• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩২ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

নোটিশ পেয়ে টাকা ফেরত দিলেন শিক্ষা কর্মকর্তা

  শিক্ষা ডেস্ক

১৩ নভেম্বর ২০১৯, ১৭:৩৯
প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এন এম শরীফুল ইসলাম খন্দকার (ছবি : সংগৃহীত)

সরকারি কোষাগার থেকে অর্থ উত্তোলন করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিল পরিশোধ না করার অভিযোগ ওঠে শিক্ষা কর্মকর্তা এন এম শরীফুল ইসলাম খন্দকারের বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত অভিযোগ সত্যি হলো। আইনি নোটিশ পেয়ে তরিঘড়ি করে সরকারি অর্থ ব্যাংকে জমা দিলেন তিনি।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে দুটি চেক মূলে সোনালী ব্যাংক আদিতমারী শাখায় বিদ্যালয়ের নিজস্ব হিসাব নম্বরে টাকা জমা দেন তার অফিসের অফিস সহকারী জাহাঙ্গীর আলম।

জানা যায়, উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের গোবদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রুটিন মেইনটেন্যান্সে ৪০ হাজার এবং স্লিপ প্রকল্পের ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। অর্থবছর শেষ হওয়ার আগে প্রধান শিক্ষকসহ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি যথাযথভাবে কাজ শেষ করে। সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোহসিন আলীর সুপারিশ ও কাজের ব্যয় ভাউচার দিয়ে বিদ্যালয়ের নিজস্ব ব্যাংক হিসাব নম্বরে বরাদ্দের বিল দেওয়ার আবেদন করেন প্রধান শিক্ষক। কিন্তু উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এন এম শরীফুল ইসলাম খন্দকার শতভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে মর্মে সরকারি কোষাগার থেকে সব অর্থ উত্তোলন করলেও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিল পরিশোধ করেননি। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি সেই বিলের জন্য চাপ দিলে আজ-কাল বলে টালবাহনা করেন শিক্ষা অফিসার।

সেই বিল উত্তোলনে নিরুপায় হয়ে আদালতের আশ্রয় নেন বিদ্যালয়টির পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান। সরকারি অর্থ আত্মসাৎ মামলা করতে বিধিমতে প্রথমে অভিযুক্তকে লিগ্যাল নোটিশ দেন তিনি।

লালমনিরহাট জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান লিটনের মাধ্যমে গত ৬ নভেম্বর স্বাক্ষরিত একটি লিগ্যাল নোটিশ শিক্ষা অফিসার বরাবরে পাঠানো হয়। যেখানে নোটিশ পাওয়ার তিন কর্মদিবসের মধ্যে আত্মসাৎ করা দুই প্রকল্পের ৯০ হাজার টাকা বিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব নম্বরে দিতে বলা হয়।

অন্যথায় সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করার অপরাধে কেন দুর্নীতি দমন আইনে মামলা করা হবে না তার উপযুক্ত ব্যাখ্যা জানেত চাওয়া হয়।

তবে তার অফিস সহকারী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘গোবদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দীঘলটারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কয়সার উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রুটিন মেইনটেন্যান্সে ও স্লিপ প্রকল্পের ভ্যাট কর্তন করে পাওনা ১ লাখ ৯৯ হাজার টাকা অফিস হিসাব নম্বরের দুটি চেক মূলে স্ব-স্ব বিদ্যালয়ের হিসাব নম্বরে জমা দেওয়া হয়েছে। তবে অর্থ বছর শেষ হওয়ার ৫ মাস পরে কেন পরিশোধ করা হলো সে বিষয়টি তার জানা নেই বলেও জানান তিনি।’

সোনালী ব্যাংক আদিতমারী শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার মোতাহারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘অফিস ছুটির প্রাক্কালে শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী দুটি চেক মূলে তিনটি বিদ্যালয়ের হিসাব নম্বরে মোট ১ লাখ ৯৯ হাজার ১০০ টাকা জমা করেছেন।’

ওডি/জেআই

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড