• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বাজেটে ফ্ল্যাট-জমির নিবন্ধন ফি কমানোর প্রস্তাব অর্থমন্ত্রীর

  অধিকার ডেস্ক    ১৪ জুন ২০১৯, ০৩:৫৫

বহুতল ভবন
বহুতল ভবন। (ছবি : প্রতীকী)

আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের আবাসন খাতে ফ্ল্যাট ও জমি নিবন্ধন ফি কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। যেখানে এতদিন ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে ১৪ শতাংশ এবং জমির ক্ষেত্রে ১৭ শতাংশ নিবন্ধন ফি ধার্য ছিল। বর্তমানে যা কমিয়ে একটি যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণের জন্য প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, 'দেশের আবাসন খাত দীর্ঘদিন যাবত প্রায় স্থবির হয়ে রয়েছে। এ খাতটি বিকশিত না হওয়ার অন্যতম কারণ স্ট্যাম্প ডিউটি ও রেজিস্ট্রেশন ফি অনেক বেশি।'

মুস্তফা কামাল বলেন, 'এসবের ফলে বিপুল অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। যে কারণে অপ্রদর্শিত আয়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব ফি যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এতে করে এক দিকে আবাসন খাতের সম্প্রসারণ হবে আর অন্য দিকে বাড়বে রাজস্ব আয়। একই সঙ্গে অপ্রদর্শিত আয়ের প্রবণতাও অনেকাংশে কমে আসবে।'

অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় আরও বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরেই আবাসন ব্যবসায়ীদের দাবি ছিল রেজিস্ট্রেশন ফি কমানোর। এবার বাজেটে রেজিস্ট্রেশনে ফি বিদ্যমান অংকের অর্ধেক করার প্রস্তাব রয়েছে। পাশাপাশি কালো টাকা সাদা করারও সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া ‘সবার জন্য আবাসন কেউ থাকবে না গৃহহীন'– প্রধানমন্ত্রীর এই স্লোগানকে সামনে রেখে পরিকল্পিত নগরায়নে সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।'

এবার ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ : সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ স্লোগানকে সামনে রেখে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে। যেখানে গৃহায়ন খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ দশমিক ৩ শতাংশ বা প্রায় ৬ হাজার ৮০১ কোটি টাকা।

বাজেট বক্তৃতার এক পর্যায়ে অসুস্থ অর্থমন্ত্রীর পক্ষে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাজেট বক্তৃতা উপস্থাপন করেন। প্রস্তাবিত বাজেটে মোট রাজস্ব আয় ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা ধরা হয়েছে, এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে আয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬শ কোটি টাকা। এছাড়া, এনবিআর বহির্ভূত সূত্র থেকে কর রাজস্ব ধরা হয়েছে ১৪ হাজার ৫শ কোটি টাকা। কর বহির্ভূত খাত থেকে রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৩৭ হাজার ৭১০ কোটি টাকা।

চলতি বাজেটে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ২০ হাজার ৪৬৯ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত বাজেটে সার্বিক বাজেট ঘাটতি ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ শতাংশ। এ ঘাটতি অর্থায়নে বৈদেশিক সূত্র থেকে ৬৮ হাজার ১৬ কোটি টাকা, অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ৭৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা এবং সঞ্চয়পত্র ও অন্যান্য ব্যাংক বহির্ভূত উৎস থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা সংস্থানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন :- জাতীয় পরিচয়পত্র পাচ্ছে শিশুরাও

২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৮.২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর সঙ্গে প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৫.৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড