ফিচার ডেস্ক
মানুষ বেঁচে থাকে তার কর্মে। যেসব নেতারা পৃথিবীর নিয়ম কানুন বদলাতে লড়ে গেছেন, তারা মৃত্যুবরণ করলেও অমর হয়ে আছেন নিজের কাজের মাধ্যমে। আবার যারা শোষক শ্রেণির নেতা ছিলেন তাদেরও মানুষ মনে রেখেছে ঘৃণা ভরে।
নিজেদের ভাবমূর্তির পাশাপাশি চেহারা নিয়েও বেশ সচেতন কমিউনিস্ট বা সাম্যবাদী নেতারা। মৃত্যুর পর নিজেদের চেহারা বিকৃত হবে এমনটা চাননি তাদের অনেকে। আর তাই এমন ব্যবস্থা করতে বলে গেছেন, যেন মৃত্যুর পরও নিজেদের চেহারা অবিকৃত থাকে।
লেলিন
সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন লেলিন। অক্টোবর বিপ্লবের নেতৃত্বেও ছিলেন তিনি। অনেক ইতিহাসবিদের মতে, লেলিন কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী। ১৯২৪ সালে মারা যান তিনি। মৃত্যুর পর তার মগজ বের করে দেহকে সংরক্ষণ করা হয় মস্কোর রেড স্কয়ারে।
হো চি মিন
ভিয়েতনামের এই নেতাকে ইতিহাস মনে রাখবে বেশ বড় দুটি কারণে। প্রথমত, তার কারণেই ফরাসি শাসকেরা ভিয়েতনাম ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল। দ্বিতীয়ত, দক্ষিণ ভিয়েতনাম ও মার্কিন সেনাদের সঙ্গে যুদ্ধে উত্তর ভিয়েতনামকে নেতৃত্বও দিয়েছিলেন তিনি। যদিও জয়ের দেখা পাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় তার। মহান এ নেতার মৃতদেহ সংরক্ষণ করা রয়েছে অবিকৃতভাবে।
চেয়ারম্যান মাও
২০ শতকের একজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হচ্ছেন মাও সেতুং। গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। এই নেতার হাত ধরেই চীন হয়ে ওঠে পরাশক্তি। তবে বলা হয়, সাত কোটি মানুষের মৃত্যুর জন্যও দায়ী তিনি। ১৯৭৬ সালে মারা যান মাও। মৃত্যুর ৪৩ বছর পরেও তার চেহারা অবিকৃত রয়ে গেছে। বেইজিংয়ের এক রাজকীয় সমাধিতে ফর্মালডিহাইড দিয়ে সেভাবেই রাখা হয়েছে তার মৃতদেহ।
কিম ইল সাং
উত্তর কোরিয়ার প্রথম নেতা কিম ইল সাং। ইতিহাস তাকে মনে রাখবে দুই কোরিয়ার যুদ্ধ শুরুর কারণে। তিনিই প্রথম উত্তর কোরিয়ায় কমিউনিস্ট শাসন শুরু করেন। যদিও তাতে কোনো অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ আসেনি। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে বিপর্যস্ত হয় উত্তর কোরিয়া।
১৯৯৪ সালে ৮২ বছর বয়সী কিম ইল সানের মৃত্যু হয় হার্ট অ্যাটাকে। ১০ দিনের জাতীয় শোক পালনের শেষে কুমসুসান প্যালেস অব সানে তার মরদেহ সংরক্ষণ করা হয়। এটি এখনো অবিকৃত রয়েছে।
কিম জং ইল
এই নেতার বিরুদ্ধে রয়েছে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ। ২০১১ সালে মারা যান তিনি। উত্তর কোরিয়ায় ‘চিরন্তন নেতা’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া এই নেতার মৃতদেহও অবিকল রাখা আছে কুমসুসান প্যালেস অব সানে।
ওডি/এনএম
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড