নিশীতা মিতু
‘আমি যদি তাকে নিজের চোখে না দেখতাম তাহলে হয়ত বিশ্বাসই করতাম না যে পৃথিবীতে এমন একটি হাতি এখনো বেঁচে আছে।’- এই মন্তব্য ফটোগ্রাফার উইল বুরার্ড লুকাসের। যেই হাতিটিকে দেখে তিনি এমন কথা বলেছেন তাকে দেখলে হয়ত আপনিও একই কথা বলবেন।
তার বিশাল দাঁত দুটো ছুঁয়ে যায় মাটি
হাতি বললেই আমাদের মাথায় আসে অতিকায় এক প্রাণির কথা। যার বিশাল দেহের সামনে আমরা তুচ্ছ। কিন্তু কেনিয়ায় খোঁজ মেলা এই নারী হাতিটি যেন ভিন্ন। বিরাট তার দেহের আকৃতি, তার লম্বা দাঁত ছুঁয়ে যায় মাটি।
দেখতে শীর্ণকায় হলেও বেশ সচল 'বিগ টাস্কার'
‘বিগ টাস্কার’ নামে পরিচিত এই হাতি বর্তমান পৃথিবীতে বিরল। ধারণা করা হচ্ছে আফ্রিকায় অসাধারণ দৃষ্টিশক্তির এই প্রাণীর বর্তমান সংখ্যা ৩০ এরও কম। এই হাতিটি 'এফ-এমইউ১' (F_MU1) নামেও পরিচিত।
নিজের উদ্যমে ছুটে চলছে সে সঙ্গীর সাথে
সম্প্রতি বন্যপ্রাণিদের জীবনযাত্রা নিয়ে টাসাভো ট্রাস্টের সঙ্গে পার্টনারশিপে কাজ করার উদ্দেশে কেনিয়ায় যান ব্রিটিশ আলোকচিত্রী উইল বুরার্ড লুকাস। এই বিরল হাতিটির কিছু দারুণ ছবি তুলেছেন তিনি।
পানি নিয়ে নদী তীরে খেলছে 'বিগ টাস্কার'
৩৫ বছর বয়সী লুকাস নিজের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, ‘যদি হাতিদের কোনো রাণী থাকতো, তবে অবশ্যই সেটা হতো এই হাতি। এটি দেখতে শীর্ণকায় হলেও তার দেহ জুড়ে ভর্তি লাবণ্য। তার দাঁতগুলো এতই বড় যে সামনের মাটি ছুঁয়ে যায় সহজেই।’
সঙ্গীদের সঙ্গে পানি খাওয়ার মুহূর্ত
এবারই প্রথম নয়, বিলুপ্তপ্রায় বন্য প্রাণীর ছবি তোলার মাধ্যমে এর আগেও শিরোনামে এসেছে লুকাস। বিরল প্রজাতির এক কালো চিতাবাঘের ছবি তুলেছিলেন তিনি। তার মতে, বিশাল দাঁতওয়ালা এই হাতি, কালো চিতাবাগের চাইতেও বিরল।
'টাসাভো ট্রাস্ট' এর সঙ্গে পার্টনারশিপে ছবিগুলো তুলেছেন- উইল বুরার্ড লুকাস।
ওডি/এনএম
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড