• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ফুলবাড়ীতে ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ঘর : বারান্দায় পাঠদান

  কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

২০ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:১৭
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলছে পাঠদান (ছবি : দৈনিক অধিকার)

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়লই ২ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বারান্দায় চলছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান। অন্যদিকে প্রধান শিক্ষক ভাঙা একটি টিনসেড ঘরে চালাচ্ছেন তার অফিস।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জরাজীর্ণ বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষের ভেতরের মূল পিলার ও বিমের পলেস্তারা ধসে পড়েছে। ফাটল ধরেছে ভবনের বিভিন্ন অংশে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিপুল চন্দ্র রায় জানালেন, বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। মনে হচ্ছে এই দুর্ঘটনা ঘটলো। আমরা শিশুদের নিরাপত্তা দিতে পারছি না। অন্যদিকে ক্লাসও বন্ধ রাখা যাচ্ছে না। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটির কথা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। ভবন নির্মাণ না হওয়ায় নিরুপায় হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বারান্দা এবং ১৯৬৩ সালের নির্মিত পুরোনো টিনসেড ভবনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে হচ্ছে। সেটাতেও আবার ভগ্নদশা।

বিদ্যালয়ের সভাপতি আশরাফুল আলম জানান, ভবনটির অবকাঠামো অত্যন্ত দুর্বল। যে কোন সময় বরিশালের মতো দুঃখজনক ঘটনা ঘটতে পারে। জরুরি ভিত্তিতে এই ভবনটি ভেঙে পুনঃনির্মাণের জন্য কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

স্থানীয় অভিভাবক আব্দুর রাজ্জাক খন্দকার জানান, বিভিন্ন সময় স্কুল ভবন সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষকে বলা হলেও কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এ কারণে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার কম।

সহকারী শিক্ষক সুরাইয়া খাতুন জানালেন, ভয়ে ভয়ে ক্লাস নিচ্ছি। জানি না কখন দুর্ঘটনার শিকার হই।

পঞ্চম শ্রেণির ফুয়াদ মাহমুদ ও তৃতীয় শ্রেণির মুবতাসিন জানায়, বিদ্যালয়ের ছাদ ফেটেছে। যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। ফলে ভবনে আর আমরা ক্লাস করি না। খোলা আকাশের নিচে ও কোনো কোনো সময় বারান্দায় ক্লাস করছি।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৩৮ সালে তৎকালীন রংপুর জেলার কুড়িগ্রাম মহকুমার ফুলবাড়ী থানাধীন বড়লই ২ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা হয়। ১৯৬৩ সালে স্থানীয়দের সহযোগিতায় নির্মিত হয় একটি টিনশেড বিল্ডিং। এর পরে ওই বিল্ডিংয়ের সংস্কার করা না হলেও ১৯৯৫ সালে স্থানীয় এক ঠিকাদারের মাধ্যমে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে একটি চার কক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবন নির্মাণ করা হয়।

ভবনটি নির্মাণের ২২-২৪ বছর যেতে না যেতেই গোটা ভবনের ভেতরে ও বাইরে ফাটল ধরেছে ভবনের বিভিন্ন অংশে। ফলে বিদ্যালয়ের ভবন জরাজীর্ণ হয়ে গিয়েছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আখতারুল ইসলাম জানান, ভবন ঝুঁকিপূর্ণের বিষয়টি ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক লিখিতভাবে জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ভবনের বিষয়টি অনলাইনে আবেদন করা হয়েছে। পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ওডি/এএসএল

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড