টাইগারদের দাপটে সাজঘরে জিম্বাবুয়ের ৫ ব্যাটসম্যান

৬৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলা জিম্বাবুয়ে ধীর-স্থির ব্যাটিং করে চেষ্টা করছিল ম্যাচে ফেরার। বাংলাদেশের বোলারদের দাপটে রান তুলতে রীতিমতো নাভিশ্বাস উঠছিল তাদের। তবে তাদের পরিকল্পনাটা কাজে লাগেনি। সিকান্দার রাজা ও ক্রেইগ আরভিন ফিরলেন ১২ রানের ব্যবধানে। তাতে দলীয় ঠিক ১০০ রানে ৫ উইকেট হারাল সফরকারীরা।

এই প্রতিবেদন লেখার সময় জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৩০ ওভারে ৫ উইকেটে ১১৮ রান। উইকেটে আছেন শন উইলিয়ামস ১২ ও পিটার মুর ৯ রানে। বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেওয়া ২৭২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছে তারা।

শুরুতে ওপেনার চেফাস ঝুওয়াও বেশ আধিপত্য বিস্তার করছিলেন বাংলাদেশের পক্ষে বোলিং শুরু করা দুই বোলারের ওপর। টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ও মেহেদী হাসান মিরাজ তার বিপক্ষে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু অষ্টম ওভারে আক্রমণে এসেই তাকে বোল্ড করে জিম্বাবুয়ের প্রথম উইকেটের পতন ঘটান মুস্তাফিজুর রহমান।

৪ চার ও ২ ছয়ে ঝুওয়াও করেন ২৪ বলে ৩৫ রান। তার কল্যাণে উদ্বোধনী জুটিতে ৭ ওভারে ৪৮ রান করে সফরকারীরা। কিন্তু এরপর ১৫ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারায় দলটি। মুস্তাফিজের বিপক্ষে সুবিধা করতে পারেননি ঝুওয়াও। তার অফ স্ট্যাম্প উপড়ে নেন কাটার মাস্টার।

এরপর অভিজ্ঞ তারকা ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেইলর বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি। নিজের দ্বিতীয় ওভারে তাকে ফেরান বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু। বোল্ড হওয়ার আগে টেইলর ১৩ বল খেলে করেন ৫ রান।

এক প্রান্ত আঁকড়ে ব্যাট করা জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা হন রানআউটের শিকার। ইমরুল কায়েসের থ্রো উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম লুফে নিয়ে ডাইভ দিয়ে স্ট্যাম্প ভাঙেন। তাতে ৩৪ বলে ২১ রান করে ফেরেন মাসাকাদজা।

এরপর চতুর্থ উইকেটে আরভিন-রাজা মিলে ৫২ বলে গড়েন ২৫ রানের সংগ্রামী জুটি। রাজাকে বোল্ড করে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় সাফল্য পান নাজমুল ইসলাম অপু। বাঁহাতি স্পিনারের ঘূর্ণি বলে উইকেট হারানোর আগে তিনি করেন ২২ বলে ৭ রান।

অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের বলে ব্যক্তিগত ১০ রানে মুশফিকের কাছ থেকে জীবন পাওয়া আরভিনকে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ। ৪৮ বলে ১ চারে ২৪ রান করেন তিনি।

এর আগে রবিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে স্কোরবোর্ডে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৭১ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করে বাংলাদেশ।

টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা টাইগারদের পক্ষে ইমরুল ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ১৪০ বলে ১৪৪ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন। গেল জানুয়ারির পর প্রথমবার খেলতে নেমে তরুণ সাইফ ৬৯ বলে করেন গুরুত্বপূর্ণ ৫০ রান।

এক পর্যায়ে ১৩৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। তারপর সপ্তম উইকেটে রেকর্ড ১২৭ রানের জুটি গড়েন ইমরুল ও সাইফ। আর বাংলাদেশের পক্ষে ওয়ানডেতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের ব্যক্তিগত ইনিংস খেলে মুশফিককে ছুঁয়ে ফেলেন বাঁহাতি ইমরুল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :

বাংলাদেশ : ২৭১/৮ (৫০ ওভারে) (লিটন ৪, ইমরুল ১৪৪, ফজলে মাহমুদ ০, মুশফিক ১৫, মিঠুন ৩৭, মাহমুদউল্লাহ ০, মিরাজ ১, সাইফ ৫০, মাশরাফি ২*, মুস্তাফিজ ১*; জার্ভিস ৪/৩৭, চাতারা ৩/৫৫, তিরিপানো ০/৬০, মাভুতা ১/৪৮, রাজা ০/৩৭, উইলিয়ামস ০/৩২)