• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

শেষ সময়ে বেড়েছে গ্রন্থমেলায় দর্শনার্থীর সংখ্যা

  অধিকার ডেস্ক    ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৪:৪২

ছবি
ছবি : দৈনিক অধিকার

গ্রন্থমেলাকে বলা হয় লেখক-পাঠকদের মিলন মেলা। আবার কেউ বলে লেখক-পাঠকদের সম্মেলন। তবে যে যাই বলুক গ্রন্থমেলা হচ্ছে বাঙালির প্রাণের মেলা। আমাদের মাতৃভাষা, সাহিত্য-সংস্কৃতির কথা বলে এই গ্রন্থমেলা। দেখতে দেখতে অমর একুশে গ্রন্থমেলা শেষ পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে। শেষ সময়ে বইপ্রেমীদের ভিড় বেড়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গ্রন্থমেলা প্রাঙ্গণে। যদিও বৈরী আবহাওয়ার জন্য সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছিল তবুও বিকাল তিনটা থেকে শুরু হয় গ্রন্থমেলা। গতকাল ছিল মেলার ২৬তম দিন। মেলা প্রাঙ্গণে বিকাল থেকে বইপ্রেমিদের উপস্থিতি থাকলেও সন্ধ্যার পর প্রাণবন্ত হয়ে উঠে মেলা প্রাঙ্গণ।

অন্যান্য বছরের চেয়ে এবারের গ্রন্থমেলায় দর্শনার্থীর সংখ্যা বেড়েছে বলে মনে করেন লেখক ও প্রকাশক। পাশাপাশি বই কেনার আগ্রহ অনেক বেড়েছে বলে মনে করেন তারা। মেলায় এমন পাঠকদের সমাগম দেখে খুশি প্রকাশকরা। বাবুই প্রকাশনীর প্রকাশক মুকুল আহম্মেদ দৈনিক অধিকারকে বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এই বছর প্রচুর বই বিক্রি হচ্ছে। যতটা প্রত্যাশা করে ছিলাম তারচেয়েও বেশি। শেষ সময়ে এসে বিক্রির হার বেড়ে গেছে অনেকাংশে।’ বিক্রির হার বাড়াতে তিনি খুশি হয়ে দাবি তুলেন গ্রন্থমেলার সময়সীমা দুদিন বাড়িয়ে দেওয়ার।

গ্রন্থমেলায় নতুন লেখকের পাশাপাশি এবার প্রকাশ হয়েছে প্রবীণ লেখকদেরও। এছাড়াও বরেণ্য লেখকদের বইও এসেছে। হাসান আজিজুল হক, যতীন সরকার, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হুমায়ূন আহমেদ, ইমদাদুল হক মিলন, আল মাহমুদসহ জনপ্রিয় অনেক লেখকের গল্প, উপন্যাস ও প্রবন্ধসমগ্র মেলায় পাওয়া যাচ্ছে। তাছাড়াও বিশ্বকবি রবীন্দ্রসমগ্র পাওয়া যাচ্ছে পাঠক সমাবেশে। অন্যদিকে নজরুল ইন্সটিটিউট ও বাংলা একাডেমিতে মিলবে নজরুলসমগ্র। এই সকল প্রিয় লেখকদের বই নিতে গতকাল পাঠকদের ভিড় দেখা যায় স্টলগুলোতে।

প্রতি বছরই অন্যান্য গ্রন্থগুলোর মধ্যে কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা এবারও বেশি ছিল। আনন্দম প্রকাশনীর শ্রাবনী মজুমদার বলেন, ‘আনন্দমে এই বছর নতুনদের বই বেশি ছিল এবং অধিকাংশই কবিতাগ্রন্থ ছিল। তবে অন্যান্য বইয়ের তুলনায় কবিতার বইয়ের পাঠকপ্রিয়তার কিছুটা কম ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘নতুন প্রকাশক হিসেবে যতটা আশা করেছিলাম মেলার শেষ দিকে এসে ততটা না হলেও কাছাকাছি প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। এবারে বাংলা একাডেমির গ্রন্থমেলার ব্যবস্থাপনায় গত বছরের তুলনায় দারুণ ছিলো’।

প্রকাশকদের পাশাপাশি কবি-লেখকরাও নিজেদের প্রত্যাশার কথা বলেছে। হরিৎপত্র প্রকাশন থেকে প্রথম বই এসেছে বেল্লাল আহম্মেদের কাব্যগ্রন্থ ‘মেঘের চূড়া’। তিনি বলেন, ‘প্রথম দিকে মেলায় ভিড় না থাকলেও শেষ দিকে জমজমাট ছিলো। এই বছরই আমার প্রথম বই প্রকাশ হয়েছে। পরিচিত থেকে শুরু করে অনেক অপরিচিত পাঠকরা আমার বই নিয়ে গেছে। এতে অনেকটা খুশি আমি। নতুন লেখক হিসাবে এই উৎসাহের একটি ব্যাপার।’

প্রতিদিনের মতো গতকাল গ্রন্থমেলায়ও এসেছে ১৮৫টি গ্রন্থ। গ্রন্থমেলা নিয়ে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেন, ‘আপনারা দেখতেই পারছেন কতটা স্বাচ্ছন্দ্য ভাবে কাজ করেছি। আমরা নিশ্বাস নিতে পেরেছি, কথা বলতে পেরেছি। প্রথম দিকে তো ধূলার দাপটে ছিলাম, বালির দাপটে ছিলাম। শেষ দিকে এসে লক্ষ্য করে দেখেন এগুলো কিছুই নেই। বৃষ্টি আমাদের কিছু ক্ষতি করে দিয়েছে, তবে প্রতিটি স্টল ও প্রকাশনা মালিকদের আগে থেকেই সাবধান করে দিয়েছিলাম। বৃষ্টি পরবর্তী উদ্ধারেও কাজ করেছে বাংলা একাডেমি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটি যেহেতু এক মাসের মেলা কিছুটা সমস্যা প্রথম দিকে থাকলেও শেষ দিকে তেমন কোন সমস্যা নাই বললেই চলে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর ছিল ভালো। অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর পাঠক সংখ্যা ছিল লক্ষ্যণীয় তবে মেলা শেষ হবে ২৮ তারিখেই। দিনক্ষণ বাড়ানো সম্ভব না।’

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড