ভিন্ন খবর ডেস্ক
পেশায় তিনি শিক্ষক। ইংরেজি শিক্ষা দেন ছাত্রদের সারাদিন। কিন্তু রাত হলেই বদলে যায় তার পরিচয়। তিনি তখন হয়ে ওঠেন তুখোড় চোর। সম্প্রতি এমনই একজন এমবিএ ডিগ্রিধারী শিক্ষক কাম চোরকে হাতেনাতে ধরেছে পুলিশ।
গ্রেফতারের পর অবশ্য প্রথম পুলিশরাও ভড়কে গিয়েছিলেন খানিকটা। কারণ চোর হিসেবে যাকে ধরেছেন তিনি সাবলীলভাবে বলে যাচ্ছিলেন ইংরেজি। অবশ্য পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে তার এই বিশেষ দক্ষতার আড়ালের অন্য চরিত্রের খোঁজ পাওয়া যায়। তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় চুরি করা ৭২টি মোবাইল।
জানা যায়, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ সাজিদ। ভারতের নয়াদিল্লির বাসিন্দা এ যুবক এমবিএ ডিগ্রি থাকা সত্ত্বেও ভালো বেতনের চাকরি পায়নি। অতঃপর বিলাসবহুল জীবনের স্বপ্নে বিভোর হয়ে, অনেকটা বাধ্য হয়েই নেমে পড়েন অপরাধ জগতে। দিনের বেলা পাড়ার ছেলে-মেয়েদের ইংরেজি প্রাইভেট পড়াতেন তিনি। আর রাত নামলেই বেরিয়ে পড়তেন চুরির কাজে।
ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, দিল্লির বেশ কিছু দোকান থেকে সাজিদ মোবাইল চুরি করলেও, ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। অবশেষে পুলিশ তদন্তে নেমে খোঁজ পান তার। যিনি দিনের বেলায় শিক্ষকতা করতেন আর রাতের বেলা চুরি!
সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ও চুরি যাওয়া মোবাইলের লোকেশন ট্র্যাক করে পুলিশ পৌঁছে যায় সাজিদের বাড়িতে। কিন্তু নির্ভুল আর দক্ষ কণ্ঠে ইংরেজিতে কথা বলে মোবাইল চুরির অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। পুলিশ তার আচরণে তাকে বিশ্বাসও করে ফেলে।
কিন্তু তার বাসায় তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় ৭২টি মোবাইল। এরপর গ্রেফতার করা হয় সাজিদকে। জানা যায়, লাকি নামের এক বন্ধুকে নিয়ে রাতে মোবাইলের দোকানের দরজা ভেঙে চুরি করতেন সাজিদ। বিশেষভাবে তৈরি একটি লোহার রডের সাহায্যে তারা তালা ভেঙে দোকানে ঢুকতেন। এরপর মোবাইল চুরি করে তা খোলা বাজারে কম দামে বিক্রি করতেন।
প্রথমে অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেন সাজিদ। জানান, দিল্লির নন্দনগরী, কারাওয়াল নগর ও লোনিতে দোকান ভেঙে মোবাইল চুরি করেছিলেন তিনি।
ওডি/এনএম
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড