• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩১ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

সৌদিতে হামলার সঙ্গে ইরান জড়িত নয় : জাপান

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৬:২০
আরামকোয় ড্রোন হামলা
ড্রোন হামলার শিকার আরামকো তেল কোম্পানির স্থাপনা। (ছবিসূত্র : সিএনএন)

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় অপরিশোধিত তেল শোধনাগার 'আরামকো কোম্পানি'র দুটি বৃহৎ স্থাপনায় ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত সশস্ত্র হুথি বিদ্রোহীরা। যদিও শুরু থেকে এর সঙ্গে তেহরান জড়িত আছে বলেই জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ তাদের মিত্ররা।

যার অংশ হিসেবে এরই মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ সৌদি বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজ। যদিও সৌদির সেই তেল স্থাপনায় হামলার সঙ্গে ইরানের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলেই এবার দাবি করেছে এশিয়ার দেশ জাপান।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে জাপানি প্রতিরক্ষামন্ত্রী তারো কোনো বলেছেন, 'আরামকোর তেল স্থাপনাগুলোয় হামলার পেছনে তেহরানকে জড়িত করে মার্কিন প্রশাসন যে দাবি করেছে; এখনো তার কোনো সঠিক তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি।'

জাপানি প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, 'হামলার সঙ্গে ইরানকে অভিযুক্ত করা যায় এমন কোনো তথ্য সম্পর্কে আমরা এখনো অবহিত নই। কেননা হুথিরা এরই মধ্যে হামলাটির দায় স্বীকার করেছে; আমরা বিশ্বাস করি তারাই সেই হামলা চালিয়েছে।'

জাপানি প্রতিরক্ষামন্ত্রী

জাপানি প্রতিরক্ষামন্ত্রী তারো কোনো। (ছবিসূত্র : রয়টার্স)

এ দিকে গত মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে তেহরানের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য আলোচনায় বসতে রিয়াদের পথে রওনা দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।

যাত্রা শুরুর পূর্বে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'সৌদির তেল স্থাপনায় হামলার পেছনে ইরান জড়িত বলে আমাদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ আছে। যে কারণে অবশ্যই ভয়াবহ সেই হামলার যথাযথ জবাব দেওয়া হবে।'

অপর দিকে ওয়াশিংটন ডিসিতে এক বক্তৃতায় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ঘোষণা করেছেন, 'ইরানের হামলার প্রেক্ষিতে আমাদের জবাব ঠিক কী হবে; এবার তা নিয়েই আলোচনা করতে পম্পেও সৌদির পথে রয়েছেন।'

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, 'প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেমনটি বলেছিলেন, আমরা এখন কারও সঙ্গে কোনো যুদ্ধে জড়াতে চাই না। আমার মতে সকল মার্কিনীরাও বর্তমানে ঠিক তা-ই ভাবছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধের জন্য সব সময়ই প্রস্তুত।'

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বক্তব্যকে উদ্ধৃতি করে মাইক পেন্স বলেছেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের সব অস্ত্রই প্রস্তুত। মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের ও মিত্রদের স্বার্থ সুরক্ষায় আমরা সর্বোত্তম প্রস্তুত রয়েছি।'

এর আগে গত সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন, 'দৃশ্যত সৌদি আরবের তেলক্ষেত্রে হামলার জন্য ইরান একমাত্র দায়ী। তবে সেক্ষেত্রে ওয়াশিংটন অবশ্যই তেহরানের সঙ্গে যুদ্ধ এড়িয়ে চলতে চায়।'

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, 'গত সপ্তাহে সৌদির তেলক্ষেত্রে যে হামলাটি ইরান থেকে হয়েছে তা ছিল ক্রুজ মিসাইল। ট্রাম্প প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে সংশ্লিষ্ট প্রমাণাদিসহ বিষয়টি উত্থাপন করা হবে।'

যদিও ইরান এরই মধ্যে সরাসরি অভিযোগটি প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ মার্কিন প্রশাসনকে অভিযোগের খেলা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, 'এ ধরনের অবান্তর অভিযোগ উত্থাপনের মাধ্যমে নির্যাতিত ইয়েমেনিদের পাল্টা জবাব কখনোই বন্ধ করা যাবে না।'

বিশ্লেষকদের মতে, গত মঙ্গলবার ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে যে কোনো ধরনের আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন। মূলত এর পরপরই তেহরানের বিরুদ্ধে মার্কিন অবস্থান আরও কঠোর করল ট্রাম্প প্রশাসন।

যে কারণে জাতিসংঘের আসন্ন সাধারণ অধিবেশনে ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যকার নাটকীয় বৈঠকের আশা ধুলায় মিশে গেছে বলেই ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

আরও পড়ুন :- ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে ফিলিস্তিনি নারীর নির্মম মৃত্যু (ভিডিও)

সৌদির সরকারি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানায়, শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় ভোর চারটায় আবকাইক ও খুরাইসে তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলার কারণে সৃষ্ট আগুন এরই মধ্যে আরামকোর শিল্প নিরাপত্তা দল নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে। যদিও এর জন্য দেশের সার্বিক তেল ও গ্যাস উৎপাদন অনেকটাই কমে গেছে।

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড