আবু হানিফ
চীনের উহান শহরে তিনমাস আগে করোনা ছড়ালেও বর্তমানে এটি প্রায় ১৮৮টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। করোনায় ইতোমধ্যে মারা গেছে ১৩ হাজারের বেশি। এতে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত চিহ্নিত রোগীর সংখ্যা ২৭, আর মারা গেছে ২ জন। তবে আজ সকালে একজন মারা গেছে তবে সে করোনায় আক্রান্ত ছিল কি না পরীক্ষা করার পর বলা যাবে। সে করোনা সন্দেহে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।
এত সময় পাওয়ার পরও বাংলাদেশ কোনো প্রস্তুতি নিতে পারে নাই।
গত সপ্তাহে বহু মানুষ বিদেশ থেকে বাংলাদেশে এসেছে ফলে আগামী ১০-১৫ দিন করোনা বাংলাদেশে ছড়ানোর পিকটাইম। ইতোমধ্যে এটি কমিউনিটি পর্যায়ে ছড়াচ্ছে ফলে বাড়ছে আতঙ্ক। শুরুর দিকে যারা বিদেশ থেকে দেশে আসছিল তাদের সঠিকভাবে কোয়ারেন্টিনে রাখা হলে এর বিস্তার রোধ করা সম্ভব ছিল। কিন্তু এখন তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ায় পরিস্থিতি কঠিন হয়ে গেছে। ফলে তাদের মাধ্যমে আক্রান্ত হবে পরিবারের লোকজন এভাবে এটা মহামারি রূপ ধারণ করবে। আমাদের মতো দরিদ্র দেশে যেখানে একই ঘরে ৮-১০ জন থাকতে হয় একটা ঘর ছাড়া আর কোনো ঘর নেই, তারা কীভাবে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকবে? এটা অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ আমাদের জন্য। অন্যদিকে লকডাউন করতে গিয়ে অনেক সমস্যা পোহাতে হবে কারণ গরিব অসহায় মানুষদের খাবারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ব্যবস্থা করতে হবে সরকারকে। দেশে প্রায় ৬ কোটি মানুষ রয়েছে খাদ্য শঙ্কায়, যারা সবাই দিন মজুর।
বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বড় সমস্যা এই রোগ নির্ণয় করা। ঢাকার আইইডিসিআর ছাড়া অন্য কোথাও পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে আরও ৮ স্থানে পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এই রোগ প্রাথমিকভাবে ধরা পড়লে দুই সপ্তাহ হোম কোয়ারেন্টিনে থাকলে ভালো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এর থেকে বাঁচতে হলে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী সচেতন থাকার কোনো বিকল্প নেই। তাই নিজে সচেতন থাকতে হবে পাশাপাশি অন্যদেরও সচেতন করতে হবে।
ওডি/নূর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড