• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৫ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ইরান-মার্কিন উত্তেজনা

রুহানি, পুতিন ও ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলবেন ম্যাক্রো

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৬ জুলাই ২০১৯, ১১:১১
ফরাসি প্রেসিডেন্ট
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রো। (ছবিসূত্র : এলবিসিআই)

ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিরসনে এবার উদ্যোগী হয়েছে ফ্রান্স। যার অংশ হিসেবে ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রো।

তুর্কি গণমাধ্যম 'আনাদোলু এজেন্সি' এক প্রতিবেদনে জানায়, সোমবার (১৫ জুলাই) স্থানীয় সময় রাতে সার্বিয়ার বেলগ্রেডে স্বাগতিক দেশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।

প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রো বলেন, 'আমি আশা করছি- রুহানি, পুতিন ও ট্রাম্পের সঙ্গে আমার আসন্ন সংলাপ মধ্যপ্রাচ্যে সঙ্কট নিরসনে সহায়তা করবে।' এর আগে ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বিদ্যমান উত্তেজনা যেকোনো সময় যুদ্ধে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-ইভ লু দ্রিয়ঁ। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি তেহরানের পরমাণু চুক্তি থেকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বেরিয়ে যাওয়া এবং বিষয়টি কেন্দ্র করে ইরানের ইউরেনিয়াম মজুদের মাত্রা বৃদ্ধির সমালোচনা করেন।

সোমবার ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, 'দেশ দুটির এসব বাজে সিদ্ধান্তের ফলে সেখানকার উত্তেজনা এবার যুদ্ধে পরিণত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। যদিও যুদ্ধ কারও কাছেই প্রত্যাশিত নয়। যে কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিরসনে এই উত্তেজনার মাত্রা কমাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি হয়ে পড়েছে।'

ইরানের পরমাণু

ইরানের ইউরোনিয়াম মজুদ কেন্দ্র পরিদর্শন করছেন প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। (ছবিসূত্র : বিবিসি নিউজ)

এর আগে ২০১৫ সালে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি কমানোর জন্য তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নেতৃত্বে বিশ্বের ক্ষমতাধর ছয় দেশের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছিল। যেখানে শর্ত ছিল ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি কমিয়ে আনবে, যার বিনিময়ে তাদের উপর আরোপিত সকল অবরোধ ক্রমশ তুলে নেওয়া হবে। এতে চুক্তি স্বাক্ষরকারী দেশগুলো হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন ও জার্মানি।

পরবর্তীতে গত বছরের ৮ মে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিয়ে একে একটি ‘ক্ষয়িষ্ণু ও পচনশীল’ চুক্তি বলে মন্তব্য করেন। একই সঙ্গে তিনি তেহরানের তেল বিক্রিতে অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেন; যা এখনো অব্যাহত আছে।

যদিও গত ১ জুলাই ইউরোপীয় দেশগুলোর ব্যর্থতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে নিজেদের ইউরেনিয়াম মজুদের সীমা অতিক্রম করেছে বলে দাবি করেছিলেন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ। এক টুইটার পোস্টে তিনি বলেন, 'কোনো চাপের কাছে ইরান কখনোই নতি স্বীকার করবে না। যুক্তরাষ্ট্র যদি আলোচনা করতে চায়, তাহলে সকল হুমকি ধামকি পরিহার করে, সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে কথা বলতে হবে। আমাদের পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধির পরিমাণ ৩০০ কেজি অতিক্রম করেছে।'

আরও পড়ুন :- ইরানের পদক্ষেপ গুরুতর নয়, এটি সংশোধনযোগ্য : ইইউ

মন্ত্রী আরও বলেছিলেন, 'ইউরোপের তিন দেশ এবং ইইউ যতদিন ইরানের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত যাবতীয় প্রতিশ্রুতি মেনে চলবে; তেহরানও ঠিক ততদিন পরমাণু সমঝোতার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করে যাবে।'

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড