স্থলবন্দরে দুর্নীতির ১৪ উৎস চিহ্নিত

বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের (স্থলবন্দরগুলো) ১৪টি দুর্নীতির উৎস ও ক্ষেত্র চিহ্নিত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গঠিত প্রাতিষ্ঠানিক টিম। সেই সঙ্গে এসব দুর্নীতি বন্ধে ২৮ দফা সুপারিশও করেছে দুদক।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে এসে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর হাতে তুলে দেন দুদকের কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক খান।

গণমাধ্যমকে দুদক কমিশনার বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর বা প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান আইন, বিধি-বিধানের পদ্ধতিগত ত্রুটি, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার অভাব এবং জনবল সংকটের কারণে যে সব দুর্নীতির ক্ষেত্র তৈরি হয়। এর উৎস চিহ্নিতকরণসহ এই উৎসগুলো বন্ধে বা প্রতিরোধে বাস্তবতার নিরিখে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে সেই বিষয়ে সুপারিশ দিতে ২৫টি প্রাতিষ্ঠানিক টিম গঠন করা হয়।

মোজাম্মেল হক খান বলেন, ‘স্থলবন্দরগুলোর আইন, বিধি, পরিচালন পদ্ধতি, সরকারি অর্থ অপচয়ের দিকসমূহ পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করে এই প্রতিষ্ঠানের সীমাবদ্ধতা, প্রতিবন্ধকতা ও দুর্নীতি প্রতিরোধে সুপারিশ দিতে কমিশনের একজন পরিচালকের নেতৃত্বে একজন উপপরিচালক এবং একজন সহকারী পরিচালকের সমন্বয়ে একটি প্রাতিষ্ঠানিক টিম গঠন করা হয়।’

আরও পড়ুন : পাপিয়ার সঙ্গে সখ্যতা, যা বললেন তুহিন

কমিশনার আরও জানান, এই প্রাতিষ্ঠানিক টিম অনুসন্ধানের সময় স্থলবন্দরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বর্তমানে কর্মরত কর্মকর্তা এবং এ বিষয়ে যারা সম্যক ধারণা রাখেন তাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে তা পর্যালোচনা করেন। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক টিম স্থলবন্দরগুলোর বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি সম্পর্কিত বিভিন্ন দৈনিক পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্যসহ ভুক্তভোগীদের বক্তব্য, প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক বিবৃতি, নিরীক্ষা ও অডিট প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দুর্নীতির উৎস ও ক্ষেত্র চিহ্নিত করে তা প্রতিরোধে সুপারিশমালা প্রতিবেদন আকারে কমিশনে জমা দেয়।

ওডি/এএস