প্রশ্নফাঁস: ২ শিক্ষকের কারাদণ্ড, ৫ জনের জরিমানা

টাঙ্গাইলের সখীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের সহায়তার অভিযোগে দুই শিক্ষককে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সঙ্গে পরীক্ষা কেন্দ্রে মুঠোফোন নিয়ে প্রবেশ করায় ৫ পরিদর্শককে ২০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত শিক্ষকেরা হলেন- ছোটমৌশা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা নিলুফা ইয়াসমিন ও সখীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোশাররফ হোসেন।

এদিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সখীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে স্মার্টফোনসহ সাব্বির হোসেন সজিব (১৭) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) হাতে ধরা পড়ে। তার মোবাইলে সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হওয়া ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের পরীক্ষার প্রশ্নও পাওয়া যায়। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুর রহমান ওই শিক্ষকদের কারাদণ্ড এবং জরিমানার আদেশ দেন।

অভিযুক্ত সাব্বির হোসেন সজিব পিএম পাইলট মডেল সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিল। সে প্রতিদিনই প্রশ্নপত্র হাতে পেয়ে ছবি তুলে সে রাজধানী ঢাকা, ময়মনসিংহের ভালুকাসহ পাঁচজনের ফেসবুক মেসেঞ্জারে পাঠাত। সখীপুর পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ভেন্যু কেন্দ্রের সচিব আনোয়ার হোসেন এ ঘটনায় বাদী হয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে আসামি করে মামলা করেছেন।

এ বিষয়ে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন জানান, সাব্বির হোসেন এসএসসি পরীক্ষার শুরুর দিন থেকে প্রতিটি পরীক্ষায় মুঠোফোন নিয়ে পরীক্ষার হলে যেত। এমনকি সে ছবি তুলে তা রাজধানী ঢাকা, ময়মনসিংহের ভালুকাসহ পাঁচজনের ফেসবুক মেসেঞ্জারে পাঠাত। তাকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় রিমান্ড চেয়ে কাল মঙ্গলবার টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হবে।

তিনি আরও জানান, মুঠোফোন নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা অমান্য করায় সাড়াশিয়া-বাশারচালা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু তাহের, ইছাদিঘী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ওয়াদুদ হোসেন, ঢনঢনিয়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু সাঈদ তালুকদার, রাজাবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আহসান হাবীব ও একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবদুর রউফকে ২০০ টাকা করে জরিমানা ও পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।