জাতীয় পরিচয়পত্র পাচ্ছে শিশুরাও

এতদিন ১৮ বছর বয়সী কিংবা তদূর্ধ্ব ব্যক্তিদের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের বিধান থাকলেও এবার এই নিবন্ধনের আওতায় এর চেয়ে কম বয়সী নাগরিকদেরও আনা হচ্ছে। অর্থাৎ দেশের শূন্য থেকে ১৮ বছরের কম বয়সীদেরও দেওয়া হবে এই পরিচয়পত্র। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে উঠে এসেছে এমন প্রস্তাব।

এ দিন জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল চলতি অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ১৮ বছরের কম বয়সী নাগরিকদের নিবন্ধন এবং তাদের পরিচয়পত্র সরবরাহের জন্য প্রস্তাব করেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভোটার হওয়ার অযোগ্য এসব নাগরিককে নিবন্ধনের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র সরবরাহ করবে। এ প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের সব নাগরিকদের নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে।’

এবারের বাজেটে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জন্য মোট ১ হাজার ৯২০ কোটি ৭০ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। যার মধ্যে পরিচালন খাতে ৭৭৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা এবং উন্নয়ন খাতে ১ হাজার ১৪১ কোটি ২৩ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।

বাজেটে ইসির শূন্য থেকে ১৮ বছর বয়সী সকল নাগরিকদের নিবন্ধন ও তাদের এনআইডি প্রদানসহ মোট ১১টি ভিন্ন ভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ রয়েছে।

ইসির অন্য খাতগুলোর মধ্যে ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরি, সংসদের উপনির্বাচন, স্থানীয় সরকারের সাধারণ ও উপনির্বাচন, উন্নতমানের স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান, দুই বছর মেয়াদি পেপার লেমিনেটেড পরিচয়পত্র প্রদান, ইভিএম প্রকল্পের আওতায় ৮২ হাজার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ও সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি ক্রয়, কর্মকর্তাদের দেশি-বিদেশি প্রশিক্ষণ, প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রবাসেই নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র প্রদান, এনআইডি তথ্য যাচাই এবং ইসির উন্নয়ন ও নির্বাচনি ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের বিষয়গুলো রয়েছে।

আরও পড়ুন :- অর্থমন্ত্রী অসুস্থ : সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচন এবং বছরের মধ্যবর্তী সময়ে ইভিএম ক্রয় সংক্রান্ত প্রকল্পসহ চলতি অর্থবছরে পরিচালন ও উন্নয়ন খাতে ইসির সংশোধিত বাজেট ছিল মোট ৪ হাজার ৩৪৩ কোটি ১২ লাখ ২৩ হাজার টাকা। যেখানে ইসির জন্য বরাদ্দ ছিল ১ হাজার ৮৯৫ কোটি টাকা। যার মধ্যে উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ ছিল ২১০ কোটি টাকা এবং পরিচালনা ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৬৮৫ কোটি টাকার বেশি।

ওডি/কেএইচআর