• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৪০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

মোরগের কণ্ঠরোধের চেষ্টা, আদালতে নাকচ

  ভিন্ন খবর ডেস্ক

০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৯:০৬
মোরগ মরিস
(ছবি : ইন্টারনেট)

মোরগের কণ্ঠরোধের চেষ্টা! শুনতে অবাক লাগলেও এটি একটি সত্য ঘটনা। সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে ফ্রান্সে। যা কিনা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে।

এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি বাংলা।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ফ্রান্সের এক আদালত রায় দিয়েছে মরিস নামে এক গলাবাজ মোরগের কণ্ঠরোধ করা যাবে না। বিরক্ত প্রতিবেশীদের অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে আদালত বলেছে মরিস যখন খুশি গলা ছেড়ে ডাকতে পারবে।

ফ্রান্সে আটলান্টিক মহাসাগরের উপকূলবর্তী ওলেরন দ্বীপে নিয়মিত ছুটি কাটাতে যাওয়া অবসরপ্রাপ্ত এক দম্পতি আদালতে ওই মোরগের ডাক থামাতে মামলা করেছিলেন। কিন্তু তারা সফল হননি, উল্টো তাদের ক্ষতিপূরণ ও মামলা বাবদ ১০০০ ডলারের বেশি খরচ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

গোটা ফ্রান্সজুড়ে এই মামলাটি ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছে। যারা নিরিবিলি গ্রামীণ পরিবেশ পছন্দ করেন এবং শহুরে ব্যস্ততা থেকে কিছুটা শান্তির খোঁজে গ্রামে গিয়ে সময় কাটাতে চান, তাদের সাথে গ্রামের প্রাকৃতিক পরিবেশ ধরে রাখার পক্ষে যারা তাদের মধ্যে কয়েক দশকের একটা বিরোধকে সামনে এনেছে ‘মরিস মোরগের’ এই মামলা।

এ ব্যাপারে ওই মোরগটির মালিক করিন ফেস্যোঁ জানিয়েছেন, এর আগে মরিসের ডাক নিয়ে কেউই কখনোই অভিযোগ করেন নি।

করিন ফেস্যোঁ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, পশ্চিম ফ্রান্সে রশফোর্টের আদালতের আজকের রায়ে ‘মরিসের বিজয় গোটা ফ্রান্সের গ্রামীণ সংস্কৃতির বিজয়’।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ফ্রান্সে গ্রামবাসীদের অনেকের অভিযোগ গ্রামে নিরিবিলি সময় কাটানোর জন্য শহরের মানুষ গ্রামে একটা বাড়ি কিনছেন, কিন্তু গ্রামে থাকার বাস্তবতা অর্থাৎ সেখানে পশুপাখি ডাকবে, পোকামাকড় ঘুরে বেড়াবে- এগুলো তারা মানতে রাজি নন। অবসরপ্রাপ্ত ওই দম্পতির দ্বিতীয় বাড়ি করিনদের গ্রামে। তারা থাকেন করিনদের পাশের বাড়িতে।

করিন বলেছেন, অবশ্যই শহরের মানুষকে বুঝতে হবে যে শহরের যেমন নিজস্ব কিছু শব্দ আছে, তেমনি গ্রামেরও নিজস্ব কিছু শব্দ আছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এভাবে কোণঠাসা করা যাবে না। প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মকে মেনে নিতে হবে। গ্রামের প্রকৃতিতে এগুলো স্বাভাবিক শব্দ। এধরনের শব্দ আমাদের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। আমাদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও আমার পেছনে রয়েছেন।’

জানা গেছে, মরিস নামের ওই মোরগের ভোরবেলা ডাকার অধিকারকে সমর্থন করে ১ লাখ চল্লিশ হাজার মানুষ এক পিটিশানে সই করেছেন।

উল্লেখ্য, এর আগেও গরুর ডাক বা গরুর গলার ঘন্টার আওয়াজ বন্ধ করতে ফ্রান্সের আদালতে একই ধরনের মামলা হয়েছে। কিন্তু মরিস নামে এই মোরগের ডাক বন্ধ করার মামলা নিয়ে যে পরিমাণ আবেগ দেখা গেছে তা আগে দেখা যায়নি। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকেও মরিসের সমর্থনে মানুষ চিঠি লিখেছে, পিটিশানে সই করেছে।

ফ্রান্সের স্থানীয় একজন ব্যবসায়ী মরিস মোরগের সমর্থনে টি-শার্টও বিক্রি করেছে বলে জানা গেছে।

ওডি/টিএএফ

আপনার চোখে পড়া অথবা জানা অন্যরকম অথবা ভিন্ন স্বাদের খবরগুলোও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তাই সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড