের হেফাজতে রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন : ইরাকে মার্কিন সামরিক বহরে ভয়াবহ হামলা

ধারণা করা হচ্ছে, মামলায় তাদের সাক্ষী করা হবে। আবার অপরাধী হিসেবে তাদের বিচারও করা হতে পারে। মিয়ানমারের সাবেক ওই দুই সেনা সদস্য স্বীকার করেছেন, রোহিঙ্গা গণহত্যা, হত্যার পর গণকবর দেওয়া, রোহিঙ্গা গ্রামগুলোয় ধ্বংসযজ্ঞ চালানো এবং ধর্ষণের যেসব অভিযোগ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উঠেছে তার সবই সত্য।

আরও পড়ুন : ভারতীয় সেনাদের দিকে পাথর ছুড়ে কাশ্মীরি যোদ্ধাদের রক্ষা করল জনগণ

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিও উইন তুন ও জো নাইং তুন নামে দুই সেনা সদস্য এ স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। স্বীকারোক্তির ভিডিও চিত্রে মিও উইন তুন বলেছেন, ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে রাখাইনের একটি রোহিঙ্গা গ্রামে আমি অভিযানে গিয়েছিলেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশ ছিল যা দেখবে, যা শুনবে সবকিছুতেই গুলি কর।

আরও পড়ুন : ভয়ঙ্কর নৌ মহড়া চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিল চীন

মিও উইন তুন বলেছেন, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের এ নির্দেশ আমরা পালন করেছিলেন। ওই সময় আমি নিজেও ৩০ জন রোহিঙ্গা মুসলিম হত্যায় অংশ নিয়েছিলাম। হত্যার পর সামরিক ঘাঁটির কাছাকাছি এক গণকবরে তাদের মাটি চাপা দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন : মধ্যরাতে চীন-ভারতীয় সেনাদের ব্যাপক গোলাগুলি, সীমান্তে উত্তেজনা

ঠিক একই সময়ে পাশের আরেকটি উপ-শহরে জো নাইং তুন নামে আরেক সেনা সদস্য একই কাজ করছিলেন। তিনিও পেয়েছিলেন একই ধরনের নির্দেশনা। জো নাইং তুন জানান, তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশনা ছিল শিশু বা প্রাপ্তবয়স্ক যাকেই দেখবে, মেরে ফেলবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড