নাপিত ডাকিয়ে ১৫০ ছাত্রীর চুল ছাঁটালেন প্রধান শিক্ষক

ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের মেদক জেলার একটি গুরুকুল স্কুলে নাপিত ডেকে এনে প্রায় দেড়শ ছাত্রীর মাথার চুল ছেঁটে দিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিষয়টি নিয়ে ছাত্রীদের অভিভাবকরা স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখায়। ফলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়, ওই স্কুলের হোস্টেলে ১৫০ ছাত্রী থাকত। কিন্তু হোস্টেলটিতে পানির অভাব। তার মধ্যেই আবাসিক ছাত্রীরা মাথায় উকুনের কারণে হোস্টেলের পানি বেশি বেশি খরচ করছিল। তাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রীতিমতো নাপিত ডেকে এনে দেড়শ জন ছাত্রীর মাথার চুল কাটিয়ে দেন। পাশাপাশি ছাত্রীদের কাছে তিনি ২৫ রুপি করে জরিমানা ধার্য করেছেও বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা কে. অরুণা জানান, ‘আমি জানতে পেরেছিলাম, হোস্টেলের বেশিরভাগ ছাত্রীর মাথায় উকুন আছে। এছাড়া অনেকে চর্মরোগেও ভুগছে। যে কারণে তারা হোস্টেলে বেশি বেশি পানি ব্যবহার করছিল। তাই অতিরিক্ত পানির ব্যবহার বন্ধ করতে এবং হোস্টেলটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও রোগমুক্ত রাখতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

তবে এ ব্যাপারে স্কুল কর্তৃপক্ষ আগেই ছাত্রীদের সম্মতি নিয়েছিল বলেও দাবি করেছেন তিনি।

কিন্তু অভিভাবকদের অভিযোগ, তাদের সন্তানদের মাথার চুল জোর করে ছেঁটে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। ফলে ছাত্রীদের অভিভাবকরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হওয়ায় স্থানীয় মেদক জেলার জেলা প্রশাসন গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

ওডি/এসএসকে