ভিন্ন খবর ডেস্ক
দেশ অনেক এগিয়ে গিয়েছে ঠিকই, তবুও অনেক পরিবারের পুত্র সন্তানকে দেখা হয় বংশের প্রদীপ হিসেবে। কন্যা সন্তানের জন্মে সে সব পরিবারের কারও মুখে ফোটে না হাসি। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এখনো অনেক অঞ্চলে ঘটে কন্যাভ্রুণ হত্যার মতো ঘটনা।
তবে এসবের মাঝেই অন্যরকম এক আলোর দিশা দেখাচ্ছে রাজস্থানের পিপালান্ত্রী গ্রাম। এ গ্রামে কন্যা সন্তান জন্মানো কোনো অপরাধ নয়, বরং আশীর্বাদ। আর সেই আশীর্বাদকে রীতিমত উৎসবের মাধ্যমে উদযাপন করে তারা।
জানা যায়, পিপালান্ত্রী গ্রামে কোনো কন্যা সন্তান জন্মালে সেই আশীর্বাদকে স্মরণীয় করে রাখতে ১১১টি চারগাছ রোপণ করা হয়। না, ভুল পড়ছেন না, সত্যিই সে গ্রামে কোনো পরিবারে কন্যাসন্তানের জন্ম হলে তারা ১১১টি গাছ লাগান। দারুণ এ কাজে পরিবেশ যে উপকৃত হচ্ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
এই প্রথা চালু হওয়ার পর থেকে এখনো পর্যন্ত প্রায় আড়াই লক্ষ নতুন গাছ লাগানো হয়েছে। কবে থেকে শুরু হলো এই প্রথা? কীভাবেই বা শুরু হলো? জানা যায়, এক গ্রামপ্রধানের কন্যাসন্তান খুবই অল্পবয়সে মারা যায়। তার স্মৃতির উদ্দেশ্যে তিনিই চালু করেছিলেন এই প্রথা, যা সুফল দিয়ে চলেছে এবং ভবিষ্যতেও দিতে থাকবে।
কন্যাসন্তানদের জন্ম উদযাপন করতে একটি তহবিল গঠন করেছে ওই গ্রামের বাসিন্দারা। এখানে কন্যার জন্ম হলেই পরিবারের তরফ থেকে ৩১,০০০ টাকা ২০ বছরের জন্য লগ্নি করা হয়। বাবা মা যেন মেয়েকে বোঝা মনে না করেন সে উদ্দেশ্যেই এই লগ্নি।
এই তহবিলের অংশীদার হলে আরও দুটি বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে যায় পরিবার। এক, প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে দিতে পারবেন না তারা এবং দুই বিয়ে দেওয়ার আগে মেয়েকে সঠিক শিক্ষাদান করতে হবে।
কেবল গাছ লাগিয়েই থেমে থাকেন না গ্রামবাসী। নিয়মিত করেন পরিচর্যা। উইপোকার হাত থেকে রক্ষা করতে গাছের চারপাশে ঘৃতকুমারী গাছ লাগান তারা। লাগানো গাছের বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে নানারকম পণ্য তৈরি করে অনেকেই জীবিকা নির্বাহও করছে।
ওডি/এনএম
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড