নিজস্ব প্রতিবেদক
বই আটকে রেখে ও নম্বর কাটার হুমকি দিয়ে শিক্ষার্থীদের থেকে পিকনিকের চাঁদা আদায় করার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্কুলের ম্যানেজিং কমিটিরও জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) যশোরের মণিরামপুরে পলাশী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সূত্রে জানা যায়, পিকনিকের জন্য নির্ধারিত ৫০০ টাকা চাঁদা দেওয়া ‘বাধ্যতামূলক’ বলে প্রধান শিক্ষক শহিদুল আলম শিক্ষার্থীদের বই আটকে রাখেন। এছাড়া পরীক্ষায় ৩০ নম্বর কাটার হুমকি দিয়ে টাকা নিয়ে আসার জন্য প্রায় ১০০ শিক্ষার্থীকে বাসায় পাঠান।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল আলম বলেন, ‘নম্বর কাটার ভয় দেখিয়ে বা হুমকি দিয়ে এবং বই আটকে রেখে পিকনিকের চাঁদা আদায়ের চেষ্টা আমি করিনি। শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যেতে ইচ্ছুক। পিকনিকের ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ কারণে পিকনিকের আয়োজন করা হয়। অনেকে চাঁদা না দেওয়ায় তাদের চাঁদা আনতে বাড়ি পাঠানো হয়েছিল।’
যশোর শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান আমিরুল আলম খান বলেন, ‘এটা আইনের লঙ্ঘন। এটা অবশ্যই শিক্ষার্থীদের জন্য মানসিক নিপীড়ন। এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এটা কোনোভাবেই করা যাবে না।’
আরও পড়ুন : শিক্ষা উপকরণ পেল নেত্রকোনার ৫৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জানান, ঘটনাটি জানার পর পিকনিক বন্ধ করতে বলা হয়। এছাড়া উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওডি/এমআরকে
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড